বহুদিন পর পদ্মা পাড়ে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম।
সেই দর্জির কাছে প্যান্টগুলো কাটার জন্য দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কাজ হতে কতো সময় লাগবে? সে জানালো ঘন্টাখানেক মতো লাগবে। তখন আমি তাকে বললাম আমি এক ঘন্টা পরে এসে নিয়ে যাবো। আপনি কাজটা শেষ করে রাখবেন। এই কথা বলে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে গেলাম। আমি একটু সকাল সকাল মার্কেটে গিয়েছিলাম। যার ফলে খুব একটা বেশি ভিড় দেখতে পাইনি মার্কেটে। মার্কেট থেকে বের হয়ে আমি অটো রিক্সা যোগে চলে গেলাম পদ্মার পাড়ে। যদিও এই সময়টা পদ্মার পাড়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় নয়। কারণ এই সময়ে প্রচণ্ড রোদ থাকে। তবে আজকের আকাশটা ছিল কিছুটা মেঘলা। এই মেঘলা আবহাওয়ায় পদ্মার পাড়ে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। তাছাড়া দীর্ঘদিন পদ্মার পাড়ে না যাওয়ার কারণে মনের ভিতর এক ধরনের ব্যাকুলতা তৈরি হয়েছিলো।
অটো রিক্সা করে পদ্মার পাড়ে পৌঁছাতে আমার অবশ্য খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। তবে সেখানে পৌঁছে দেখতে পেলাম ধুধু বালুচর। নদী বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছে। পদ্মার পাড়ে গিয়ে আমি পদ্মার পানি দেখতে পারছিলাম না। কারণ চর পড়ার কারণে নদী অনেক দূরে সরে গিয়েছে। এতোটা পথ পাড়ি দিয়ে পানির কাছে যেতে ইচ্ছা করছিলো না। কারণ ততক্ষণে কিছুটা রোদ উঠে গিয়েছিলো। এই রোদের ভেতরে পদ্মার চরে হাঁটতে খুব একটা ভালো লাগবে না। সেই কারণে আমি পদ্মার পাড়ে গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে রইলাম আর তাকিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম পদ্মার পার থেকে পদ্মার পানি পর্যন্ত পৌঁছাতে কত সময় লাগতে পারে? এর ভিতর দেখলাম কিছু মোটরসাইকেল পদ্মার পাড় থেকে লোকজনদেরকে নিয়ে নদীর ঘাট পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। একজন মোটরসাইকেল চালকের জিজ্ঞেস করলাম ঘাট পর্যন্ত যেতে কতো টাকা লাগবে। সেই মোটরসাইকেল চালক জানালো জনপ্রতি ৮০ টাকা লাগবে।
আমি তার কথা শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তা। সেটা যাওয়া আসা করার জন্য কিভাবে কেউ ৮০ টাকা চাইতে পারে। যাই হোক যেহেতু রোদ উঠে গিয়েছে তাই আর ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার ঝুঁকি নিলাম না। আরো কিছুটা সময় পদ্মার পাড়ে কাটিয়ে আমি আবার মার্কেটে ফিরে এলাম। তবে এবার মার্কেটে প্রবেশ করে দেখি সেখানে তিল ধরনের জায়গা নেই। লোকে লোকারন্য হয়ে রয়েছে মার্কেট। ঈদের সময় অবশ্য এমনটাই হওয়ার কথা। আমি আর সেখানে সময় নষ্ট না করে দ্রুত সেই দর্জির কাছে গিয়ে আমার প্যান্টগুলো বুঝে নিলাম। তারপর সরাসরি বাসায় চলে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নদীর পাড়ে যাওয়ার আসল সময় হচ্ছে ঠিক বিকেলে। আমিও মাঝে মধ্যে আমাদের গ্রামের পাশের নদীতে যেতাম বিকেলে, সত্যিই সেই বিকেলের নদীর সুন্দর্যটা বলে প্রকাশ করার মতো না। আর হ্যা ভাইয়া , সব খানের মার্কেট এর ই একই রকম অবস্থা।
ঠিক বলেছেন আপু। বিকালের সময়টা হচ্ছে নদীর পাড়ে কাটানোর জন্য সেরা সময়।
এই সময়ে কোন নদীতেই পানি নেই ভাই। শুধু চর আর চর। আপনার পদ্মা দর্শন আর হলো না। আর এইরকম গরমে আপনি নদী দেখতে গিয়েছেন আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয় । ঈদের সময়ে বাজারে লোকের যে সমাগম ঘটে সেটা বলে বোঝানোর মতো না। সকালে যাওয়াই আপনি প্রথমে সেটা বুঝতে না পারলেও পরে ভালোই উপলব্দি করেছেন।
আকাশে মেঘ না থাকলে এই সময়টাতে নদীর পাড়ে যারা যাওয়ার সাহস পেতাম না। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
নদীর পাড়ে বেশ অনেক দিন পর গেলেন।মার্কেটে কাপড় দিয়ে ওই সময়টা ঘুরতে গিয়ে ভালো ই করেছেন। কিন্তু নদী পর্যন্ত তো যাওয়া সম্ভব হলো না।নদীতে চর পরাতে নদী অনেকটাই দূরে সরে গেছে।আজকাল সব জায়গাতেই মানুষের এই যে বিজনেসের মন মানসিকতা যা বড্ড খারাপ লাগে।রোদের মধ্যে রোজা রেখে না গিয়ে ভালো ই করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
রোজার সময় না হলে অবশ্য আমি অবশ্যই পানি পর্যন্ত যেতাম। কারণ এই সময়ে পদ্মার পানিতে পা ভেজাতে দারুন লাগে।
দর্শনার্থীদের সাথে এরকম দর্শনীয় জায়গাগুলোতে এরকম ব্যবহারই করে থাকে ভাইয়া,যেটা আমার কাছে খুবই কষ্ট দায়ক লাগে।মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তা যাওয়া আসার জন্যে কোন বিবেকে 80 টাকা ভাড়া চায় বুজলাম না।তবে আপনি পর্দার পাড় রোদ এর জন্যে রোজা থেকে না যাওয়াই ঠিক কাজ করেছেন ভাইয়া। পরে মার্কেট এ যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ঠিক করেছেন ভাইয়া।ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের এই দিক কার মার্কেট গুলোতে একই অবস্থা একটু বেলা হয়ে গেলেই লোকে লোকারণ্য থাকে।সুন্দর কিছু অনুভূতি আজকে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
ঈদের এই সময়টাতে আসলেই মার্কেটে যাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এই জন্য আমি পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে একটু বেশি রাতের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন মার্কেট অনেকটা ফাঁকা থাকে।
ভাইয়া এত কষ্ট করে এত দূর গিয়েও নদীর কাছে যেতে পারেনি এটা সত্যি মেনে নেওয়া যায় না। নদীর পাড় সকাল বেলা থেকে বিকাল বেলা গেলে বেশি ভালো লাগে। তবে যদি আকাশ মেঘলা থাকে তাহলে যেকোনো সময়ই নদীর পাড় সময় কাটাতে ভালো লাগে। শীতকাল থেকেই নদীতে চর জাগতে শুরু করে আর তারজন্য পদ্ম নদী শুকিয়ে চর জেগে উঠেছে। এই কারণে কিছু মানুষ ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে বসেছে। তাইতো আধা কিলোমিটার রাস্তা বাইকে নিয়ে যাবে আর তাতে ৮০ টাকা দিতে হবে। এমন কথা শুনলে অবাক হওয়ারই কথা। আপনি না গিয়ে চলে এসে ভালো করেছেন। অন্য একদিন সময় করে বিকাল বেলা যাবেন তাহলে আপনার মনের ব্যাকুলতা কমবে। রমজান মাস বলে সকাল সকাল মার্কেটে একটু ভিড় কম থাকে কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়তে থাকে।
বন্ধু ফেরদৌসের জন্য অপেক্ষা করছি। ফেরদৌস এলেই দুই বন্ধু মিলে নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি শুরু হবে।
রোজা রেখে রোদের মধ্যে পদ্মার চরে না হেঁটে বেশ ভালো করেছেন ভাই। নয়তোবা ক্লান্ত হয়ে যেতেন এবং রোজা রাখতে কষ্ট হতো। নদীর পাড়ে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। বিশেষ করে বিকেল বেলা নদীর পাড়ে দারুণ সময় কাটানো যায়। যাইহোক দর্জির কাছে জিন্সের প্যান্ট এবং দুটি ট্রাউজার দিয়ে, সেই ফাঁকে পদ্মা নদীর পাড়ে গিয়ে মোটামুটি ভালো সময় কাটিয়েছেন। ঈদের সময় মার্কেটে আসলেই প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রোজা ছিলাম এইজন্যই পদ্মার চরে বেশি সময় কাটাইনি। অন্য সময় হলে এতদিন পর গেলে আমি অনেকটা সময় সেখানে কাটাতাম।