বাইরে ঘোরাফেরার পরে কাবাব খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
বন্ধু ফেরদৌস ফরিদপুর না থাকার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে ঘরেই বসে রয়েছি। পরিবার নিয়ে মাঝে মাঝে দু'একবার বাইরে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা ছিলো রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। যার ফলে ঘরে বসে থাকতে থাকতে একরকম হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। সে কারণে সেদিন বাইরে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে ফিরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগছিলো। তবে আপনারা জানেন আমি খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি। আর বাইরে ঘোরাফেরার সময় খাওয়া-দাওয়া আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। খাওয়া-দাওয়া না হলে মনে হয় বাইরের ঘোরাফেরাটা সম্পন্ন হয়নি। ঘোরাফেরার একপর্যায়ে মনে হলো কিছু খাওয়া দরকার। তখন সামনে এক মুড়িওয়ালা কে দেখতে পেয়ে তার কাছ থেকে মুড়ি খেয়েছিলাম। তবে আমার বেশ ক্ষুধা লেগেছিলো। তাই মুড়ি খেয়ে সেই ক্ষুধা মেটেনি।
তখন চিন্তা করতে লাগলাম এখন কি খাওয়া যায়? শহরের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট থেকেই আমার খাওয়া দাওয়া করা হয়েছে। তাই চিন্তা করছিলাম এমন একটি রেস্টুরেন্টে যাওয়া দরকার যেখানে আমি এর আগে যায়নি। এই কথা চিন্তা করতে করতে হঠাৎ করে মনে পড়লো শহরে নতুন একটা কাবাবের রেস্টুরেন্ট হয়েছে। সেই রেস্টুরেন্টে এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। তখন চিন্তা করলাম নতুন এই রেস্টুরেন্ট থেকে কিছুটা খাওয়া-দাওয়া করে দেখি। তাছাড়া কাবাব আমার এমনিতেও অত্যন্ত পছন্দের খাবার। চিন্তাভাবনা শেষ হতেই রওনা দিলাম সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। আমি যেখানে ছিলাম সেখান থেকে রেস্টুরেন্ট এর দূরত্ব ছিলো মাত্র কয়েক মিনিটের হাঁটা পথ। যার ফলে সেই রেস্টুরেন্টে পৌঁছাতে আমার একেবারেই সময় লাগলো না। রেস্টুরেন্টে পৌঁছে ওয়েটারের কাছে তাদের মেনু কার্ড চাইলাম। ওয়েটার মেনু কার্ড দিয়ে গেলে আমি একটি কাবাব প্লাটার অর্ডার করলাম। তবে প্লাটারটি অর্ডার করার পরে আমার কাছে মনে হল এটি একজনের পক্ষে খেতে হয়তো সমস্যা হবে। কারণ মেনু কার্ডে সেই প্লাটারের পাশে লেখা ছিল দুজনের জন্য।
যখন তারা খাবারটি পরিবেশন করলো তখন খাবার দেখে মনে হোলো আমার ধারণা সঠিক ছিলো। যাই হোক কাবাব যেহেতু আমি পছন্দ করি তাই বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করলাম। অবশ্য এবার আর ছবি তুলতে ভুলিনি। হা হা হা আমি মাঝে মাঝেই খাওয়া দাওয়ার আগে ছবি তুলতে ভুলে যাই। প্রথমে একটু কাবাব মুখে দিতেই মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। কারণ কাবাব গুলোর স্বাদ ছিল দারুন। সেই প্লাটারে ছিল মালাই কাবাব, চিকেন শিক কাবাব, চিকেন চাপ এবং চিকেন তান্দুরি। সাথে ছিলো পড়োটা আর সালাদ। আর আমি ড্রিংস হিসেবে নিয়েছিলাম মিন্ট লেমনেড। যদিও সেটার আর ছবি তোলা হয়নি। কাবাব গুলি খাওয়ার সময় বুঝতে পারলাম কেন সবাই এই কাবাবের সুনাম করে। প্রত্যেকটা কাবাব ই ছিলো অত্যন্ত সুস্বাদু। আমি ধীরেসুস্থে আমার খাওয়া শেষ করলাম। তারপর বাসার জন্য কাবাব আর পরোটা নিয়ে বিল মিটিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। ফেরার সময় অবশ্য মনে মনে চিন্তা করছিলাম এখানে আবার আসতে হবে। কারণ এদের কাবাব গুলোর স্বাদ আসলেই দারুন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া না করলে ঘুরাঘুরি সম্পন্ন হয় না। মাঝেমধ্যে এমন উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরাঘুরি করতে আমারও খুব ভালো লাগে। আর আপনি তো এমনিতেই ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করেন। যাইহোক খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। কাবাব আমারও ভীষণ পছন্দ। ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বাইরে ঘোরাফেরা করতে আমারও বেশ ভালো লাগে। আর এই ঘোরাফেরার মাঝে যদি একটু খাওয়া-দাওয়া করা হয় তাহলে তো আরো ভালো লাগে। আপনি বাইরে থেকে ঝাল মুড়ি খেয়ে যখন ক্ষুধা মিটলো না তখন একটা কাবাবের রেস্টুরেন্টে গিয়ে কাবাব খেয়ে আসলেন জেনে ভালো লাগলো। আর কাবাবগুলো বেশ সুস্বাদু ছিল সেটাও জেনে ভালো লাগলো। আসলে সব সময় সব জায়গার খাবার আমাদের পছন্দমত হয়না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সবমিলিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমরা সবাই মিলে শুক্রবারেই কাবাব খেয়েছিলাম।বেশ মজা করেছি।আর ভাইয়া আপনি আমাদের নক দিলেই কিন্তু কাবাব খেতে চলে আসতাম,হাহাহা।যাইহোক মালাই কাবাব খাওয়া হয়নি কখনো,দেখে মনে হচ্ছে খুব মজার ছিল।আমার তো ইচ্ছে করছে একপিস খেয়ে ফেলি।আর এটা ঠিক, বাইরে ঘুরতে বের হলে খাওয়া দাওয়া না করলে মজাই লাগে না।যাইহোক খুব মজা করে খেয়েছেন আর বাসায় নিয়ে গিয়েছেন হিসেবে ভাবী রাগ করেনি,নাইলে আপনার একা খাওয়ার উসুল করে নিতো,হিহিহি🤭।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক কথা ভাইয়া বাইরে গেলে কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে। না খেয়ে আসলে যেন ঘোরাটা পরিপূর্ণ হয় না।একা একা ঘুরেছেন এবং খেয়েছেন দেখে অবাক লাগলো কারণ একা একা ঘুরতে তেমন ভালো লাগে না। যাইহোক নিজে খাওয়ার পর বাসার জন্য নিয়ে গিয়েছেন তা দেখে ভালো লাগলো। আমরাও কিছুদিন আগে একটা পার্টি করেছিলাম সবাই মিলে। সেখানে কাবাব খেয়েছি, কাবাব খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে।