বাপ মেয়ের রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিকেলের নাস্তা করার অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমার মেয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের বাসা থেকে একেবারে কাছে হওয়ায় তাকে বেশিরভাগ সময় আমার স্ত্রী আনা নেয়া করে। তবে কোন কারনে সে ব্যস্ত থাকলে তখন আমি মেয়েকে আনা নেয়া করি। গতকালকে আমার স্ত্রী একটি জরুরী কাজে বাইরে যাওয়ার কারণে আমাকে বলে গিয়েছিল বিকালে ছুটি হলে যেন আমি মেয়েকে নিয়ে আসি। আমি সম্মতি জানালে সে দুপুরের দিকে বাইরে কাজে চলে গিয়েছিলো। যথারীতি আসরের নামাজ পড়ে আমি আমার মেয়েকে আনতে গিয়েছিলাম। মেয়ে প্রতিদিন তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে হালকা কিছু খেতে চায়।

IMG_20231120_162157.jpg

তাছাড়া আগের দিন সন্ধ্যার সময় সে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার জন্য জিদ করছিলো। তখন আমি তাকে বলেছিলাম পরদিন তাকে বাসার কাছের রেস্টুরেন্ট থেকে চাওমিন খাওয়াবো। তখন সে শান্ত হয়েছিলো। গতকাল বিকালে আমি যখন তাকে আনতে গিয়েছিলাম। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার কি ক্ষুধা লেগেছে নাকি? তখন সে বললো হ্যাঁ খুধা লেগেছে। তারপর আমি তাকে বললাম পাশের রেস্টুরেন্ট থেকে তোমাকে চাওমিন খাওয়াতে পারি। তবে তুমি কি রেস্টুরেন্টে বসে খেতে চাও নাকি বাসায় নিয়ে যেতে চাও। তখন সে জানালো রেস্টুরেন্টে বসেই খাবে। রেস্টুরেন্টটা তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিক পাশেই অবস্থিত। আমি তখন তাকে নিয়ে সরাসরি সেই রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম।


IMG_20231120_161928.jpg

সেখানে গিয়ে মেনু কার্ড দেখে আমি চিকেন চাওমিন অর্ডার করলাম। এই রেস্টুরেন্টের চিকেন চাওমিন আমার খুবই পছন্দের। এটা যেমন দামে সাশ্রয়ী তেমনি খেতেও অত্যন্ত মজার। আর একটা চাওমিন দুজনে খুব ভালোভাবে শেয়ার করে খাওয়া যায়। যাই হোক চাওমিন অর্ডার করে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে একটি টেবিলে বসে রইলাম। এদিকে মেয়ে আমাকে বলল রেস্টুরেন্টটি ঘুরেফিরে দেখাতে। রেস্টুরেন্টে অবশ্য খুবই ছোট। তবে সেই রেস্টুরেন্টের একটা পাশে খোলামেলা একটা জায়গা রেখেছে তারা। সেই জায়গাতে দুই তিনটি টেবিল রয়েছে সাথে রয়েছে একটি দোলনা। আমার মেয়ে সেখানে গিয়ে দোলনায় বসে দোল খেতে লাগলো। আর এই ফাঁকে আমি কিছু ছবি তুলছিলাম।


IMG_20231120_163300.jpg

তবে মেয়ে সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। কারণ সেখানে মশার উৎপাত ছিলো। যার ফলে সেখান থেকে আমরা আবার রেস্টুরেন্টের ভিতরে এসে বসলাম। তবে যে টেবিলটাতে আমরা বসে ছিলাম সেখানে বসে গরম লাগছিলো। যদিও এখন হালকা শীত পড়ে গিয়েছে। তারপরেও দিনের বেলায় এখনো মাঝে মাঝে গরম লাগে। শীত পড়ে যাওয়ার কারণে রেস্টুরেন্টের এসি গুলো বন্ধ ছিলো। সেই কারণে গরমটা একটু বেশি লাগছিলো। আমরা সেই টেবিলটা থেকে সরে গিয়ে অন্য আরেকটি টেবিলে বসলাম। তারপর ওয়েটারকে ডেকে বললাম ফ্যানটা ছেড়ে দিতে। ফ্যান ছাড়ার পরে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। এর কয়েক মিনিটের ভেতরেই আমাদের টেবিলে চাওমিন পরিবেশন করলো। যে বাটিতে চাওমিন পরিবেশন করেছিল সেই বাটিটাও দেখতে বেশ সুন্দর ছিলো।


IMG_20231120_161911.jpg

আমি প্রথমে আমার মেয়ের প্লেটে চাওমিন পরিবেশন করলাম। তারপর আমি সেই বাটি থেকেই খেতে লাগলাম। আমি আগেও বলেছি এই রেস্টুরেন্টের চাউমিন আমার খুবই পছন্দের। অবশ্য শুধু আমার না আমার মেয়েও খুব পছন্দ করে এখানকার চাওমিন। যার ফলে আমরা দুজনেই বেশ মজা করে খেলাম। চাওমিন খাওয়া শেষ হলে আমার মেয়ে তখন বলল পিজ্জা খাবো। আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি এখন কি পিজা খেতে পারবে? তখন সে হেসে বলল না এখন পেটে জায়গা নেই। তখন আমি তাকে বললাম পরে আরেকদিন এসে এখান থেকে পিজ্জা খেয়ে যাবো।

তারপর বিল মিটিয়ে আমরা বাসায় চলে গেলাম। তবে এদিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমার কাছে সন্দেহ হতে লাগলো এদের রেস্টুরেন্ট হয়তো আর বেশিদিন এখানে থাকবে না। কারণ বিকালের সময়টাতেই রেস্টুরেন্ট গুলিতে বেশ ভালো পরিমাণ কাস্টমার থাকে। কিন্তু গতকাল বিকালে গিয়ে দেখি সেখানে আমরা বাদে আর কেউ নেই। এ থেকেই বোঝা যায় তাদের ব্যবসা খুব একটা ভালো চলছে না। অবশ্য আমি মনেপ্রাণে চাই তাদের ব্যবসাটা যেন ভালো চলে। কারণ বাসার কাছে এমন একটি রেস্টুরেন্ট থাকলে আমার জন্য অনেক সুবিধা হয়। কারণ আমার মেয়ে মাঝে মাঝেই হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার জন্য জিদ ধরে। তখন বাসার কাছের এই রেস্টুরেন্টটা কাজে লাগে। যাইহোক সেদিনের মত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাপ বেটিতে খুশিমনে বাড়ি ফিরে এলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 months ago 

বাহ আমি ছিলাম না সেই সুযোগে বাবা মেয়ে মিলে রেস্টুরেন্টে চলে গিয়েছেন ,ভালই তো ।আমারটা বাকি থাকলো কিন্তু ।নিশ্চয়ই একদিন যেয়ে খেয়ে আসবো।

 8 months ago 

আপনার মেয়ে আপনার মতোই বাহিরে খাওয়া দাওয়া করতে একটু বেশি পছন্দ করে। আর এমনিতেও বিকেলে বা সন্ধ্যার নাস্তায় চাওমিন খেতে দারুণ লাগে। চাওমিন দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আসলেই বাসার কাছে রেস্টুরেন্ট থাকলে অনেক সুবিধা হয়। প্রয়োজন হলে যখন তখন যাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাহলে আপনার মেয়েকে পিজ্জা খাওয়ানোর জন্য রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে হবে। যাইহোক এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67808.66
ETH 3248.00
USDT 1.00
SBD 2.67