রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
উপরের ছবি দুটির প্রথম ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন চিকেন বারবিকিউ তৈরি করা হচ্ছে। আর দ্বিতীয় ছবিতে সেই বারবিকিউ গুলো লোকজন বসে খাচ্ছে। ছবিটি তুলেছি আমাদের শহরের একটি কাবাবের দোকান থেকে। এই দোকানের কাবাব শহরের ভেতর সবচাইতে জনপ্রিয়। আমিও মাঝে মাঝে এখান থেকে কাবাব খেয়ে থাকি। সেদিন সন্ধ্যার পরে গিয়েছিলাম কাবাব আনতে তখনই ছবিটি তুলেছিলাম।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে এক পশলা বৃষ্টি হোলো। বৃষ্টিটা বেশ ভালোই হয়েছিলো। প্রচন্ড গরমের ভেতরে সেই বৃষ্টিটা কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছিলো। যদিও বৃষ্টি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আবার গরম লাগছিলো। প্রচন্ড গরমের ভেতর বৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টিতে গোসল করতে ইচ্ছা করছিলো। তবে পরবর্তীতে বজ্রপাতের ভয়ে আর বৃষ্টিতে নামা হয়নি। বৃষ্টিতে গা না ভেজালেও মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি তুলে রাখতে ভুলিনি।
এই ছবিটি আজকে আমার বাসার সামনে থেকে তুলেছি। বাসার সামনের এ রাস্তাটা সপ্তাহের ছয় দিন বেশ ব্যস্ত থাকে। আজকে শুক্রবারের দিন হওয়ায় রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে একেবারেই ফাঁকা। নিরিবিলি নির্জন এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো। যদিও এখন আর এই রাস্তাটাকে নিরিবিলি রাস্তা বলা যায় না।
এই ফুড কার্টটি আমাদের শহরের নতুন হয়েছে। এদের খাবারের মান বেশ ভালো। আমি গতকালকে এখান থেকে কিছু খাবার টেস্ট করেছি। কয়েকদিন ধরেই যাওয়া আসার পথে ফুড কার্টটি দেখতে পাচ্ছিলাম। তখনই চিন্তা করেছিলাম একবার এখান থেকে খাবার টেস্ট করতে হবে। তাই গতকালকে গিয়েছিলাম কিছু খেয়ে দেখতে। খাবার খাওয়ার পর বুঝতে পেরেছি কেনো সন্ধ্যার পরে এখানে এতোটা ভিড় হয়।
আমার এক আত্মীয় অসুস্থ থাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই হাসপাতালে সময় কাটাতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকার ফাঁকে একসময় উপর থেকে ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিটাতে আপনারা শহরের একটি ব্যস্ত রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন। যদিও আজকে শুক্রবার থাকায় রাস্তাটা মোটামুটি ফাঁকা দেখা যাচ্ছে।
ইদানিং বাংলাদেশের মানুষের মাঝে অসুখ-বিসুখের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। আর সেই সাথে কিছু মানুষের দারুন ব্যবসাও শুরু হয়েছে। ছবিতে আপনার দেখতে পাচ্ছেন ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ফরিদপুর শাখা। মানুষের অসুখ-বিসুখ বাড়ার সাথে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ব্যবসা গুলো বেশ জমে উঠেছে। সে জন্যই তো ল্যাবএইডের মতো দেশের স্বনামধন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমাদের ছোট্ট শহরে তাদের শাখা খুলেছে।
এখন ছবিতে আপনারা যে মিষ্টির দোকানটি দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের শহরের সবচাইতে নামকরা মিষ্টির দোকানের একটি শাখা। এদের বেচাকেনার পরিমাণ দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠে যায়। বেচাকেনার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এরা শহরে প্রায় চার-পাঁচটা শাখা খুলেছে। আবার এদের দোকানে মিষ্টির দামও অনেক বেশি। তারপরও এতো বেচাকেনা দেখে একটা কথাই মনে হয় আসলেই কি বাংলাদেশের মানুষের টাকার কোন অভাব রয়েছে?
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ভাই সুন্দর কিছু চোখে পরলে আমরা ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারি না। যাইহোক আপনার শেয়ার করা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাই। চিকেন বারবিকিউ দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। কারণ চিকেন বারবিকিউ আমার ভীষণ পছন্দ। আমাদের দেশের মানুষ যে পরিমাণে বিলাসিতা করে,এতে করে আসলেই মনে হয় না কেউ অভাবে আছে। যাইহোক সবমিলিয়ে ফটোগ্রাফিগুলো বেশ উপভোগ করলাম। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই চিকেন বারবিকিউটা দেখতে যেমন ভালো। খেতেও দারুন মজাদার।
প্রচন্ড গরমের ভেতরে একটু বৃষ্টি পেলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। মানুষের যত অসুখ-বিসুখ হবে ততই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের লাভ হবে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাই। প্রচন্ড গরমের ভেতর এক পশলা বৃষ্টি মনে আসলেই স্বস্তি এনে দেয়।
বৃষ্টির ফটোগ্রাফি টা দেখে বৃষ্টির জন্য যেন আমার মনের মধ্যে হাহাকার করে উঠল। ইস কতদিন বৃষ্টি হয় না ভাবতে পারছি নাহ। বতর্মানে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এক ব্যবসায় লেগেছে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো। ওখানে যেন মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা হয় দামদর হয়। সুন্দর করেছেন ভাই ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
শুধু আপনার না সবার মনের ভেতরেই হাহাকার এখন বৃষ্টির জন্য। পুরো দেশটা মনে হয় ফুটন্ত কড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।