শহরে নতুন উদ্বোধন হওয়া কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে খেতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা।
amarbanglablog
আমার মা বলল যেহেতু আমার নানি বাসায় রয়েছে। তাই তাকে একা রেখে তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না। নানিকেও সাথে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারলাম তার পক্ষে বেশ শারীরিক ধকল হয়ে যাবে। কারণ একবার আমাদের তিন তলা থেকে থাকে নিচতলা পর্যন্ত নামতে হবে। আবার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট টাও অবস্থিত একটা বিল্ডিং এর তিন তলায়। এতোবার সিড়ি দিয়ে উঠানামা তার জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। এজন্য নানিকে নেয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমার মা যখন কিছুতেই যেতে রাজি হোলো না। তখন ঠিক করলাম তাদের জন্য খাবার পার্সেল করে নিয়ে আসবো। যাই হোক যোহরের নামাজ পড়ে এসে আমি কাপড়চোপড় পাল্টে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে রওনা দিলাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। রেস্টুরেন্টটা আমাদের বাসা থেকে একেবারেই কাছে। দূরত্ব হবে এক কিলোমিটারেরও কম। যার ফলে অল্প সময়েই সেখানে পৌঁছে গেলাম। রেস্টুরেন্টটা আমাদের শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে একটা বিল্ডিং এর তিনতলায় অবস্থিত।
সেখানে পৌঁছে রীতিমতো আমার চক্ষু চড়ক গাছ। রেস্টুরেন্টে ঢোকার আগেই দেখি রেস্টুরেন্টের বাইরে বেশ কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে যে কখন ভেতরের টেবিল খালি হবে। আর তারা গিয়ে সেখানে বসবে।তবে আমরা বাইরে অপেক্ষা না করে রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে গেলাম। সেখানে গিয়ে এক ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করলাম টেবিল খালি আছে কিনা? ওয়েইটার জানালো টেবিল খালি নেই। তবে আমাকে একটি টেবিল দেখিয়ে বলল এই টেবিলটা একটু পরেই খালি হবে। তখন আপনারা এখানে বসতে পারবেন। সে আমাদেরকে সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরামর্শ দিলো। রেস্টুরেন্টে খেতে এসে বিয়ে বাড়ির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে মোটেও ভালো লাগছিল না। যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আমাদের সেই টেবিলটা খালি হোলো। টেবিলে বসে আমরা ওয়েটারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তবে প্রচন্ড ভিড় থাকায় ওয়েটার এলো বেশ কিছুক্ষণ পরে। যাই হোক ওয়েটার টেবিলের কাছে এলে তাকে আমাদের জন্য কাচ্চি আর সাথে বোরহানি আর বাদামের শরবত অর্ডার করলাম।
ওয়েইটার আমাদেরকে জানালো খাবার পরিবেশন করতে দশ মিনিট মতো সময় লাগবে। খাবার অর্ডার করে আমরা নিজেদের ভেতর গল্পগুজব করছিলাম। গল্প করতে করতে এক সময় দেখি কখন পনেরো মিনিট পার হয়ে গিয়েছে। অথচ তখনও খাবারের দেখা নেই। এদিকে ওয়েইটার কেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত ওয়েইটারকে দেখে ডাক দিয়ে খাবারের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলল আর কিছুক্ষণের ভেতরে খাবার দিয়ে দিচ্ছি। এই কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের টেবিলে ধোঁয়া ওঠা কাচ্চি বিরিয়ানি পরিবেশন করলো। খাবারটা দেখেই দারুন লাগছিলো। কিন্তু খেতে গিয়ে কিছুটা আশাহত হলাম। কারণ কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস যদি খুব ভালোভাবে সেদ্ধ না হয় তাহলে বিরিয়ানি টেস্ট অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। এখানে সেটাই হয়েছিলো। কিছু মাংস পেয়েছিলাম যেগুলো ছিল প্রচন্ড শক্ত। কাচ্চি ভাইয়ের মতো এমন একটা রেস্টুরেন্ট থেকে এই ধরনের বিষয় আমরা আশা করিনি। যাইহোক মাংস শক্ত হওয়াটা বাদে বাদবাকি সবকিছু ঠিক ছিলো।
যখন আমাদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো। তখন পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা ছিলো। তাই বেশি কথা না বলে দ্রুত খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই আমরা দুটো পার্সেলের অর্ডার করেছিলাম। সেই পারসেল দুটো দিতেও তারা বেশ খানিকটা সময় নষ্ট করলো। যদিও রেস্টুরেন্টে অনেক কাস্টমার থাকার কারণে বিষয়টা আমি মেনে নিয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে পার্সেল নিয়ে বিল মিটিয়ে রওনা দিলাম বাড়ির দিকে। তবে আসার আগে সেখানকার ম্যানেজারের কাছে খাবারের ব্যাপারে একটা অভিযোগ জানিয়ে এসেছি। তিনি বলেছেন এরপর থেকে তারা এই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। আর এভাবেই আজকের খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হয়েছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। খাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে খেতে গিয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া মাংস শক্ত হলে খেতে খুব একটা ভালো লাগেনা। এই বিষয়টা ছাড়া বাকি সব কিছু ভালো ছিল শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া। দেখেই বুঝতে পারছি এটা অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। যেহেতু আপনারা আসার আগে ম্যানেজারের কাছে অভিযোগটা দিয়েছিলেন, আশা করছি এরপর থেকে তারা এই বিষয়টা ভালোভাবে খেয়াল করবে।
আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তের পোস্টটা আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। মাঝেমধ্যে এভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে তো ভালো লাগে। আর যদি ফ্যামিলির সাথে হয়, তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আর খাবারের মান যদি তেমন ভালো না হয়, আমার কাছে তো অনেক বেশি বিরক্ত লাগে বিষয়টা। ভালো করেছেন ম্যানেজারের কাছে বিচার দিয়ে। অভিযোগ না দিলে খাবারের মান এরকমই থাকে। মাংস যদি ভালোমতো সিদ্ধ না হয় তাহলে খেতে তো একেবারে ভালো লাগে না। অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন মুহূর্তটি
আপনাদের শহরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পরিবার নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে মোটামুটি ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন তাহলে। তবে এটা ঠিক যে, কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ না হলে খেতে ততোটা ভালো লাগে না। ম্যানেজারের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে খুব ভালো করেছেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।