বাজার থেকে ফল কেনার অভিজ্ঞতা।
যদিও প্রথম কয়েকটা রোজা ঢাকায় পালন করার কারনে খাওয়া-দাওয়ার কিছুটা অনিয়ম হয়েছিলো। বোনের বাসায় থাকার কারণে সেখানে খাওয়াটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিলো। তাই বাসায় এসেই বেশ কিছু ফল কিনেছিলাম ইফতারের জন্য। তবে কয়েকদিন পার হয়ে যাওয়ায় গতকাল আমার স্ত্রী জানালো ফল সব শেষ হয়ে গিয়েছে। তখন আমি তাকে জানালাম পরদিন বাজারে গিয়ে ফল নিয়ে আসবো। তবে গতকালই বুঝতে পারছিলাম আজকের দিনটা আমার বেশ ব্যস্ততায় কাটবে। কারণ আমার এক আত্মীয় বেশ অসুস্থ। তাকে দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম আজ। যদিও সেখানে গতকাল যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু গতকালকের দিনটা আমার প্রচন্ড ব্যস্ততায় কেটেছে। সে কারণে আর যাওয়া হয়নি। সেই সাথে আজ আরো কিছু ব্যক্তিগত কাজকর্ম শেষ করতে হবে। তাই আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি কিছুটা আগে। ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে চলে গিয়েছিলাম বাজারে। সেখানে গিয়ে পছন্দ মতো ফলমূল কিনে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এসেছিলাম। আজকে বাজারে গিয়ে কিনেছি কমলা, আঙ্গুর, আপেল, সফেদা, পেয়ারা। সেই সাথে আমার মেয়ের জন্য কিনেছিলাম জিলাপি এবং বুন্দিয়া।
আমি এখন বাজারে গিয়ে নামি দামি দোকান থেকে ফল কিনি না। কারণ এই দোকানগুলো ফলের দাম রাখে অনেক বেশি। বেশিরভাগ সময় আমি চেষ্টা করি পরিচিত হকারদের কাছ থেকে ফল কিনতে। কারণ তাদের কাছ থেকে ফল কিনলে ফলগুলো দামেও কিছুটা কম পাওয়া যায়। আবার পরিচিত হওয়ার কারণে তারা কোনো খারাপ ফল দেয় না। যাইহোক বাজার থেকে ফিরে কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ জমে ছিলো সেই কাজগুলো শেষ করতে লাগলাম। কাজ অর্ধেক করা শেষ হলে আমার মায়ের সাথে রওনা দিলাম সেই আত্মীয়কে দেখতে।
সেই আত্মীয়র বাসা আমার বাসা থেকে একেবারেই কাছাকাছি। রিক্সা করে সেখানে যেতে মাত্র ৫ মিনিট লাগে। সেখানে পৌঁছে তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজখবর নিলাম। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বসে তার সাথে গল্প করে তারপর চলে গেলাম অন্য একটি ব্যক্তিগত কাজে। সেই কাজটি শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলাম। কারণ ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছিলো। একটা সময় ছিলো যখন কর্মব্যস্ত না থাকার কারণে রোজার সময় টা সহজে কাটতো না। কিন্তু এখন প্রচন্ড ব্যস্ত থাকার কারণে রোজা কখন শুরু হয়ে শেষ হয়ে যায় সেটা বুঝতেই পারি না। আসলে কর্মব্যস্ত থাকলে রোজা থাকতে অনেক সুবিধা হয়। এটা আগে বুঝতে পারতাম না। তবে এখন বিষয়টা বেশ ভালো অনুভব করতে পারি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফুল কেনার অভিজ্ঞতা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রমজান মাসে ফলের দাম পচুর বেশি। সেজন্য ফলের দোকানের কাছে তেমন একটা ভেড়া যায় না। আপনি রমজান মাসে ওজন কমাতে চেয়েছেন সেজন্য ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে ফল এবং ছোলা খাচ্ছেন। আপনার আত্মীয় অসুস্থ দোয়া করি খুব শীঘ্রই তিনি যেন সুস্থ হয়ে যায় ।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন তাহলে ৷ যাই হোক , অনেক প্রকার ফল কিনেছেন ৷ আসলে নামি দামি ফলের দোকান থেকে ফল কেনার চেয়ে সাধারণ দোকান থেকে ফল কেনাই অনেক লাভ ৷ সব দোকানের ফল প্রায় এক , শুধু অযথাই দাম বেশি রাখে তারা ৷ যাই হোক , আপনার ফল কেনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷ আপনার অসুস্থ আত্মীয় জন্য সুস্থতা কমনা করছি ৷
কথাটা ঠিক ভাই কর্মব্যস্ত থাকলে রোজার দিন খুব দ্রুতই চলে যায়। আর যদি আজাইরা বসে থাকি তাহলে দিন যেতেই চাই না। ফল কেনা ব্যাপার টা একটু ঝামেলার আছে। দুইটা দিকে খেয়াল রাখতে হয় ভালো ফল দিচ্ছে কীনা এবং দাম বেশি রাখছে কীনা। হঠাৎ কেউ ফল কিনতে গেলে যেকোনো একজায়গাই ধরা খেয়েই যায়। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাপার টা ভালো লেগেছে বড় দোকান গুলো থেকে ফল না কেনার ব্যাপার টা।
ভাজাপোড়া কম খেলে আশা করা যায় ওজন অনেক কমবে। আপনার ওজন কমানোর আইডিয়াটা বেশ ভালো। যাইহোক বেশ ভালোই ফল কিনেছেন ভাই। এটা ঠিক বড় দোকান থেকে ফল কিনলে তুলনামূলক ভাবে দাম বেশি রাখে। আমিও একসময় এই ভুলটা করতাম। ব্যস্ততা আসলে সবদিক থেকেই আসা শুরু করে। তবে ব্যস্ত থাকলে রোজার সময় কিভাবে কেটে যায়, সেটা টেরই পাওয়া যায় না। গতকালকে সকাল ৮ টার সময় ঘুম থেকে উঠে উত্তরা গিয়েছিলাম এবং ফিরেছি দুপুরের পর। সময় কিভাবে কেটে গিয়েছে টের পাইনি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দেখছি অনেক কর্মব্যস্ত মানুষ দাদা। একদিনে এত কাজ তো আমি কোনদিনও করতে পারতাম না। তবে আমিও আসলে আপনার মত ইদানিং দেখছি একটু মোটা হয়ে যাচ্ছি। আমারও খাবার-দাবারের উপর কিছুটা নজরদারি করতে হবে। যাই হোক, দাদা আপনার বাজারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা এবং ফল কেনার অভিজ্ঞতা শুনে বেশ ভালো লাগলো। আমি নিজেও কখনো দামি ফল কেনার পক্ষে নই। সস্তা ফলেই পুষ্টি গুনাগুন বেশি।