রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম বন্ধু রাফসানের এলাকায় শীতের বিকালের গ্রামীণ সৌন্দর্য দেখতে। মূল উদ্দেশ্য ছিল নদীর পাড়ে কিছুটা সময় কাটাবো তিন বন্ধু মিলে। তো রাফসানের বাড়ি যেতেই সে বলল চল আমরা হেঁটে নদীর দিকে যাই। নদীর পাড়টা না রাফসানের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূর। তাই আমি প্রথমে হেঁটে যেতে রাজি হচ্ছিলাম না। তবে পরবর্তীতে ওদের জোরাজুড়িতে ওদের সাথে হাঁটতে শুরু করলাম। দীর্ঘদিন পর শীতের বিকালে ফসলের ক্ষেতের ভিতর দিয়ে হাঁটতে দারুন লাগছিলো। তখনই এই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বন্ধু ফেরদৌস ফসলের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
এই ছবিটি তুলেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স থেকে। আমি আর ফেরদৌস ঘোরাফেরা শেষে দুপুরের দিকে বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। তখনই বসুন্ধরা সিটির নিচ তলা থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স আমার অনেক পছন্দের একটা জায়গা। সেখানে গেলেই আমার কাছে কেমন জানি একটা উৎসব উৎসব মনে হয়। কারণ যখনই যাই সেখানে প্রচুর মানুষ দেখতে পায়।
কিছুদিন আগে আমি আর ফেরদৌস গিয়েছিলাম পদ্মার চরে ঘুরতে। সেখান থেকেই এই ছবিটি তুলেছিলাম। চরের রাস্তাঘাট এখনো খুব বেশি ভালো না হওয়ায় সেখানকার মানুষজন এখনো মালা পত্র আনা নেয়ার জন্য ঘোড়ার গাড়ির উপর অনেকটা নির্ভর করে। সে কারণেই চরে গেলে প্রচুর ঘোড়া দেখতে পাওয়া যায় এই।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি সাধারণ গ্রাম্যপথ। এই পথ থেকে মোটেও বোঝার উপায় নাই কয়েক বছর আগেও এখানে ধুধু চর ছিলো। এখন সেখানে রাস্তাঘাট হয়েছে, মানুষের বসতবাড়ি হয়েছে। চোখের সামনে একটা জায়গাকে এতোটা বদলে যেতে দেখে আসলেই অবাক লাগে। এই ছবিটিও পদ্মার চর থেকে তুলেছিলাম।
উপরের ছবি টিও পদ্মার চরে যাওয়ার সময় তুলেছিলাম। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ছোট্ট নৌকায় কয়েকজন লোক উঠছে। পদ্মার চর থেকে আমাদের শহরে আসা যাওয়ার জন্য এখনো সবাই নৌকা বক ট্রলারের উপর নির্ভর করে। আগে অবশ্য পারাপারের কাজটা ইঞ্জিন ছাড়া নৌকার মাধ্যমেই করা হোতো। তবে এখন প্রতিটা নৌকায় ইঞ্জিন বসেছে। যার ফলে এখন মানুষ অনেক দ্রুত এপার থেকে ওপারে আসা যাওয়া করতে পারে।
শীতের দিনের বিকালে আমি গ্রামের দিকে গেলে শর্ষে ক্ষেত দেখতে পেলে সেটার ছবি তুলি। এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কারণ হলুদ সরিষা ফুলে ঢেকে থাকা মাঠের ছবি আমাকে দারুন ভাবে আকর্ষণ করে। আমি জানি আপনারাও এই দৃশ্যটা দেখতে অনেক পছন্দ করেন। বন্ধু রাফসানের এলাকায় গিয়ে এই ছবিটা তুলেছিলাম।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন আচার বিক্রেতাকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের আচার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোনো এক গ্রামীণ বাজার থেকে হয়তো এই ছবিটি তুলেছিলাম। আচার খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। তবে এই ধরনের খোলা জায়গার আচারগুলো আমি খেতে পারি না। কেমন যেন অস্বস্তি লাগে। আসলে আচারগুলো যদি ঢেকে রাখতো তাহলে মনে হয় আরো অনেক বেশি কাস্টমার তার থেকে আচার কিনতো।
এই ছবিটি তুলেছিলাম বায়তুল মোকাররমের পাশ থেকে। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন বিক্রেতা নানা রকমের খেজুর সাজিয়ে বসে আছে। এই দোকানটাতে গেলে বিভিন্ন রকমের খেজুর দেখতে পাওয়া যায়। একেবারে কম দামি থেকে সর্বোচ্চ দামের খেজুর এখানে গেলে আপনি পাবেন। খেজুরের ভিতর যে এতো রকম হয় সেটা আমার জানা ছিল না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা, ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনি শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। এরমধ্যে চরে ঘুরতে গেছেন সেখানে ঘোড়া দেখে খুব সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
রেনডম প্রকিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিলো।গ্রামের এই সুন্দরময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনার বন্ধু রাফসানদের এলাকার এই ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে আমার। আসলে গ্রামের এই সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য আপনি বন্ধুদের সাথে সৌন্দর্যময় এই মুহূর্তে উপভোগ করলেন এবং ফসলের ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে নদীর কিনারায় হেঁটে যাচ্ছিলেন। আপনার বন্ধু ফেরদৌস ফসলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। আসলে একসাথে বন্ধুদের সাথে থাকলে এরকম অনেক আনন্দ বা মুহূর্ত উপভোগ করা যায়।
ভাই একদম সত্যি কথা বলেছেন ছবি বা ফটোগ্রাফি করার দুটি সময় যার মধ্যে শীতকাল অন্যতম ৷ কারন এই শীতের মৌসুমে গ্রামার বাংলার মাঠ প্রান্তর এক নতুন রুপে পরিনত হয় ৷ নতুন ধান ঘরে তোলা এরপর বিভিন্ন রকম সবজির চাষাবাদ সবমিলে কৃষকের ব্যস্ত সময় ৷ যা হোক আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ গ্রামের মেঠো পথ নদী নৌকা সরিষার ফুল সবমিলে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ৷
আপনি ঠিক বলেছেন দুটো ঋতুতেই ফটোগ্রাফি করার জন্য পারফেক্ট সময়।বর্ষাকাল আর শীতকাল।আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো। সুন্দর বর্ননায় ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার মতো আমারও গরম একেবারে অসহ্য লাগে। তাইতো শীতকাল আমার খুব প্রিয় একটি ঋতু। যাইহোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাই। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ঘুরতে গেলে আসলেই খুব ভালো লাগে। সবসময়ই মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। সরিষা ফুলের ঘ্রাণে মনটা একেবারে জুড়িয়ে যায়। পদ্মার চরের ফটোগ্রাফিটাও দারুণ লাগছে দেখতে। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।