বাইতুল মোকাররম মার্কেটে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার অভিজ্ঞতা।
যাই হোক প্রতিবার ঢাকায় আসলে আমি চেষ্টা করি একবার বাইতুল মোকাররম এলাকা থেকে ঘুরে আসতে। বাইতুল মোকাররম মার্কেটের নিচ তলায় অনেক হকার বসে। তাদের কাছে নানা রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সে জিনিসপত্রগুলো দেখতে এবং কেনাকাটা করতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। যেহেতু ঢাকায় আরো দুই তিন দিন থাকতে হবে তাই আজ সকালে চিন্তা করলাম বাইতুল মোকাররম থেকে ঘুরে আসি। চিন্তা করছিলাম সেখানে গেলে বেশ কিছু ছবিও তোলা যাবে। গতকাল রাতেই পরিকল্পনা করেছিলাম আজকে বায়তুল মোকাররম যাবো। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাইতুল মোকাররম এর উদ্দেশ্যে। তবে রোজার দিন হওয়াতে বের হয়েছিলাম কিছুটা বেলা করে। কারণ রোজার দিনে সমস্ত দোকানপাট খুলে একটু দেরি করে। বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে রিকশা করে তারপর বাসে উঠে প্রথমে গিয়েছিলাম শাহবাগ। শাহবাগে ঘোরাফেরা শেষ করে গিয়েছিলাম বাইতুল মোকাররম। শাহবাগের গল্প অন্য আর একদিন করবো। শাহবাগের ঘোরাফেরা শেষ হলে আমি চলে গিয়েছিলাম বায়তুল মোকাররম মার্কেটে। মূলত উদ্দেশ্য ছিল সব সময় ব্যবহার করার জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনব এবং খেজুর কিনবো।
সারা বাংলাদেশের সব জায়গায় খেজুরের দাম হয়ে গিয়েছে আকাশ ছোঁয়া। আমি চিন্তা করেছিলাম হয়তো বাইতুল মোকাররম এলাকায় কিছুটা কমে পাওয়া যেতে পারে। তবে সেখানে পৌঁছে যখন খেজুরের দরদাম করলাম তখন দেখলাম সেখানেও একই রকম অবস্থা। বাইতুল মোকাররম এলাকায় প্রচুর খেজুর কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক বেশি পাওয়া গেলেও দাম অন্য জায়গার মতোই। দাম বেশি হলেও কি আর করা। যেহেতু রমজান মাস চলছে তাই খেজুর তো কিনতেই হবে। সেই কারণে আমি কিছুটা খেজুর কিনলাম। তারপর আমি বাইতুল মোকাররমের অন্য দোকানগুলো ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। সেখানে বরাবরের মতোই ছেলেদের জামা কাপড় থেকে শুরু করে মেয়েদের জামা কাপড়, ঘরের ব্যবহারের তৈজসপত্র থেকে শুরু করে জুতা স্যান্ডেল শোপিস সবই ছিলো তাদের কাছে।
আমি ঘুরেফিরে সবগুলো দোকান দেখতে লাগলাম আর ছবি তুলতে লাগলাম। ছবি তোলা পর্ব শেষ হলে আমি আর একটু সামনে আগালাম পাঞ্জাবি কেনার জন্য। সেখানে দু একটা দোকান দেখে আমি পছন্দ মতো একটা পাঞ্জাবি কিনে ফেললাম। পাঞ্জাবি কেনা শেষ হলে সামনে আরো কয়েকটি দোকানে দেখতে পেলাম যেখানে পায়জামা রয়েছে। সেখান থেকে একটি পায়জামা আমার পছন্দ হয়ে গেলো। পরে দরদাম করে একটি পায়জামাও ওকে নিলাম। পায়জামা কেনার পরে সেখান থেকে অল্প টাকার ভেতরে একটি টি শার্ট কিনলাম। কেনাকাটা শেষ হলে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি বেলা প্রায় দেড়টা বেজে গিয়েছে। তাছাড়া রমজানের দিন ঘোরাফেরা করে কিছুটা ক্লান্তও লাগছিলো। তাই আর বেশি ঘোরাফেরা না করে বাসায় ফিরে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | বাইতুল মোকাররম |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
(https://steemitwallet.com/~witnesses)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাইতুল মোকাররম মার্কেটে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিয়ে সুন্দর এক্তটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পোস্টটি সুন্দর হয়েছে। পাঞ্জাবি,খেজুর সহ অন্যান্য আরো কিছু কেনাকাটা করেছেন এবংঘোরাঘুরি। ভালোই কেটেছে সময়টা আপনার। পোস্টের ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
প্রথমত আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করি ৷ বাইতুল মোকাররম মার্কেটে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটার মূহুর্ত টা বেশ ভালোই ছিল ৷ তবে রমজান মাস এলেই প্রায় সবকিছুর দাম বেড়ে যায় ৷ জানি না কেন এমন ব্যাবসা কি এই রমজান মাস জুড়ে আমিও গতকাল লেবু কিনতে গিয়ে অবাক ৫০ টাকা হালি শুনে ৷
যা হোক বাইতুল মোকাররম অনেক সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে ফটোগ্রাফি ৷
রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার ও মানবিকতার অভাব।
বাংলাদেশের অবস্থা টা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যখন যেটা প্রয়োজন তখন সেটার দামই হয় আকাশ ছোয়া। ১০০ টাকার খেজুরে ২০০ টাকা ভ্যাট ধরলে আর কী হবে বলেন ভাই। বাইতুল মোকারম মার্কেট জায়গাটা কেনাকাটার জন্য বেশ ভালো বলব আমি। আমি কয়েকবার গিয়েছি কিন্তু কখনো কেনাকাটা করা হয়নি। কিন্তু আপনি দেখছি কেনাকাটা করেছেন পাঞ্জাবি, পায়াজামা, শার্ট সবকিছুই কিনেছেন দেখছি।
এখানে সরকার এবং ব্যবসায়ী দুপক্ষই সমান অপরাধী
১০০ টাকার খেজুর ২০০ টাকা ভ্যাট বসালে দাম দাঁড়ায় ৩০০ টাকা। কিন্তু সেই খেজুর বাজারে বিক্রি হচ্ছে হাজার বারোশো টাকা কেজিতে। আর বাইতুল মোকাররম মার্কেট আসলেই টুকিটাকি কেনাকাটা করার জন্য বেশ ভালো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সব জায়গায় তাহলে খেজুরের দাম বেশি। কি আর করার ইফতারে খেজুর খেতেই হবে আমাদের। বায়তুল মোকাররম একবার আমিও গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটার জন্য। কিন্তু পছন্দ করতে পারেনি। যাক, আপনি পাঞ্জাবী, পায়জামা, আর টি শার্ট নিলেন ।
আমাদেরও করার কিছু আছে। আমরা সবাই যদি খেজুর কেনা বন্ধ করে দিই অথবা কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিই তাহলে এমনিতেই এই খেজুরের দাম কমে আসবে। কারণ রমজান মাস শেষ হয়ে গেলে খেজুরের চাহিদা ও অনেকটা কমে যাবে।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। আমরা বেশি পরিমাণে না কিনে কম পরিমাণে কিনলে ভালো হবে
ভাই খেজুরের দাম সব জায়গায় বেশি। মোটামুটি মানের খেজুর ৬০০ টাকার নিচে না। যাইহোক বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে আমি গত মাসে একটি টুপি এবং তিনটি আতর কিনেছিলাম। সেখানকার আতর গুলো বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। তবে পাঞ্জাবি সেখান থেকে কেনা হয় না। পাঞ্জাবি মাঝেমধ্যে পীর ইয়ামেনী মার্কেট থেকে কেনা হয়। যাইহোক সেখান থেকে পাঞ্জাবি, পায়জামা এবং টি-শার্ট কিনেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কমেন্ট পড়ে একটা জিনিস মনে পড়ে গেলো। আমিও আতর কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কেনা হয়নি। এরপরে বাইতুল মোকাররম এলাকায় গেলে অবশ্যই কিছু আতর কিনবো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া ঢাকায় আছেন জানলাম।মায়ের কারনে আছেন।নয়ত ঢাকায় থাকতে আপনার ভালো লাগেনা।আপনি শাহবাগ থেকে ঘুরে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে এলেন খেজুর আর পাঞ্জাবী কেনার জন্য। এখানে এসেও দেখলেন খেজুরের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে।কিন্তু প্রয়োজন বলে কথা।ইফতারে খেজুর তো খেতেই হয়।তাই দাম বেশী হলেও কিনতে তো হবেই।আপনি খেজুর ও পাঞ্জাবী কিনলেন।এরপর বাসায় চলে গেলেন।আপনার সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।