নিজের জন্য ঈদ শপিং ও মেয়ের জন্য বাজি কেনা (প্রথম পর্ব)।
প্রথমে চিন্তা করেছিলাম একটা গেঞ্জি আর একজোড়া স্যান্ডেল কিনবো। কোথা থেকে কিনবো সেটা আগে থেকেই ঠিক করে দেখেছিলাম। পরিকল্পনা করেছিলাম প্রথমে ইজির শোরুমে যাবো। সেখানে গিয়ে যদি গেঞ্জি পছন্দ হয়ে যায় তাহলে গেঞ্জিটা সেখান থেকে কিনবো। ইজির কাপড় চোপড় আমার আগাগোড়া বেশ পছন্দের। ওদের কাপড়ের মান ভালো আবার দামও মোটামুটি সাধ্যের ভেতরে। যাই হোক ঈদের মাত্র দুদিন আগে গিয়েছিলাম শপিং করতে। চেয়েছিলাম শপিং এর সময় বন্ধু ফেরদৌসকে সাথে নিয়ে যেতে। তবে সে তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আসতে পারেনি। যার ফলে আমাকে একাই যেতে হয়েছিলো শপিংয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কমিউনিটির জরুরি কাজগুলো শেষ করে আমি রওনা দিয়েছিলাম শপিং করার উদ্দেশ্যে। ইজির বড় একটা শোরুম হয়েছে আমাদের শহরে। বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমেই চলে গিয়েছিলাম সেই শোরুমে।
শোরুমটার দূরত্ব আমাদের বাসা থেকে খুব একটা বেশি দূরে না। মাত্র ১.৫ থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ছিলো সেটার অবস্থান। যার ফলে সেখানে যেতে আমার খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। কেনাকাটার সময় আমি খুব একটা সময় নেই না। চেষ্টা করি দ্রুত সময়ের ভেতরে কাপড়-চোপড় কেনাকাটা করতে। ইজির শোরুমে প্রবেশ করে প্রথমেই আমি কলার ওয়ালা গেঞ্জি গুলো দেখতে লাগলাম। কিছু গেঞ্জি দেখার পরেই বটল গ্রীন কালার এর একটা গেঞ্জি আমার বেশ পছন্দ হয়ে গেলো। সেলসম্যান কে যখন বললাম এটা কি আমার সাইজের হবে কিনা? তখন সে বলল স্যার একটু দাড়ান আমি চেক করে দেখছি। কিছুক্ষণ পর সে জানালো এটা স্টক আউট হয়ে গিয়েছে। এটার আর কোনো সাইজ নেই। কি আর করা তখন আমি অন্য গেঞ্জি দেখতে লাগলাম। তবে প্রথমে একবার কোন কিছু পছন্দ হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর অন্য কিছু সহজে পছন্দ হয় না। যেহেতু আমি শপিংয়ে বেশি সময় নষ্ট করি না তাই আমি দ্রুত অন্য আরেকটি গেঞ্জি পছন্দ করলাম।
সেই গেঞ্জিটা পছন্দ হওয়ার পরে সেলসম্যান কে বললাম সেটা আমার সাইজের দিতে। সেলসম্যান আমাকে আমার সাইজের একটা গেঞ্জি দিলে আমি সেটা নিয়ে ট্রায়াল রুমের দিকে যেতে লাগলাম। ট্রায়াল রুমের কাছে গিয়ে দেখি সেখানে রীতিমতো ভিড় লেগে রয়েছে। যার ফলে আমি সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা করতে গিয়ে আমার হঠাৎ করে অন্য আর একটা গেঞ্জির দিকে নজর চলে গেলো। গেঞ্জিটার কাছে গিয়ে দেখলাম গেঞ্জিটা দেখতে বেশ ভালো। আমার ওই গেঞ্জিটাও পছন্দ হয়ে গেলো। তখন চিন্তা করলাম তাহলে দুটো গেঞ্জি নিয়ে নেই। তখন আমি সেলসম্যানকে সেই গেঞ্জিটাও আমার সাইজের দিতে বললাম। তারপর দুটো গেঞ্জি নিয়ে ট্রায়ালরুমে ঢুকে গেলাম। ট্রায়াল রুমে ঢুকে গেঞ্জি দুটো গায়ে দিয়ে দেখি বেশ ভালোই ফিট হয়েছে। তারপর আমি সেই গেঞ্জি দুটো নিয়ে বিল মিটিয়ে ইজির শোরুম থেকে বেরিয়ে এলাম। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করার চিন্তা মাথায় থাকলে নিজের জন্য আর কিছুই কেনা হয়ে উঠে না। যেহেতু আমাদের সকলের প্রিয় আপু আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছেন তাই তো আপনাকে উপহারস্বরূপ শপিং করার জন্য কিছু অর্থ কন্ট্রিবিউট করেছেন। তবে ভাইয়া এটা একদম ঠিক কোন কিছু একবার পছন্দ হয়ে গেলে এরপর সহজে আর অন্য কিছু পছন্দ হতে চায় না। যাইহোক অবশেষে নিজের পছন্দের দুটি গেঞ্জি পেয়ে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ঈদ মোবারক ভাইয়া। ঈদের কেনাকাটা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যিই ভাইয়া মার্কেটে গিয়ে প্রথম কিছু পছন্দ হয়ে গেলে আর অন্য কিছু পছন্দ করতে মন চায় না।যাক পরবর্তীতে দুটো গেঞ্জি পছন্দ করে নিলেন।পরবর্তী পর্বে আরো কিছু জানবো আশাকরি।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আসলে ছেলেদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়ে থাকে। যখন তাদের মাথার উপর পরিবারের দায়িত্ব চলে আসে তখন নিজের জন্য আর কিছু কেনাকাটা করতে ইচ্ছে করেনা। যাই হোক তারপরও শেষ পর্যন্ত আপনার স্ত্রী জোরাজুরিতে কিছু কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তো আপনি ইজির শোরুমে গিয়ে দুইটা গেঞ্জি পছন্দ করেছিলেন এবং সেই দুইটা গেঞ্জি নিজের জন্য কিনে এনেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
আসলে আমরা যখন ইনকাম করা শুরু করি,তখন সংসারের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসে পড়ে। আর আমাদের উপর দায়িত্ব এসে পরলে,তখন নিজের জন্য শপিং করার আগ্রহ আসলেই অনেকটা কমে যায়। যাইহোক তবুও সুমা আপুর জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত শপিং করতে গিয়েছিলেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। ইজির গেঞ্জি আমারও খুব পছন্দ। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এটা সত্যি কথা দাদা, টাকা ইনকাম করা শুরু করলে আসলে নিজের জিনিস কেনাকাটা করতে আর ভালো লাগেনা । তখন মনে হয়, পরিবারকে কি করে আর একটু ভালো রাখা যায়, তাদের ইচ্ছা গুলো কি করে পূরণ করা যায়। তবে তারপরও যে আপনি শেষ পর্যন্ত দুটো গেঞ্জি পছন্দ করতে পেরেছিলেন, এটাই তো বড় বিষয়। এখন দেখা যাক, পরবর্তী পর্বে আপনাদের কেনাকাটা সম্পর্কে আর কি কি জানা যায়।