রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
কয়েকদিন আগে বিকালে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম পদ্মার পাড়ে ঘুরতে। সেদিন পদ্মার পাড়ে গিয়ে হঠাৎ করে এতটা পানি বাড়তে দেখে খুবই অবাক হয়েছিলাম। তবে সেদিনের আবহাওয়াটা ছিল চমৎকার। আকাশে মেঘ আর সূর্যের লুকোচুরি চলছিলো। মাঝে মাঝেই মেঘ সরে গিয়ে সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছিলো। তখনই চারপাশের প্রকৃতি বিকেলের সোনা রাঙা রোদে ঝলমল করে উঠছিলো। নদীর পাড়ে পৌঁছে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
এই ছবিটি তুলেছিলাম ফরিদপুরের সরকারি নার্সারি থেকে। বেশ কয়েকদিন আগে আমি সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এই নার্সারিতে আমি এর আগেও অনেকবার গিয়েছি। তবে আগে কখনো আমার একা যাওয়া হয়নি। এবারই প্রথম আমি একা সেখানে গিয়েছিলাম। সেদিন আবহাওয়া টা ছিল অতিরিক্ত গরম। সে কারণে সেদিন ঘোরাফেরা করে খুব একটা মজা পায়নি। এই ছবিটি সেই নার্সারি থেকেই তোলা হয়েছিলো। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সারি বাধা নারিকেল গাছ।
এই ছবিটিও পদ্মার পাড় থেকে তুলেছিলাম। ছবি তোলার সাথে সূর্যের আলোর একটা অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সূর্যের আলোকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে ছবিগুলো অনেকটা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আশা করি এই ছবিটা দেখে আপনারা সেটা বুঝতে পারছেন। পুরো ছবিটা ঝলমল করছে।
ছবিতে যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না। তবে অত্যন্ত পরিচিত একটি গাছ এটি। অনেকেই নিজেদের বাড়ির বাগান সাজাতে বা বাড়ির লন সাজাতে এই ধরনের গাছ ব্যবহার করে থাকেন। এক সময় আমাদের শহরের অভিজাত মানুষের বাড়িতে এই গাছের দেখা পাওয়া যেতো। যদিও এখন আর এই গাছ লাগানোর খুব একটা চল নেই।
উপরের ছবি তিনটি ও পদ্মার পাড় থেকে তোলা। প্রথম ছবিতে পানির ভেতরের যে বক্স টাইপের জিনিসগুলো দেখতে পাচ্ছেন। সেগুলো সম্ভবত মাছের পোনা সংরক্ষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যদিও আমি সঠিক বিষয়টা জানিনা। তবে আমার কাছে বিষয়টা এমনই মনে হয়েছে। আর পরের দুটো ছবিতে একটিতে ট্রলারে করে চরের লোকজন তাদের বাড়িতে ফিরছে। আরেকটি ছবিতে ট্রলারে করে মালপত্র আনা-নেয়ার করার দৃশ্য ধরা পড়েছে।
এই ছবিতে অনেক দূর থেকে তোলার ফলে খুব একটা ভালো বোঝা যাচ্ছে না। ছবিটি তুলেছিলাম মূলত একটি গাছে বাবুই পাখির অনেকগুলো বাসা দেখে। আজকাল এগুলো একেবারেই দেখতে পাওয়া যায় না। শহরে তো এগুলো দেখার প্রশ্নই আসে না। গ্রামের দিকেও এই ধরনের বাবুই পাখির বাসা এখন খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়। কয়েকদিন আগে আমি আর ফেরদৌস ঘুরতে গিয়েছিলাম গ্রামের দিকে। তখনই একটি বাড়ির উপরে গাছে বাবুই পাখির এতগুলো বাসা দেখে ছবিটি তুলেছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া, ঈদের কয়েকটা দিন আপনি বন্ধু ফেরদৌস এর সাথে বেশ ঘোরাঘুরি করেছেন তা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছিলাম। বন্ধুদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে বর্তমান সময়ে বন্ধুর চাইতে পরিবারের লোকজনের সাথে বেশি ঘোরাফেরা হচ্ছে আমার। যাইহোক ভাইয়া, আপনি ঠিকই বলেছেন, আগে একটা সময় ছিল যখন অপরূপ সৌন্দর্য কিছু দেখলে খুব সহজে ফটোগ্রাফি করতে পারতাম না। কেন জানি মনের মধ্যে একটা সংশয় কাজ করতো। তবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আসার পর থেকে ফটোগ্রাফি করাতে সেই সংশয় টা একদম কেটে গেছে। এখন বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর জিনিস কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে ফটোগ্রাফি করা এখন এক প্রকার নেশা হয়ে গেছে। আজ আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে, তবে পদ্মার পাড়ে যেসব ফটোগ্রাফি করেছেন সেগুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারণ এখানে একসাথে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখা যায়। আপনার পোস্টে একসাথে পদ্মা নদী, নার্সারি, বাবুই পাখির বাসা অনেক কিছু দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট। আপনার শেয়ার করার একদম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে পদ্মা পাড় থেকে তোলা ছবিগুলো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যাক তাহলে অনেকদিন পর ফেরদৌস ভাইকে আপনি খুজে পেয়ে আপনার ঘুরাঘুরির মজাটাও ফিরে পেলেন। তবে ভাইয়া আপনি তো দেখছি আপনার ফটোগ্রাফিতে বাংলার রূপ বৈচিত্র্যের এক অপরূপ রূপ তুলে ধরেছেন। আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেন বাংলার গ্রাম ও প্রকৃতির কথা বলছে।
আপনার অ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেন যেন ফটোগ্রাফি গুলোর মায়ায় পড়ে যায়। অনেক সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন, প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক বেশি ভালো লাগলো।
প্রিয় ভাইয়া, আপনার বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তে তোলা অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। পদ্মার পাড় থেকে তোলা ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভাল লেগেছে। দারুন একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।