পিঠা উৎসব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ( তৃতীয় পর্ব)।
উপরে আপনারা যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম তারা দিয়েছিল মাংস পুলি পিঠা। তবে আমার মনে হয় এটা এক ধরনের নতুন পিঠা। কারণ গ্রামবাংলায় এই ধরনের পিঠার প্রচলন ছিলো না। আমরা ছোটবেলায় যখন গ্রামের বিভিন্ন রকমের পিঠা দেখেছি সেখানে মাংস দিয়ে তৈরি কোন পিঠা দেখতে পাইনি। এই পিঠাগুলো সম্ভবত হাল আমলের আবিষ্কার। খেতে কেমন হয়েছে সেটা বলতে পারছি না। কারণ এই পিঠাটা কখনো খাওয়া হয়নি।
উপরের ছবিতে আপনারা যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন এটা কোন পিঠা নয়। এটা এক ধরনের চপ। তবে স্টলে উপস্থিত জিনি ছিলেন তাকে জিজ্ঞাসা করে এই চপের নাম জানতে পারিনি। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাদের জানিয়ে ছিলো স্টলের লোকজন একটু বাইরে গিয়েছে। যার ফলে সে সেটার নাম আমাদেরকে বলতে পারেনি। তবে এই চপটা দেখে মনে হচ্ছিল খেতে বেশ ভালই হবে। আমার কাছে এই ধরনের চাপ সব সময় অনেক পছন্দের একটা খাবার।
এখন ছবিতে যে পিঠাটা আপনারা দেখছেন এটা আমাদের সবারই পরিচিত পাটিসাপটা পিঠা। এই পিঠাটা কম বেশি সকলেই খেতে পছন্দ করে। একটা সময় ছিলো যখন আমি পাটিসাপটা পিঠা খেতাম না। তবে একবার খাওয়া শুরু করার পর এখন এই পিঠাটা আমি পেলেই খাই। ভেতরের পুরটা ভালো মতো বানাতে পারলে এই পিঠাটা বেশ মজার একটা খাবার। গ্রামের লোক কি শহরের লোক সকলেই এই পাটিসাপটা পিঠা পছন্দ করে।
উপরে যে ছবিটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটাও কোন পিঠা নয়। এটা সম্ভবত মিনি মোগলাই। বর্তমানে ইউটিউবে বিভিন্ন রকম রেসিপি দেখে মানুষ বিভিন্ন রকম খাবার বানায়। এটিও তেমনি একটি খাবার। আমার বাসায় আমার স্ত্রীও বেশ কিছুদিন আগে এই খাবারটি বানিয়েছিলো। খেতে কিন্তু বেশ ভালো হয়েছিলো। যদিও এই মিনি মোগলাই গুলো দেখে খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না।
উপরের ছবিতে যে পিঠাটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই পিঠার নাম আমি জানিনা। আপনারা কেউ জেনে থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। তবে এই ধরনের নানা আকৃতির পিঠা গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেতো। এটি তেমনি একটি পিঠা হবে। যেহেতু খেয়ে দেখা হয়নি তাই বলতে পারছি না পিঠাটা কেমন হয়েছিলো। তবে পিঠাটা দেখতে কিন্তু বেশ লাগছে।
উপরের ছবিটা আপনারা একটি পিঠার স্টল দেখতে পাচ্ছেন। এখানে বেশ কয়েক রকমের পিঠা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্টলই ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীরা দিয়েছিলো। যার ফলে তাদের পিঠাগুলোর ভেতরে কিছুটা অপরিপক্কতার ছোঁয়া টের পাওয়া যাচ্ছিলো। যদিও কিছু চমৎকার দেখতে পিঠাও তারা বানিয়েছিলো। তবে পিঠাগুলো যেমনই হোক এই আয়োজনটা যে তারা বেশ উপভোগ করেছিলো সেটা তাদের চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া প্রথমে যে মাংসের পিঠার ফটোগ্রাফি দিয়েছেন তা খেতে খুবই সুস্বাদু। এই তো কিছুদিন আগেও আমি গ্ৰামে গিয়ে মায়ের হাতে মাংসের পুলি পিঠা খেয়ে এসেছি। আমাদের গ্ৰামে সবার ঘরেই প্রায় সময় এই পিঠা তৈরি করে থাকেন। এমন কি আমিও এই পিঠা বানাতে পারি। এর ভিতরে মাংসের পুর ভরা থাকে আর খেতে এতটাই সুস্বাদু যা একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। আমি কখনো পিঠা মেলায় যেতে পারিনি। আমার বাসার আশেপাশে কোথাও পিঠা মেলা হতে দেখিনা আর যেসব জায়গায় হয় তা বাসা থেকে অনেক দূরে যেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ ভাইয়া পিঠা উৎসব ভ্রমণের এত সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, এটাকে উৎসব বললেই ভালো হয়। যাইহোক মাংস পুলি বানানো ততোটা কঠিন না। কিছুদিন আগে নিউমার্কেট থেকে এই পিঠা বানানোর মেশিন কিনে এনেছিলাম,খুব সহজেই তৈরি করা যায়। ঝাল ঝাল পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। কারণ আমি মিষ্টি জাতীয় খাবার কম পছন্দ করি। পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। চপগুলো দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।