চলছে গাড়ি...............
নমষ্কার,
শিরোনাম টা পড়ে অনেকের মনে দুটি লাইন এসে গেছে নিশ্চয়, ছোট বেলার সেই বিখ্যাত কার্টুন সিরিজের চলছে গাড়ি সিসিমপুর ১২৩.... 😊।
তবে আমার গাড় সিসিমপুর নয় হবিগঞ্জ জেলা তে চলেছে। বিশেষ এক প্রয়োজনে যেতে হয়েছে হঠাৎ করেই। কখনো যাই নি। একা একা সব কিছু করা একটু কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই আমার বন্ধু আহসানকে সাথে নিয়েছিলাম। কথা ছিল যে আমরা দুপুরে রওনা দেব, তাহলে সন্ধ্যার আগে পৌঁছে যাব। তারপর যেটুকু পারি আশে পাশে ঘুরে দেখব একটু। কিন্তু গতকাল এত জ্যাম ছিল যে মহাখালী বাস টার্মিনাল আসতে আসতেই আমার বিকাল তিনটা পার হয়ে গেল। আর আহসান আসলো চার টায়। খুব জ্যাম। কিছু করার নেই।
আমরা এনা তে টিকিট কাটলাম। বাস ছিল বিকাল ৪.২৫ মিনিটে। অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকি বাস ছাড়ার। পাঁচ টা বেজে গেল তবু খবর নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বাস জ্যামে আটকে আছে। অবশেষে বাস ছাড়লো ৫.২০ মিনিটে। কিছু করার নেই। দুই বন্ধুর যাত্রা শুরু হল। আর সাথে কত যে সুখ দুঃখের কাহিনী। ভীষণ বকবক করে আহসান। ওকে আমরা তাই বকবকানির চেয়ারম্যান বলে ডাকতাম ।
তো শুরু থেকে জ্যাম এর সাথে আলিঙ্গন করেছি, আর যাওয়ার সময় জ্যাম ছাড়া যাব এমন তো হয় না। মহাখালী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মারাত্মক যানজট ছিল। মাঝে এয়ারপোর্ট পেরিয়ে আসলাম। মনে অনেক কথা আসছিল এয়ারপোর্ট টা দেখে। যাই হোক, গাজীপুর পার হয়ে নরসিংদী যখন আসল তখন থেকে গাড়ি নরমাল ভাবে যাওয়া শুরু করলো। ধীরে ধীরে নরমাল থেকে দেখি এবনরমাল হচ্ছে ড্রাইভার। এনা গাড়ি যে ঝড়ের মত চলে সেটার অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে। গতকাল আরেকবার হলো। গাড়ি তো না যেন প্লেন। বৃষ্টি হয়েছিল হালকা । বেশ ঠাণ্ডা ছিল চারপাশ। ভালই উপভোগ করছিলাম গাড়ির স্পীড টা।
মাঝে গাড়ি হোটেল ব্রেক দিল। দুজন নেমে একটু ফ্রেশ হয়ে হালকা খাবার খেয়ে কফি খেলাম। তারপর আবার শুরু হলো যাত্রা। খাবার খেয়ে ড্রাইভার যেন আরো দুর্বার গতিতে ছুটলো। মাঝে মাঝে ভয়ও লাগছিল। ইশ্বরের হাতে সব ছেড়ে দিয়ে কানে হেডফোন দিয়ে চোখ বুজে রাতের আঁধার কে সঙ্গী করে উপভোগ করতে শুরু করলাম সবটা।
আমাদের গাড়ি যখন হবিগঞ্জ পৌঁছল তখন মোটামুটি রাত বারোটা টা। কিছু চেনা জানা নেই। দুজন মিলে একটা হোটেল খুঁজতে শুরু করলাম থাকার জন্য। একজনের সহায়তায় পেয়েও গেলাম। ব্যাস খাওয়া দাওয়া সেরে রুমে ঢুকে পড়লাম। বেশ ক্লান্ত ছিলাম। ঘুমিয়ে গেলাম একটু ফোন ঘেটেই। বাকি কথা পরের দিন কেমন 😊
সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
ভালোভাবে পৌছেছেন জেনে ভালো লাগলো।ইনশাল্লাহ যে কাজের জন্য গেছেন সে কাজটাও ভালোভাবে হোক সেই কামনাই করি।
অনেক ভালো লাগলো ভাই এত সুন্দর করে আমাকে শুভ কামনা জানানোর জন্য। অনেক ভালো থাকবেন
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সুন্দরভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান জেনে খুব খুশি হলাম। আপনার সফর যেন সুন্দরভাবে কাটে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এত অসাধারন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই , একটু জ্যাম ছিল। তাছাড়া সব ঠিক ছিল। ধন্যবাদ ।
সত্যি চলছে গাড়ি সিসিমপুর কথাটা মনে পড়ে গেল। আমি কিন্তু আগে অনেক সিসিমপুর দেখতাম। আপনার কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া হবিগঞ্জ যাওয়ার জন্য গাড়ি অনেক লেট করে ফেলল দেখছি। কিন্তু তার পরেও দুই বন্ধু মিলে বকবকানি সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। সময়টা আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
টিভিতে ভাগ্নের সাথে এখনও আমি দেখি মাঝে মাঝে আপু । বেশ মজাই লাগে। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ
আপনি যেন কাজের সাফল্য অর্জন করতে পারেন সেটাই কামনা করছি।আর এটা ও শুনে ভালো লাগলো যে আপনি খুবই ভালোভাবে গিয়ে পৌঁছাইলেন।
হ্যা ভাই,, আশীর্বাদ রাখবেন 🙏। অনেক ধন্যবাদ
এনা বাস সার্ভিসে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমারও বেশ কয়েকবার হয়েছে। গতির জন্য এদের সুনাম (দুর্নাম) আছে। ঢাকা শহরে জ্যামের যে অবস্থা তাতে বেশ আগেই রওনা হতে পেরেছেন বলতে হয়। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাই বাসের গতি দেখে আমি আর আমার মাঝে ছিলাম না। ভয়ে জড়সর অবস্থা। আজ এনা তে উঠি নি 😊। শ্যামলী তে ফিরছি। চেষ্টা করবো ভাই বাকি কথা গুলোও আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে।
সত্যিই দাদা টাইটেলটি পড়ার পর আমার মাথাতেও সিসিমপুরের লাইনটা চলে এসেছে। খুব ভালো বন্ধুর সাথে হবিগঞ্জ ঘুরতে গিয়েছেন, এনা বাস খুব সাংঘাতিক স্পিডে চলাচল করে যদিও আমার ঢাকার বাইরে তেমন যাওয়া হয়নি তবে একটু হলেও ধারণা আছে।
ভাইরে ভাই রাতের বেলা এনা আর সৌদিয়া এই বাসে উঠবেন না একদম। বাপরে বাপ। আমি লং জার্নি অনেক করেছি, মোটামুটি ধারনা হয়ে গেছে সব। এরা জান কাপিয়ে ফেলে একদম।
চলছে গাড়ি সিসিমপুরে ☺️।
আপনার চলছে গাড়ি টাইটেল দেখে আমার সিসিমপুরের কথা মনে পড়ে গেল 😁। এককালে কার্টুনটি খুব জনপ্রিয় ছিল। আমার কাছে তো এখনো খুব ভালো লাগে।
রাতের জার্নি খুব ভালো লাগে । রাতের বেলা যখন চারদিকে অন্ধকার থাকে তখন চাঁদের আলো, গাড়ির আলো ,ল্যাম্পপোস্টের আলো সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পরিবেশ দেখা যায়। আপনারা দুজন খুব ভালোভাবে ইনজয় করেছেন রাতের বাস জার্নি।
বাহ্ বাহ্ পুরোপুরি আমার মনের মত কথা গুলো বলেছেন আপু। সত্যিই মন ছুয়ে গেল আপনার কথা। অনেক ভালো থাকবেন আপু ❤️❤️
ঢাকায় জ্যাম এর কথা না বললেই নয় ভাই। এখানে আসলে তিন একঘন্টা সময় হাতে নিয়ে গেলে সেখানে যেতে 3 ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে আপনি খুব ভালোভাবে আপনার গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পেরেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই জ্যাম আমাদের জীবনের যে কত মূল্যবান সময় নষ্ট করে দিচ্ছে ভাই। একবার ভাবলে মরে যেতে ইচ্ছে করবে। কি আর বলবো। এসবেই আমরা অভ্যস্ত এখন।
হ্যা ভাই টাইটেল দেখেই সেই জনপ্রিয় কার্টুন এর কথা মনে পড়ে গেছে। চলছে গাড়ি সিসিমপুরে। আপনার হবিগঞ্জ এর যাত্রার কাহিনি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। ভাল থাকবেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সব সময় পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। ❤️❤️