আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আমি এর আগেও অনেকবার তোমাদের বলেছি, আমি ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি কোথাও গেলে সেখান থেকে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করে রাখি। সত্যি কথা বলতে বিভিন্ন সময় তোলা ওইসব ফটোগ্রাফি সব সময় শেয়ার করা হয় না। তাই মাঝে মাঝে আমি এলোমেলো ফটোগ্রাফিমূলক পোস্টের মাধ্যমে এই ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করে থাকি। আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফিমূলক পোস্টটিতে আমি ফটোগ্রাফির সাথে এর বর্ণনাও শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, তোমাদের কাছে এই পোস্টটি ভাল লাগবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এলোমেলো ফটোগ্রাফিগুলো নিচে দেখে নেওয়া যাক।

_{^{স্থান : বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

প্রথম এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো জবা ফুলের কুঁড়ির ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি আমি বেশ কয়েকদিন আগেই করেছিলাম। আমাদের ছাদে আসলে বিভিন্ন ধরনের জবা ফুলের গাছ রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের জবা ফুল ফুটতে দেখা যায় ঐসব গাছগুলোতে। তবে জবা ফুল ফোটার পূর্বে জবা ফুলের কুঁড়িগুলো দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর লাগে। কয়েকদিন আগে সকালবেলা ছাদে একটু হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে এই ফুলের কুঁড়িটি দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছিল, তখন এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০২🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

দ্বিতীয় এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো সুপারি গাছ এবং নারিকেল গাছের সারি। এখানে যদিও অন্যান্য আরো অনেক গাছ দেখা যাচ্ছে তবে ফোকাসে মূলত রয়েছে সুপারি গাছ এবং নারিকেল গাছের সারি । এই ফটোগ্রাফিটি আমি আমাদের বাড়ির সামনের এক জায়গা থেকে করেছিলাম। দুই দিন আগে বিকেলের দিকে হাঁটাহাঁটি করতে বাইরে যাওয়ার সময় এই দৃশ্যটি হঠাৎ আমার নজরে আসে আমাদের বাড়ির কাছের একটি জায়গা থেকে। তারপর সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৩🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফুল গুলোর নাম হলো আকন্দ ফুল। এই ফুলগুলো আমি চলার সময় রাস্তার ধারে অনেক দেখেছি। কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন কালারেরও হয়ে থাকে এই ফুলগুলো । এই ফুল গাছের পাতা অনেক ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন। যাইহোক, কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে একটু বেরিয়েছিলাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে । স্টেশনে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছে এই ফুল গুলো আমি দেখতে পেয়েছিলাম। সেই গাছে অনেক ফুল ফুটেছিল, সেখান থেকে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৪🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছো মা কালীর মূর্তির একটি ফটোগ্রাফি। এটি বারাসাতের কোন একটি পুজো প্যান্ডেল থেকে তোলা হয়েছিল ২০২৩ এর কালী পুজোর সময়। তবে এখন আমার মনে পড়ছে না বারাসাতের কোন পুজো প্যান্ডেল থেকে এই ফটোগ্রাফিটি তোলা হয়েছিল। পুজোর সময় সাধারণত অনেক ফটোগ্রাফি করা হয়। তবে সব সময় সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করা হয় না। এই ফটোগ্রাফিটিও পূর্বে কখনো শেয়ার করা হয়নি তোমাদের সাথে। তাই ভাবলাম এটি আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করি।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৫🍂

_{^{স্থান : মায়াপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফিটি হলো চন্দ্রোদয় মন্দিরের গেটের ফটোগ্রাফি। এই গেটের ভিতর দিয়েই চন্দ্রোদয় মন্দির দেখার জন্য যেতে হয়। এই ফটোগ্রাফিটি আমি কিছুদিন আগে মায়াপুর গিয়ে তুলেছিলাম। এই চন্দ্রোদয় মন্দিরের ভিতরে প্রবেশের পূর্বে আমি এই গেটের সামনে দাঁড়িয়ে অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেখান থেকে একটি ফটোগ্রাফি তোমাদের সাথে আজ শেয়ার করলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৬🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো পাতাবাহার গাছের ফটোগ্রাফি। এই পাতাবাহার গাছ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আমি আজ পর্যন্ত অনেক ধরনের পাতা বাহার গাছ দেখেছি। তবে অধিকাংশ জায়গায় এই জাতের পাতাবাহার গাছ বেশি দেখা যায়। এই পাতাবাহার গাছগুলো মানুষ সাধারণত বাড়ির সামনে, রাস্তার পাশে বা পার্কে লাগিয়ে থাকে। এই পাতাবাহার গাছের সৌন্দর্য কিন্তু বেশ অসাধারণ।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৭🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

তিনটি ভিন্ন কালারের আবির দেখা যাচ্ছে এই ফটোগ্রাফিতে। এই বছর হোলির দিন এই ফটোগ্রাফি টি আমি করেছিলাম। যদিও এই বছর হোলিতে আমি আবির খেলিনি অসুস্থতার কারণে। তবে আমার বাড়ির অন্যান্য লোকজন হোলিতে আবির মাখামাখি করেছিল। তারা আবির মাখামাখির পূর্বে তিনটি ভিন্ন কালারের আবির যখন প্লেটে রেখেছিল, তখন আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম যা তোমাদের সাথে এখানে শেয়ার করলাম।