ট্রাভেল || রথের মেলায় ঘুরতে যাওয়া
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
আমি প্রতিবছরই আমাদের এখানে অনুষ্ঠিত হওয়া রথের মেলায় ঘুরতে যাই। আসলে আমাদের এইখানে সবথেকে বড় করে যে জায়গাটায় রথের মেলা হয়, সেই জায়গাটার নাম রথতলা। রথ তলার আশেপাশের বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে এখানে রথের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। আগে রথ তলার যে মাঠটি ছিল সে জায়গাটিতে শুধু মেলা অনুষ্ঠিত হতো আর এখন রাস্তার সাইড থেকে শুরু করে অন্যান্য আরও কিছু অংশ পর্যন্ত এই মেলার বিস্তার দেখা যায়। প্রতিবছরই প্রায় বেশ কিছুদিন ধরে এই মেলা চলে। আমি রথের দিনও অনেক সময় এই জায়গায় যাই আবার রথের দুই এক দিন পরেও এই মেলায় ঘুরতে যাই।
রথের দিন সাধারণত এই মেলায় প্রচন্ড ভিড় থাকে। ভিড়ের কারণে এইখানে যাওয়া অনেকটা মুশকিল কাজ হয়ে যায়। তবে গতকালকে যেহেতু রথ ছিল। ভিড় হবে জেনেও আমি এই রথের মেলায় গেছিলাম আমার এক বন্ধবীর সাথে। আসলে রথের মেলায় যাওয়ার আবদার তারই ছিল। অন্যান্য বছরও আমি কয়েকজন বন্ধু বান্ধবীকে সাথে নিয়ে এই রথের মেলায় ঘুরতে আসি। আমি রথের মেলায় ঘুরতে এসে কোন বিশেষ কেনাকাটা করি তা কিন্তু না। জাস্ট ঘুরে বাদাম,জিলিপি, পাপড় এসব কিনে নিয়েই বাড়িতে চলে যাই। এই রথের মেলায় সব থেকে বেশি দেখা যায় মেয়েদের, মহিলাদের এবং বাচ্চাদের। আসলে তাদের জিনিসই এই ধরনের মেলায় বেশি পাওয়া যায়। এইজন্যই তাদের সংখ্যা বেশি থাকে। একটা মেলায় যা যা থাকতে পারে সবকিছুই এই মেলায় থাকে। শত শত খাবারের দোকান, নাগরদোলা, কসমেটিক্স, ঘরের জিনিসপত্র পাওয়া যায় এরকম দোকান। আমি এই মেলায় বিকালের দিকেই গেছিলাম। আর মেলার ভিড় বিকালেই বেশি থাকে।
যাইহোক আমি যেই সময়টাতে গেছিলাম মেলার কিছু কিছু অংশে ভিড় ছিল আবার কিছু কিছু অংশে একটু কম ভিড় ছিল। মেয়েদের মহিলাদের এবং শিশুদের জিনিসপত্র যেখানে পাওয়া যায় সেই সেকশন গুলোতেই সাধারণত ভিড় ছিল। আমি এখানে কিছুটা সময় আগে পৌঁছেছিলাম। আর আমি যে বান্ধবীর সাথে গেছিলাম সে আমি পৌঁছানোর ১০ মিনিট পরে এখানে পৌঁছেছিল। যাইহোক তারপর দুজনে মিলে মেলার এই পাশ থেকে ওই পাশ ঘুরে ঘুরে দেখি। আমাদের এই ঘুরে দেখার ব্যাপারটাই মজা লাগে। মানুষের কেনাকাটা করা দেখা অভারল মেলায় গিয়ে এই সবই আনন্দ করি। এইবার ভেবেছিলাম মেলায় গিয়ে নাগর দোলায় চড়বো। তবে কত বছর নাগরদোলায় চড়তে গিয়ে মাথা প্রচন্ড ঘুরেছিল সেই জন্য আর নাগরদোলায় চড়ার সাহস করিনি। মেলার আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করে মেলা থেকে বেরিয়ে গেছিলাম এখানকার মেইন মন্দিরে। মন্দিরে গিয়ে ঠাকুরকে প্রণাম করে আমরা মেলার ভিতরে এসে আমরা দুজনে ভুট্টা কিনে খাই। এই পোড়ানো ভুট্টা খেতে আমার বেশ ভালোই লাগে।
যাইহোক, এরপর আমরা পাপড় কিনে খাই এবং বাদাম ও জিলিপি কিনে নিয়ে আসি ভিড় ঠেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। একদম সাধারণভাবেই ঘোরাঘুরি সম্পন্ন করি এইখানে গিয়ে। এই মেলায় গিয়ে আমরা মোটামুটি ৩০ মিনিটের মত সময় ছিলাম। এই মেলায় গিয়ে নতুন নতুন বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল। যেমন মেলায় এক বাঁশিওয়ালাকে দেখতে পেয়েছিলাম যে মেলার একটা অংশে দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাচ্ছিল। এই ব্যাপারটা আমার বেশ ভালো লেগেছিল। যাইহোক এই মেলায় ঘোরাঘুরি রিলেটেড বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম যার মাধ্যমে আমার এই ঘোরাঘুরি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তোমরা এগুলো দেখে পেয়ে যাবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | রথতলা , নর্থ চব্বিশ পরগনা , ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রথের মেলায় ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এই ধরনের মেলায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে অনেক মানুষ দেখা যায় অনেক রকমের জিনিস দেখা যায় মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো অসম্ভব সুন্দর লাগছে দেখতে, এবং সেখানে আপনারা কিছু খাওয়া-দাওয়া করেন পাপড় কিনে খেয়েছেন এবং জিলাপি কিনে বাড়ি নিয়ে এসেছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর করে আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রথের মেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখছি অনেক সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন। রথের মেলার এত সুন্দর সৌন্দর্য দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হলাম। মেলায় গেলে পাপড় যদি না খাওয়া হয়, তাহলে তো একেবারে ভালোই লাগে না। আপনি মেলা থেকে পাপড় কিনে খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। বাদাম এবং জিলাপি বাড়িতে এনে নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছেন। খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করলাম আপনার পুরো পোস্টটা পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আপনার এই কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।