ফটোগ্রাফি || এলোমেলো ভাবে তোলা সাতটি ফটোগ্রাফি [১২ এপ্রিল ২০২৪]
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু শখের কাজ রয়েছে। অনেকের একটি শখের কাজ থাকে আবার অনেকের অনেকগুলো শখের কাজ থাকে। সত্যি বলতে আমার নিজের অনেকগুলো শখের কাজ রয়েছে, তার মধ্যে ফটোগ্রাফি করা একটি। ফটোগ্রাফি করতে আমি সত্যিই অনেক বেশি ভালোবাসি। অনেক বছর আগে থেকেই আমি এই ফটোগ্রাফি করে আসছি। ফটোগ্রাফি করার ক্ষেত্রে আসলে অনেক দিক খেয়াল রাখতে হয়। অনেক দিক খেয়াল না রাখলে আসলে ভালো ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয় না। আমাদের এই কমিউনিটিতে কাজ করার পর থেকে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমার শেয়ার করা ওইসব ফটোগ্রাফি নিয়ে তোমাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমার অনেক উৎসাহ বেড়ে যায় এই কাজ করার ক্ষেত্রে। যাইহোক, আজকে শেয়ার করা এলোমেলো এই ফটোগ্রাফিগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা। ফটোগ্রাফিগুলোর সাথে তার বর্ণনাও আমি এখানে সুন্দর করে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ফটোগ্রাফিগুলো নিচে দেখে নেওয়া যাক।
স্থান : মায়াপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
প্রথমে শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফিটি আমি মায়াপুর ভ্রমণে গিয়ে তুলেছিলাম। বেশ কিছু দিন আগে আমি পরিবার নিয়ে এই মায়াপুরে ঘোরাঘুরির জন্য গেছিলাম। মায়াপুরে রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে বড় মন্দির। আমরা মূলত সেটি দেখার জন্যই এইখানে গিয়েছিলাম। যাইহোক, মন্দিরের ভিতরের অংশে প্রবেশ করার পর সুন্দর সুন্দর অনেক কিছুই দেখার ছিল। তোমরা এই ফটোগ্রাফিটিতে ওইখানে থাকা একটি মন্দিরের একাংশ দেখতে পারবে তবে এইখানে যে মন্দিরটির একাংশ দেখা যাচ্ছে, এটি পৃথিবীর সব থেকে বড় মন্দির ছিল না। বড় মন্দিরের পাশে বেশ কয়েকটি অন্য মন্দির ছিল, তার মধ্যে এটি একটি ছিল।
স্থান : মায়াপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এই ফটোগ্রাফিটিও আমি মায়াপুরে গিয়ে তুলেছিলাম। তোমাদের আগেই বললাম যে, মায়াপুরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মন্দির অবস্থিত। আর এই ফটোগ্রাফিতে তোমার সেই মন্দির টি দেখতে পাচ্ছো। তবে এই ফটোগ্রাফিটি মন্দিরের অনেকটা দূর থেকে তুলেছিলাম সেজন্য হয়তো খুব ভালো করে মন্দিরটির টি দেখতে পারবে না। যাইহোক, দূর থেকেও পৃথিবীর সব থেকে বড় মন্দির টি দেখতে জাস্ট অসাধারণ লাগে। আমি মন্দির থেকে অনেকটা দূরে এসে যখন এই মন্দিরটি দেখছিলাম তখন আমার খুবই ভালো লেগেছিল আর সেই সময় এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম।
স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছো আমের গুটির ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি আমি বেশ কিছুদিন আগে করেছিলাম। ফটোগ্রাফিটি আমি আমার এক বন্ধুর বাড়ি সামনে থেকে তুলেছিলাম। তাদের বাড়ির সামনে থাকা একটা আম গাছে অনেক আমের গুটি ধরেছিল। তাদের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করার আগে হঠাৎ করে এই আমের গুটিটি আমার নজরে আসে। কারণ এটি আলাদাভাবে দেওয়ালের উপর ছিল।
স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এখানে তোমরা যে ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছো সত্যি কথা বলতে এই ফুলের নাম আমি জানিনা। তবে এটি এক প্রকার জংলি গাছের ফুল। ছোটবেলা থেকেই এই ফুলগুলো আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলেও এর নাম কোনদিন জানার চেষ্টা করিনি। ছোটবেলায় এই সাদা রঙের ফুলগুলো নিয়ে আমরা অনেক খেলা করতাম। এই ফুলগুলো তুলে এনে এইগুলোর উপর ফুঁ দিলে ফুলের পাপড়ির মত সাদা অংশগুলো উড়ে যেত আর আমরা এগুলো নিয়ে মজা করতাম। যাইহোক, এই ফটোগ্রাফি টি আমি বাড়ির পাশের একটা জায়গা থেকে তুলেছিলাম।
স্থান :বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছো কলকে ফুলের কুঁড়ির ফটোগ্রাফি। এই ফুলগুলো যখন ফোঁটে তখন হলুদ রঙের হয়। আমি এই ফুলের গাছ অনেক বাড়ির সামনেই দেখেছি। যাইহোক, আজকের এই ফটোগ্রাফিটি আমি দুই দিন আগে আমাদের পাড়ার একটি বাড়ির সামনে থেকে তুলেছিলাম। তাদের বাড়ির সামনে এরকম কয়েকটি কলকে ফুলের গাছ ছিল। এই ফুল গাছে যখন ফুলের কুঁড়ি থেকে হলুদ ফুলগুলো ফোঁটে তখন দেখতে বেশ দারুন লাগে।
স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছো উলু ঘাস। এই উলু ঘাসের ফটোগ্রাফি টি আমি বিলের মত একটি জায়গায় গিয়ে তুলেছিলাম। বেশ কিছুদিন আগে আমি এবং আমার দাদা বিলের মত একটি জায়গায় ঘোরাঘুরির জন্য গেছিলাম। সেখানে গিয়ে একটি জায়গায় আমি এই উলু ঘাস গুলো দেখতে পাই। যদিও সেই সময় বাতাস থাকার কারণে এই উলু ঘাসের ফটোগ্রাফি করা বেশ মুশকিল হয়ে গেছিল। তারপরও অনেক কষ্ট করে এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম। এই ঘাসগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
শেষের এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো জংলি টগর ফুলের কুঁড়ির ফটোগ্রাফি। এই ফুল গুলো সাদা রঙের হয় যা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। এই ফুলের গাছ আগে আমাদের বাড়ির ছাদ বাগানে ছিল। তবে এখানে যে ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছি, সেই ফটোগ্রাফিটি আমি অনেকদিন আগে আমার এক কাকুর বাড়ির সামনে থেকে তুলেছিলাম।
🍂🍂পোস্ট বিবরণ🍂🍂
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
আপনার ফটোগ্রাফি নিয়ে বলার মত সাহস আমার নেই।কারণ আপনি ফটোগ্রাফিতে অনেক দক্ষ একজন ফটোগ্রাফার।এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য জানাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ফটোগ্রাফি করার ক্ষেত্রে আমার দক্ষতার এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুব চমৎকার ছিল এবং সাথে বর্ণনা গুলো অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। প্রথম দুটি ছবি এবং নাম না জানা জংলি ফুলের ছবিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যে আপনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা তবে সবগুলো ফটোগ্রাফির মধ্যে জংলি টগর ফুলের সৌন্দর্যটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবুজ পাতার মাঝে সাদা ফুলে সৌন্দর্য এমনিতেই ভালো লাগা স্বাভাবিক। সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো যে আপনার কাছে দারুন লেগেছে, এটা আমার জন্য আনন্দের বিষয় ভাই। আপনার এই প্রশংসামূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি দাদা আমাদের সবার কিছু সখ ভালো লাগা আছে ৷ যার যেমন তবে আমার বাংলা ব্লগের সবার সখ ফটোগ্রাফি করা ৷ আমি নিজেও ফটোগ্রাফি করতে ভীষন ভালোবাসি ৷ তাই তো ভালো কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করে ফেলি ৷ আপনার তোলা এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ মায়াপুর নবদ্বীপের মন্দির এছাড়াও ফুলের কুড়ি সবমিলে অনেক ভালো একটা ফটোগ্রাফি ব্লগ দেখলাম৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন
ভাই, আপনিও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালবাসেন, জেনে খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার শেয়ার করা এই এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি করা এখন শখের হয়ে গিয়েছে তা জেনে খুশি হলাম। তার জন্য এলোমেলো ভাবে তোলা সাতটি ফটোগ্রাফির পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারনা দিয়েছেন আমাদের মাঝে। প্রতিটি ফটোগ্রাফির আলাদা আলাদা বর্ণনা দিয়েছেন। ফটোগ্রাফির দিকে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় আপনি খুব দক্ষতার সাথে ফটোগ্রাফি করেছেন । আমার কাছে দাদা কলকে ফুলের কুঁড়ি এবং উলু ঘাসের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার ফটোগ্রাফি করার দক্ষতার প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। ভালো লাগলো আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে।
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই আপনার ফটো গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আমার কাছেও উলু ফুলের ফটোগ্রাফিটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো যে আপনার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই ।
হ্যা ভাই অনেক ভালো লেগেছে।
উলু ঘাসটা বেশ সুন্দর লাগে আমার কাছে। যখন বাতাসে দুলে উঠে তখন অসাধারণ একটা মূহুর্ত সৃষ্টি হয়। উলু ঘাসের ফটোগ্রাফি টা দারুণ ছিল। মায়াপুরের মন্দিরের ফটোগ্রাফি এর আগেও আপনার পোস্ট থেকে দেখেছি সম্ভবত। আজকে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ ছিল। চমৎকার করেছেন। টগর ফুলের কড়ি টাও চমৎকার লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আমার শেয়ার করা এই এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো যে আপনার কাছে দারুণ লেগেছে, সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আরে বাহ্ আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর করে কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি এত মনোমুগ্ধকর ছিল যে, দেখতে জাস্ট অসাধারণ লাগছিল। মন্দিরটা তো দেখছি অনেক বেশি বড় ছিল। মন্দিরের অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। ছোট আমের গুটিটা দেখে তো আমার আম খেতে ইচ্ছে করতেছে এখন। লবন মরিচ দিয়ে কাঁচা আম খাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি কিন্তু প্রশংসার যোগ্য ছিল।
এটা কিন্তু ঠিক কথা বলেছেন আপু। যাইহোক, আমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।