বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। মানুষের অনেক ধরনের শখের কাজ থাকে। কারোর ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে, কারোর গান গাইতে ভালো লাগে, কারোর আবার খেলাধুলা করতে ভালো লাগে, এরকম অনেক ধরনের শখ রয়েছে মানুষের। ব্যক্তিগতভাবে আমারও কয়েকটি শখ রয়েছে। এই শখ গুলোর মধ্যে ফটোগ্রাফি করা একটি। বন্ধুরা, তোমরা সবাই জানো যে প্রতি সপ্তাহে আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি তোমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি এলোমেলো ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের চেষ্টা করি, সাতটি ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি তোমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। আজকের এই পোস্টটিতে তোমাদের সাথে যে ভিন্ন ধরনের সাতটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি, তার সাথে এর বর্ণনাও খুব সুন্দর করে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ফটোগ্রাফির সাথে এর বর্ণনা শেয়ার করলে, সেই ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত অনেক কিছুই জানা যায়। যাইহোক, আমি চেষ্টা করেছি এই ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো নিচে দেখে নেওয়া যাক।

_{^{স্থান : বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

প্রথম এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো, কাঁটামুকুট ফুলের ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি আমি আমাদের বাড়ির ছাদ থেকে তুলেছিলাম। আমাদের ছাদে কয়েকটি কাঁটামুকুট ফুলের গাছ লাগানো রয়েছে। সেখানে প্রত্যেক বছর প্রচুর ফুলও ফোঁটে। এই ফুলগুলো প্রথমে যে সময় হয় অনেকটা লাল রঙের থাকে। কিন্তু অনেক দিন গাছে এই ফুল থাকার পরে লাল রঙের প্রভাব কিছুটা কমে যায়। আমি এই ফুল ফোঁটার অনেকদিন পরেই এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম, সেইজন্য ফুলের কালারটা অনেক বেশি লাল লাগছিল না। কয়েকদিন আগেই ছাদে গিয়ে এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০২🍂

_{^{স্থান : বাঁকুড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

দ্বিতীয় এই ফটোগ্রাফিতে সবুজের সমারোহ দেখা যাচ্ছে। এই সবুজের সমারোহে তোমরা সবুজ ধানের ক্ষেত এবং বিভিন্ন ধরনের গাছপালা দেখতে পাবে। এই ফটোগ্রাফিটি আমি বাঁকুড়া ভ্রমণের সময় তুলেছিলাম। বাঁকুড়া ভ্রমণের সময় বাড়ি ফেরার পথে বাসে করে যখন আসছিলাম তখন রাস্তার পাশে সুন্দর এই প্রকৃতি দেখার সুযোগ হয়েছিল। মাঝে মাঝে বাস যখন দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল, আমি আমার ফোন দিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিচ্ছিলাম। সেইদিন যেসব ফটোগ্রাফি আমি করেছিলাম তার মধ্যে এটি একটি ছিল।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৩🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো রঙ্গন ফুলের কুঁড়ির ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি আমি গতকাল সকালবেলা তুলেছিলাম। আমি সকালবেলা একটু বাড়ি থেকে বাজার করার জন্য বাইরে গেছিলাম। বাইরে যাওয়ার পথে একটি বাড়ির মধ্যে আমি এই ফুল গাছ দেখতে পাই। সেখানে অনেক ফুলের কুঁড়ি হয়েছিল। আমার চোখের সামনে যে ফুলের কুঁড়িটি কাছাকাছি ছিল তার ফটোগ্রাফিটি আমি সেই মুহূর্তে করে নিয়েছিলাম। এই ফুলের কুঁড়িগুলো যখন ফুটবে, এগুলো দেখতে আরও বেশি ভালো লাগবে।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৪🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো, নারকেল গাছ এবং সুপারি গাছ। আমি এই গাছ গুলোর নিচে দাঁড়িয়ে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। কয়েকদিন আগে সকালবেলা একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য আমি বেরিয়েছিলাম। হাঁটাহাঁটি করার সময় আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের একটা জায়গায় গিয়ে আমি কিছু সময় রেস্ট করার জন্য দাঁড়ায়। সেখানে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে আমি এই দৃশ্যটা দেখতে পেয়েছিলাম। এই দৃশ্যটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল, সেই জন্য ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম এই দৃশ্য টি।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৫🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফিটিতে তোমরা একটি মূর্তি দেখতে পাচ্ছো। এই মূর্তিটি কিসের তৈরি তা আসলে আমার জানা নেই। এই ফটোগ্রাফিটিও গতকালকে বাজারে যাওয়ার সময় একটি বাড়ির সামনে থেকে তুলেছিলাম। সেই বাড়ির গেটের দেওয়ালের উপরে এরকম দুটি মূর্তি করা ছিল। যারা হাত নমস্কার করে ওয়েলকাম করছে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। যাইহোক, চলার পথে যেহেতু ওইগুলো দেখে ভালো লেগেছিল তাই এই ফটোগ্রাফিটি করে রেখেছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৬🍂

_{^{স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

সবুজ রঙের যে পাতাগুলো তোমরা এখানে দেখতে পাচ্ছো, এগুলো হলো ডাটা শাকের পাতার ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি আমাদের বাড়ির ছাদ বাগান থেকেই আমি করেছিলাম। আমাদের বাড়ির ছাদ বাগানে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি লাগানো হয়। দুইদিন আগে ছাদ বাগানের একটা অংশে গিয়ে দেখি মা কিছু ডাটা গাছ লাগিয়েছে। এই ডাটা গাছগুলো বেশ সুন্দর করে বেড়ে উঠছিল। আমি ছাদে একটু হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে এগুলো আমার নজরে আসে। আর এগুলো দেখে আমার ভালো লেগেছিল, সেই জন্য এই ফটোগ্রাফিটি করে রেখেছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৭🍂

_{^{স্থান : ধর্মতলা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফি টি ধর্মতলা থেকে তোলা। কিছুদিন আগে বাঁকুড়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাসে করে আমি ধর্মতলায় নেমেছিলাম। সেখান থেকে গাড়িতে করে পুনরায় শিয়ালদহ স্টেশনে আসতে হয়। ধর্মতলা থেকে গাড়িতে উঠে শিয়ালদহ আসার পথে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। জ্যামে আমাদের গাড়ি কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিল। তখন কলকাতা শহরটাকে আমার দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। সেই মুহূর্তে গাড়ির জালনা দিয়ে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে, বিকেলের সময় ছিল সেই জন্য বাইরের পরিবেশটা বেশি ভালো লাগছিল।