ফটোগ্রাফি || রথের মেলা থেকে তোলা এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আসলে অন্যান্য সপ্তাহে এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেও আজকের ফটোগ্রাফি গুলো সেরকম না। বেশ কিছুদিন আগে আমি আমাদের এখানে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি রথের মেলায় গেছিলাম। সেই রথের মেলা থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম, সেখান থেকে কিছু শেয়ার করবো এখানে। আসলে রথের মেলা যাওয়া উপলক্ষে পূর্বেও তোমাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সেখানেও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। তবে সেখানে ফটোগ্রাফি রিলেটেড বর্ণনা সহ শেয়ার করা হয়নি। আজকের ব্লগে বাকি যেসব ফটোগ্রাফি গুলো ছিল, সেগুলোর বর্ণনা সহ শেয়ার করবো। আসলে এই ধরনের রথের মেলায় ঘুরতে গেলে অনেক কিছুই দেখার সুযোগ হয়। তার সবকিছু একটি ব্লগের মাধ্যমে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। সেজন্যেই আজকের ব্লগের মাধ্যমে বাকি আরো বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
বর্তমানে যে কোন মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো নাগরদোলা। এখনকার নাগরদোলা গুলো বেশ উন্নত। আগে যেমন কাঠের নাগরদোলা দেখা যেত, এখন সেরকম দেখা যায় না। এখন সব নাগরদোলা গুলো স্টিল এবং লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এগুলো বেশ মজবুত এবং নিরাপদ হয়। রথের মেলার ভিতরের অংশে এই নাগরদোলা টি দেখতে পেয়েছিলাম আমি সেদিন। আমি যে মুহূর্তে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম, সেই মুহূর্তে নাগরদোলাটি স্থির অবস্থাতেই ছিল। যাইহোক, মেলায় গিয়ে এই নাগরদোলা দেখতে বেশ ভালই লাগে।
এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছ একটি লোক ভুট্টা বিক্রি করছে। মেলার অন্যান্য জায়গায় বেশ ভিড় থাকলেও এই ভুট্টার দোকানে তেমন একটা ভিড় ছিল না। এই লোকটি একা একা বসেছিল। আমি যখন মেলার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম এই লোকটি আমার হঠাৎ নজরে আসে। সেই সময় এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম।
এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছো, একটি ছেলে হাতে ডিজাইন করার নকশা নিয়ে বসে রয়েছে। আসলে রং দিয়ে এই নকশাগুলো হাতে করা হয়। কাঠের বিভিন্ন ছাঁচে বিভিন্ন ডিজাইন করা থাকে। সেই গুলো রঙ্গে ডুবিয়ে হাতে ডিজাইন করা হয়ে থাকে। মেহেদি ডিজাইন করার পরে যেমনটা হয়, এই রং দিয়ে ডিজাইন করার পরেও ঠিক তেমনটাই দেখা যায়। যাইহোক, এগুলো মেয়েরাই ভালো বুঝবে।
এইখানে একটি লোক বাদাম, নিমকি এবং বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি নিয়ে বসে আছে। মেলায় গেলে সাধারণত মানুষ এগুলো কিনে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমিও মেলাতে গেলে বাদাম, মিষ্টি বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে আসি। মেলায় ঘোরাঘুরির সময় বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি যখন করেছিলাম, এই ফটোগ্রাফিটিও আমি সেই সময় করেছিলাম।
এই অংশটাতে বেশ কিছু কসমেটিক্স এবং বাচ্চাদের খেলনার দোকান ছিল। আসলে এখনকার দোকানগুলোতে বাচ্চাদের এবং মহিলাদের জিনিস বেশি পাওয়া যায়। আমি তো মেলায় অনেকটা সময় ঘোরাঘুরি করেছিলাম। তবে আমাদের বিশেষ কিছু জিনিস আমি দেখতে পাইনি। অধিকাংশ জিনিসই বাচ্চাদের এবং মেয়েদের বা মহিলাদের ছিল। যাইহোক, ঘোরাঘুরি করার সময় এই ফটোগ্রাফিটিও আমি সেদিন করেছিলাম।
মেলার প্রায় শেষ অংশে এসে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। আসলে এই অংশের ভিতর দিয়েই ছোট একটি জায়গায় রথ যাত্রার মেইন পূজো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই অংশটাতেই সাধারণত রথ এনে রাখে এবং এই জায়গা থেকেই রথযাত্রা শুরু করা হয়। যাইহোক, ঐখানে ছোট একটি মন্দির ছিল। সেই মন্দিরে যাওয়ার পূর্বে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
মেলার ভিড়ের এক অংশ দেখা যাচ্ছে এই ফটোগ্রাফিটিতে। মেলায় সাধারণত অনেক ভিড় হয়। তবে এই মেলায় গিয়ে আমি কিছু অংশে অনেক ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম এবং কিছু অংশে কম ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম। ভিড় অংশের মধ্য দিয়ে আমি যখন যাচ্ছিলাম তখন এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম। এই অংশটাতে খাবারের দোকান বেশি ছিল। মানুষের খাবার কেনার ভিড় এখানে চোখে পড়ার মত ছিল।
🍁🍁পোস্ট বিবরণ 🍁🍁
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কিছুদিন আগে আমাদের এলাকাতেও রথযাত্রা হয়েছিল এবং এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট ও বসেছিল। সেসব ছবি অবশ্য তোলা হয়নি। তবে আজকে আপনার এই পোস্টটি দেখে সেদিনের কথা মনে পড়ে গেল। প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু, আমার শেয়ার করা এই ছবিগুলো যে আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম আমি।
ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল দোকানদার নিমকি বাদাম সহ মিষ্টি জাতীয় খাবার নিয়ে বসে আছে এই ফোটোগ্রাফিটা দেখে আমার মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো খেতে ইচ্ছা করছে 😋 ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আমাদের শহরের মধ্যে ও রথের মেলা শুরু হয়েছে। আসলে রথের মেলা অনেক সুন্দর হয়। আপনি দেখছি রথের মেলা থেকে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী সংগ্রহ করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার তোলা নাগরদোলার ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো যে আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম আমি।
ভাইয়া আপনি দেখতেছি রথের মেলা গিয়ে খুব চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অসম্ভব ভালো লাগলো। আসলে ধৈর্য ধরে ফটোগ্রাফি করলে ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব হয়। তবে মেলাতে গেলে আমাদের এই দিকে অনেক মানুষ দেখি বাদাম কিনে নিয়ে আসে। রথের মেলা গিয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
রথের মেলা থেকে তোলা এই ফটোগ্রাফি গুলো যে আপনার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে, সেটা জেনে আমারও অনেক ভালো লাগলো আপু।
নাগরদোলায় উঠতে আমার বেশ ভয় করে। এইজন্যই মেলায় গেলে আমি কখনোই ঐটাই উঠি না। নানা রকমের খাবার রয়েছে দেখছি। বেশ সুন্দর করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। মেলার বিভিন্ন অংশের ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার রথের মেলা থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলো।।
ভাই, সব মিলিয়ে আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো যে আপনার কাছে দারুন লেগেছে, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম আমি।