ক্রিয়েটিভ রাইটিং || গল্প : পায়রা (পর্ব -০১)
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করবো । গল্পটির নাম "পায়রা"। গল্পটির প্রথম পর্ব নিচে দেখে নেওয়া যাক। |
---|
রাজীবের অনেক দিনের শখ সে পায়রা পুষবে। আসলে মানুষের শখগুলো কিন্তু আশে পাশের সবকিছু দেখে হয়। রাজীবের পাশের বাড়িতে থাকে তার বন্ধু সজীব। অনেকদিন ধরেই সে পায়রা পোষে। তার বন্ধুর পায়রা পোষা দেখে রাজীবেরও পায়রা পোষার প্রতি একটা ইন্টারেস্ট চলে আসে। তারপর সে যখন তার এই আবদারের কথা বাড়িতে জানায়, তার বাড়ির লোকজন পায়রা পোষার ব্যাপারে না জানায়। আসলে এগুলো পুষতে গেলে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। তাছাড়া এগুলো মেইন্টেন করাও অনেকটা ঝামেলার কাজ। যদিও তাদের গ্রামে বাড়ি ছিল, এই জন্য এই ব্যাপারটা চাইলেই একটু সহজ ভাবে করা যায়।
যাইহোক, হঠাৎ করে রাজীবের বাবা ছেলের এরকম সিদ্ধান্তে প্রথমে একটু নারাজ হলেও পরবর্তিতে যখন দেখে যে, তার ছেলে কয়েকদিন না খেয়ে রয়েছে তখন এই পায়রা পোষার জন্য সহমত জানায়। এরপর সে নিজে বাজার থেকে দুটো ছোট পায়রার বাচ্চা এনে দেয় রাজীবকে। রাজীব এই পায়রার বাচ্চা পেয়ে তো অনেক খুশি হয়। সারাদিন সে এই পায়রা নিয়ে বসে থাকে। তাদের খাওয়ানো, স্নান করানো এই সব কিছু সে একাই করে। যেহেতু পায়রার বাচ্চাগুলো অনেকটা ছোট ছিল, এজন্য তাদের সেবা যত্নেরও অনেক দরকার ছিল।
মানুষ যেমন তার নিজের বাচ্চাকে ছোটবেলায় লালন-পালন করে, ঠিক তেমন ভাবে রাজীব এই ছোট পায়রার বাচ্চাদের বড় করে তুলছিলো। তাদের বাজার থেকে এনে প্রথমে লোহার খাঁচার ভিতর রেখে দেয়। তবে পায়রা আসলে লোহার খাঁচার ভিতর পালন করা সম্ভব হয় না। সেজন্য তার বাবা বাজার থেকে একটা কাঠের তৈরি পায়রার খাঁচা এনে দেয় এই পায়রা দুটিকে রাখার জন্য। রাত হলেই সেই পায়রার খাঁচায় তাদের রেখে দেয়। আর সারাদিন তাদের কোনো না কোনো সেবা যত্ন চলতেই থাকে রাজীবের পক্ষ থেকে। রাজীবের স্কুলে যাওয়াও কমে গেছে এই পায়রার সেবা যত্ন করতে করতে। চোখের সামনে এই পায়রার আস্তে আস্তে বড় হওয়া দেখছে সে। এভাবে বেশ কয়েকদিন কেটে যায়। দিন যাচ্ছে, এইদিকে রাজীবের ধৈর্য যেন কেমন কম হয়ে যাচ্ছে। আসলে সে চাইছে পায়রা গুলো তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাক। আর তার সামনে উড়ে উড়ে বেড়াক।
অন্য কোন পাখির মত পায়রা কথা বলতে না পারলেও, পায়রা কিন্তু বেশ পোষ মানে। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর পায়রাগুলো এখন নিজে থেকেই খেতে পারে। তবে প্রতিদিন খাবার গুলো পায়রার সামনে দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু রাজীবেরই থাকে। যদিও পায়রাগুলোকে সে স্বাচ্ছন্দ্যে ছেড়ে দিতে পারে না। কারণ গ্রামের দিকে এই পায়রাগুলোকে বেড়ালে ধরে মেরে ফেলে। তাছাড়া বড় বড় কাক রয়েছে, সেগুলো এই পায়রাগুলোকে ধরে নিয়ে চলে যায়। এই ব্যাপারগুলো যেহেতু গ্রামে প্রায় ঘটে তাই রাজীব এই ব্যাপারে সচেতন থাকে। এই জন্য সে খাঁচার বাইরের অংশটাতে নেটের জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছে, এইসব আক্রমণকারী পশু অথবা পাখির কাছ থেকে তার শখের পায়রা দুটিকে রক্ষা করার জন্য।
চলবে..
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং (গল্প) |
---|---|
লোকেশন | বারাসাত , ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একেবারেই ঠিক বলেছো দাদা,আশেপাশের কিছু বিষয় মানুষকে আকৃষ্ট করে ।তার ফলেই নানা ইচ্ছা ও শখ জাগে মনে ,তেমনটা তোমার গল্পের মূল চরিত্র রাজীবের ও।খুবই ভালো লাগছে পড়তে রাজীবের পায়রার প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে।যদিও অতি যত্নের ধন থাকতে চায় না, যাইহোক তারপরও দেখা যাক শেষে কি হয়!ধন্যবাদ তোমাকে।
এটা তুমি ঠিক কথা বলেছো বোন। যাইহোক, পরবর্তী পর্বেই এই বিষয়টা ক্লিয়ার ভাবে জানতে পারবে আর কি ।
https://x.com/ronggin0/status/1823489629523210378?t=awAE-gPcLwhsNhXu1LtPFQ&s=19