রেসিপি || বাংলাদেশ থেকে শিখে আসা একটি রেসিপি "লেবুর পিনিক" তৈরি।
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি প্রত্যেক সপ্তাহেই কমপক্ষে একটি করে রেসিপি পোস্ট তোমাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। প্রত্যেকবার নতুন নতুন ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার বেশ ভালই লাগে। যাইহোক, আজকে তোমাদের সাথে একটি স্পেশাল রেসিপি শেয়ার করবো। এটা স্পেশাল বলছি এই কারণে যে, এই রেসিপিটি আমি বাংলাদেশ থেকে শিখে এসেছিলাম। কয়েক মাস আগে যখন আমি বাংলাদেশের খুলনায় ঘুরতে গেছিলাম, সেখানকার একটি জায়গায় গিয়ে আমি লেবুর পিনিক নামক একটি রেসিপি খেয়েছিলাম। রেসিপিটি আমার ভালো লাগায়, যে লোকটি এই রেসিপিটি তৈরি করেছিল তার কাছ থেকে আমি সেদিন এই রেসিপিটি শিখে নিয়েছিলাম। সেই লোকটি আমাকে এই রেসিপিটি শেখানোর কারণে আমি খুশি হয়ে তাকে ১০০ টাকাও দিয়েছিলাম । যাইহোক, অনেকদিন ধরেই এই রেসিপিটি শেয়ার করবো ভাবছিলাম। আজ অবশেষে সময় বের করে তোমাদের সাথে রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করলাম। এই রেসিপিটি আমি দুই ভাবে তৈরি করে শেয়ার করেছি নিচে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
লেবু | ৩ টি |
লবণ | হাফ চামচ |
চিনি | ২ চামচ |
বিট লবণ | ১ চামচ |
হোমমেড পিনিক মশলা (শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, জিরে, ধনে, মৌরি, গোলমরিচ ইত্যাদি মশলা দিয়ে তৈরি) | ২ চামচ |
⏩ প্রস্তুত প্রণালী ⏪
প্রথম ধাপ
প্রথমে লেবু গুলোকে স্লাইস করে করে কেটে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন কেটে রাখা লেবুর স্লাইস গুলোকে প্লেটে সুন্দর করে সাজিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
সাজিয়ে নেওয়া লেবুর স্লাইস গুলোর উপর পিনিক মশলা ও বিট লবণ একটু একটু করে দিয়ে দিলাম।এইভাবে এক প্রকার লেবুর পিনিক তৈরি করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
অন্য ভাবে লেবুর পিনিক তৈরি করার জন্য প্রথমে, পূর্বে কেটে রাখা কিছু লেবুর স্লাইসের উপরে বিট লবণ ও পিনিক মশলা দিয়ে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এখন এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
সবশেষে এগুলোর মধ্যে সামান্য একটু লবন দিয়ে মাখিয়ে প্লেটে সাজিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
দুই প্রকার ফুল দিয়ে "লেবুর পিনিক" রেসিপিটি সাজিয়ে পরিবেশন করে নিলাম।
🥀পোস্ট বিবরণ🥀
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
রেসিপি মেকার ও ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
লেবুর পিনিক খেতে আমি অত্যন্ত পছন্দ করি। লেবুর পিনিক এরকম ভাবে তৈরি করলে জাস্ট অসাধারণ লাগে খেতে। আমাদের তো মাঝে মাঝেই লেবুর পিনিক তৈরি করা হয়ে থাকে। আর যখন এটা খাওয়া হয় তখন তো দারুন লাগে। ঝাল একটু বেশি হলে আমার কাছে এটা খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনি লেবুর পিনিক তৈরির রেসিপি টা বাংলাদেশ থেকে শিখে গিয়েছেন, আর ওখানে গিয়ে তৈরি করলেন এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। এটার সাথে কম বেশি অনেকেই পরিচিত আবার অনেকে পরিচিত না। আপনার কাছে দেখে এটা খাওয়ার জন্য লোভ লেগেছে।
হ্যাঁ ভাই, এই লেবুর পিনিক রেসিপিটিতে একটু ঝাল বেশি দেওয়া হলে বেশি টেস্টি হয়। এই রেসিপিটি যে আপনারাও বাড়িতে মাঝে মাঝে তৈরি করে খেয়ে থাকেন, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/ronggin0/status/1805422607770243372?t=kNV-3tYZy0aKHMydNjrE4A&s=19
আসলেই খুলনার সেই লেবুর পিনিক টা খেতে অসম্ভব সুন্দর। দারুন একটা ফ্লেভার থাকে।খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই, খুলনা থেকে আমি যে লেবুর পিনিকটা খেয়েছিলাম, সেটা খেতে অসম্ভব সুন্দর ছিল। যাইহোক, আমার আজকের শেয়ার করা এই রেসিপিটি আপনার কাছে যে লোভনীয় লেগেছে, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো আমার।
আমাদের এদিকে এই লেবুর পিনিক রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আসলে এদিকের মানুষ এই রেসিপির নাম জানে না।আপনার পোস্ট পড়ে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।নিশ্চয় খেতে অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু, যেহেতু আগে কোনদিন আপনি এই রেসিপিটি খাননি , তাহলে আমার শেয়ার করা এই পদ্ধতি অনুসারে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। আশা করি, অনেক ভালো লাগবে আপনার।
ভাইয়া আপনি বাংলাদেশে এসে এই রেসিপিটি খেয়ে মজা পেয়েছেন বলে লোকটির কাছ থেকে এই রেসিপি শিখে নিয়েছেন আর তাকে আবার ১০০ টাকা বকশিশ ও দিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। কিন্তু আমি কখনো লেবুর পিনিক খায়নি আর এর নামও শোনা না হয়নি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। একদিন খেয়ে দেখব, নিশ্চয়ই খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। এমন ভাবে সাজিয়ে রেখেছেন যা দেখতে ফুলের মত দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি যে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরেছেন, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। তাছাড়া আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটির উপস্থাপনার প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
লেবুর পিনিক আমি অনেক বেশি পছন্দ করে খেতে। আর এটা দেখলেই আমার জিভে জল চলে আসে খাওয়ার জন্য। আর তেমনি ভাবে আপনার এটা দেখেও খুব লোভ লেগেছে। বাংলাদেশ থেকে আপনি এটা শিখে গিয়েছেন শুনে খুব ভালো লেগেছে। এটার প্রচলন কিন্তু বাংলাদেশে অনেক বেশি রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই এটি তৈরি করে খেয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা টক জাতীয় খাবারগুলো খেতে পছন্দ করে তারা। ঘরে যেহেতু লেবু রয়েছে তাই আমি ভাবছি এটি তৈরি করবো। কারণ আমার জিভে জল চলে এসেছে দেখেই
আপু, টক জাতীয় খাবার যারা পছন্দ করে তারা তো অবশ্যই এই রেসিপিটি পছন্দ করবে। তাছাড়া এই রেসিপিটির প্রচলন বাংলাদেশে যে বেশ রয়েছে, এটা আমি বাংলাদেশ গিয়েই দেখেছিলাম। তবে আমাদের কলকাতাতে এই জিনিসটি কিনতে পাওয়া যায় না। তাই নিজেই বাড়িতে তৈরি করেছিলাম।
বাহ্ দারুন তো এমন একটি রেসিপি তো আগে দেখা হয়নি। আমার কাছে এই রেসিপিটিকে একটি ইউনিক রেসিপি মনে হলো। আপনি বেশ সুন্দর করে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটি যে আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে, সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো আমার। আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আজ আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া এই লেবুর পিনিকটা খেতে অসম্ভব সুন্দর লাগে।আপনার এই রেসিপিটি দেখে তো আমি লোভ সামলাতে পারছি না। আমি এর আগে দুই একবার এই রেসিপিটি বাসায় তৈরি করেছি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার রেসিপিটিও দেখে বোঝাই যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক যে, এই ধরনের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো একটু কষ্টকর ব্যাপার 🤤। যাইহোক, আমি চেষ্টা করেছি আপু, এই রেসিপিটি সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাই আপনার ছবিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
লেবুর পিনিক নাম শুনেই জিভে জল চলে এসেছে। কি দারুণ রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা।একদম জিভে জল আসার মতো রেসিপিটি। খুলনায় এসে রেসিপিটি শিখে গেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে লেবুর পিনিক রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি, এই ধরনের টক জাতীয় রেসিপি দেখলে আসলেই জিভে জল চলে আসে। আমি মাঝে মাঝে যখন এই রেসিপির ফটোগুলো দেখছি, আমার নিজেরই জিভে জল চলে আসছে। যাইহোক, আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।