রেসিপি || নিরামিষ আলু পকোড়া রেসিপি
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
এই গরমের মধ্যে কোন রেসিপি প্রস্তুত করা যে কি কঠিন কাজ, এটা তারাই বুঝতে পারবে যারা এই সময়টাতে কোন রেসিপি তৈরি করে থাকে। যাইহোক, আমি প্রতি সপ্তাহে তোমাদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার করে থাকি। সত্যি কথা বলতে, এই রেসিপি তৈরির কাজটি আমার অনেক ভালো লাগে। এই রান্নার কাজটি আমি অনেক বছর আগে থেকেই করে আসছি। শীতকালে রান্না করতে একটু বেশি ভালো লাগে, তবে এই গরমকালে রান্না করতে একটু বেশি কষ্ট হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন ধরে বেশ ভালোই গরম পড়েছে। এই গরমে রান্নাঘরে গেলে মনে হয়, কখন বের হতে পারবো সেখান থেকে। যাইহোক, আজকে এই রেসিপিটি তৈরি করার পরে আমি সুন্দর করে পরিবেশনও করার চেষ্টা করেছি। আজকের রেসিপিটির নাম হলো "নিরামিষ আলু পাকোড়া"। রেসিপিটি আমি কেমন করে করেছি তা ধাপে ধাপে নিচে শেয়ার করলাম। আশা করি, এই ধাপগুলো অনুসরণ করে তোমরাও সহজে বাড়িতে এই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ৪ টি |
লবণ | ১ চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | হাফ চামচ |
শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো | ১ চামচ |
কর্নফ্লাওয়ার | ৪ চামচ |
তেল | পরিমাণ মতো |
গরম মসলার গুঁড়ো | হাফ চামচ |
টেস্টি সল্ট | হাফ চামচ |
⏩ প্রস্তুত প্রণালী ⏪
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে, আলুর খোসা ছাড়িয়ে গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে, আলুর মধ্যে থাকা এক্সট্রা জল ঝরিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার আলুর মধ্যে কর্নফ্লাওয়ার যোগ করে তা ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এখন পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়ো, লবণ ও শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে গ্রেট করা আলু গুলো মিশিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এবার এই ধাপে, টেস্টি সল্ট ও গরম মসলার গুঁড়ো দিয়ে সমস্ত উপকরণ ভালো করে আলুর সাথে মিশিয়ে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এবার আলুর মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
তারপর প্যানে পরিমাণ মতো তেল গরম করতে দিয়ে আলুর পকোড়া গুলো একে একে তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
এই ধাপে, পাকোড়া গুলো গোল্ডেন ব্রাউন করে ভাজা হয়ে গেলে তা প্লেটে নামিয়ে শসা ও সস সহযোগে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করে নিলাম।
🥀পোস্ট বিবরণ🥀
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
রেসিপি মেকার ও ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
আপনাদের রেসিপি পোস্টগুলো অনেক ইউনিক আইটেমের হয়ে থাকে। আজকে তার ভিন্ন কিছু নই। নিরামিষ আলু পকোড়া রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আলুর পকোড়া গুলো দেখে জিভে জল চলে আসছে। আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই, রেসিপিটি খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক, আলু পকোড়া গুলো দেখে জিভে জল চলে আসলে, বাড়িতে এমন করে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন ভাই।
জ্বি ভাই সময় করে একদিন তৈরি খেয়ে দেখবো ইনশাআল্লাহ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আলু পকোড়া গুলো দেখে তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। এধরনের তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। যে গরম পরেছে বাসায় যারা রান্না করে তাদের তো খবর হয়ে যায়। পারফেক্ট একটি নাস্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই, আলু পকোড়া দেখে খেতে ইচ্ছা করলে, বাড়িতে একটু কষ্ট করে তৈরি করে নিয়ে খেতে হবে আপনাকে। আমি যা বাড়িতে তৈরি করেছিলাম তা আমি সব খেয়ে নিয়েছি । হিহি..🤭🤭
এটা একেবারেই ঠিক বলেছেন এই গরমে রান্না করতে গেলে কখন বের হবো তাই চেস্টা করি। আমিতো খাবারের আইটেম কমিয়ে দিয়েছি গরমের কারনে। যাতে রান্না ঘরে কম থাকতে হয়। তবে এই গরমে আপনি বেশ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হয়েছিল। বিকালের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি। ধন্যবাদ রেসিপিটি তৈরির প্রক্রিয়া শেয়ার করার জন্য।
একদম সঠিক কথা বলেছেন আপু, বিকালের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি এটি। তবে সন্ধ্যার সময়ও এই ধরনের রেসিপি খেতে ভালো লাগে।
নিরামিষ আলু পকোড়া রেসিপিটি বেশ ভালোই হয়েছে দেখছি। আসলেই এই গরমের দিনে রান্নাঘরে যাওয়া খুবই কষ্টকর একটা কাজ। আমি যখন মাঝেমধ্যে রেসিপি তৈরি করি এটা অনুভব করতে পারি। বেশ সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন দেখছি। নিরামিষ হওয়ার কারণে যারা আমিষ খায় না তারা এটাকে খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে। সবমিলিয়ে দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল আপনার।
এটা অবশ্য ঠিক কথা বলেছেন দিদি। এই ব্যাপার টা ভেবেই রেসিপির নামের আগে "নিরামিষ" ওয়ার্ড টা উল্লেখ করে দিয়েছি। হিহি..🤭
আপনার নিরামিষ আলু পকোড়া রেসিপি, প্রতিটি ধাপ দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার পাকোড়া রেসিপিটা দেখে শিখে নিতে পেরেছি খুব সহজে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক লোভনীয় ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই , রেসিপি টি অনেক লোভনীয় ছিল। রেসিপি তৈরি ধাপগুলো দেখে আপনার অনেক ভালো লেগেছে, জেনে খুব খুশি হলাম।
নিরামিষ আলু পকোড়া তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এটা খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা খাবার। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এটা খেতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকেলের নাস্তা তে এমন রেসিপি খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু, বিকেলের নাস্তাতে এমন রেসিপি খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
তেলে ভাজা খাবার গুলো আমার খুব পছন্দের। আপনার তৈরি আলু পাকোড়া দেখতে অসাধারণ
হয়েছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো ইউনিক একটি আলু পকোড়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটা যে আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে, সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।
ঠিক বলেছেন গরমে রান্না ঘরে ঢুকতে ইচ্ছে করে না আর যদি ঢোকাও হয় তবে কখন বের হবো এটা মাথায় ঘুর ঘুর করে সব সময়।আপনি চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু করে খুব সহজ পদ্ধতিতে আমাদের সাথে আলুর নিরামিষ পাকোড়া শেয়ার করেছেন দাদা।এরকম গরম গরম পাকোড়া যদি বিকেলে খাওয়া যায় তাহলে আর কি চাই।খুব সুস্বাদু হয়েছে আপনার পাকোড়া রেসিপিটি। ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে পাকোড়া তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু পাকোড়া রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমার এই রেসিপির প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।