লাইফ স্টাইল || "মিও আমোরে" টুকটাক খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগlast month

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

প্রায় সপ্তাহখানেক আগে আমি আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরের একটি জায়গায় প্রয়োজনীয় একটি কাজে গেছিলাম। আমি দুপুরের সময় সেই জায়গাতে কাজে গেছিলাম। দুপুরে বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে কোন কিছু আমি খেয়ে যাই নি। সেজন্য সেখানে গিয়ে কাজ করার সময় আমার খিদে পেয়ে যায়। যাইহোক সেখানে কাজ কমপ্লিট করার পরে বাইরে থেকে কোন কিছু খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই আমি। যেহেতু আমি একা ছিলাম তাই একা কোন রেস্টুরেন্টে আর যাইনি। সাধারণত কোন রেস্টুরেন্ট বা বড় কোন দোকানে একা একা গিয়ে খাওয়া খুব বিরক্তিকর দেখায়। সবাই কেউ কারো না কারো সাথে সেসব জায়গায় যায় আর আমি যদি সেখানে গিয়ে একা বসে খাই ব্যাপারটা কিরকম একটু চোখে লাগার মত হয়। সেজন্য আমি বড় কোন জায়গায় সেদিন খেতে যাইনি।

20240705_150007.jpg

20240705_150017.jpg

আমাদের বারাসাতের একটি জায়গার নাম ডাকবাংলো। সেই ডাক বাংলোর মোড়ে রয়েছে একটি কেকের শপ। যার নাম মিও আমোরে। এটি মূলত কেকের জন্যই বিখ্যাত। তবে এখানে কেকের পাশাপাশি অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায়। এত খাবারের নাম জানা তো আর সম্ভব না তাই খাবারের নাম আমার উল্লেখ করলাম না। এই জায়গাতে আমি অনেক বছর ধরেই খাই। এখানে খাবারের দাম রেস্টুরেন্টের তুলনায় অনেক কম। তবে বাইরের লোকাল দোকানের তুলনায় কিছুটা বেশি। যাইহোক এখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়। তাই জন্য এসব জায়গায় খাওয়া অনেকটাই স্বাস্থ্যকর। তবে এইসব জায়গার একটা সমস্যা হচ্ছে এখানে বসে খাওয়ার কোন সুবিধা নেই। খাবার কিনে দাঁড়িয়েই খেতে হয় তবে আমি যেহেতু একা ছিলাম তাই এখানে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিই।

20240705_150028.jpg

20240705_150037.jpg

এখানে যেহেতু কেকের জন্য ফেমাস। তাই প্রথমে গিয়েই আমি নতুন একটি কেক খাই। এটি ছিল একটি চিজ কেক। এখানে মূলত আমি অনেক কেকই ট্রাই করেছি। তবে চিজ কেক এই প্রথমবার ট্রাই করেছিলাম। চিজ কেক নতুন ট্রেন্ডিংয়ে চলছে। আগে এরকম চিজ কেক কোথাও পাওয়া যেত না তবে বর্তমানে প্রায় সব জায়গাতেই এই চিজ কেক পাওয়া যায়। যাইহোক এখানে চিজ কেকটা খেয়ে আমার খুব বেশি ভালো লেগেছে তাই বলবো না। একটু মিষ্টি বেশি লেগেছিল আর বেশি মিষ্টি লাগলে সেই খাবারগুলো আমি খুব বেশি একটা পছন্দ করি না। যাইহোক প্রথমে চিজ কেক খাওয়ার পর তার পরে অন্যান্য কিছু খাবার খাওয়ার আমি সিদ্ধান্ত নিই। তার মধ্যে ছিল ভেজ পেটি এবং আর একটা ভেজ রোল। এগুলো যখন গরম গরম দেয় খেয়ে আমার বেশ ভালই লেগেছিল। আমার যতটা খিদে লেগেছিল খিদে মিটেছে এই খাবার খাওয়ার পর। খাবারগুলো এখান থেকে মাইক্রোওভেন থেকে গরম করেই দিয়েছিল। গরম গরম খেতেই এই খাবারগুলো মজা লাগে। ঠান্ডা অবস্থায় দিলে যদিও ভালো লাগে না।

20240705_150136.jpg

20240705_150652.jpg

যাইহোক এই খাবারগুলো শেষ করে আমি এখান থেকে কোলড্রিংস ও কিনে খাই। যদিও এই খাবারগুলো খাওয়ার পর এতটা জল তেষ্টা পেয়েছে কোলড্রিংসের যে ফটো তুলবো সেটাই ভুলে গেছিলাম। আর যেহেতু এখানে কোথাও রেখে ফটো তোলার ব্যবস্থা ছিল না। সেজন্য আর কোল্ডড্রিংসের ফটোও তোলা হয়নি। খাবারগুলোর ফটো টুকটাক তাও তুলে নিয়েছিলাম। যাইহোক কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে পেটটা পরিপূর্ণভাবে ভরে যায় এবং তৃপ্তি পাই। আমি যদিও চার প্রকারের খাবার খেয়েছিলাম তবে খুব বেশি সময় আমার লাগেনি খাবারগুলো শেষ করতে। তাড়াতাড়ি খাবারগুলো শেষ হয়ে যায় তারপর আবার বেরিয়ে পড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে। এখানে খাবার রেটিং দিতে গেলে কেক বাদে অন্য যে জিনিসগুলো খেয়েছিলাম সেগুলোকে দশের মধ্যে আমি নয় দেব। আর কেকে দেব দশের মধ্যে ছয়। যাইহোক আজকের ব্লগে এতটুকুই শেয়ার করার ছিল তোমাদের সাথে।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবারাসাত, নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বড় বড় রেস্টুরেন্টে একা গিয়ে খাওয়া ভালো লাগে না। আপনি মিও আমোরে" থেকে বেশ ভালো খাবার খেয়েছেন।আসলে বেশির ভাগ ঈকেক একটু মিষ্টি থাকে। যাইহোক আপনি বেশ ভালো করে খাবার খেয়েছেন।নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানোর মুহূর্ত আমাদের মধ্যে শেয়ার করুন।

 last month 

আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58431.17
ETH 2653.99
USDT 1.00
SBD 2.44