("আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৬১) || প্রিয় হোমমেইড স্ন্যাকস রেসিপি : সয়াবিনের পকোড়া তৈরি
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
আমাদের এই কমিউনিটিতে কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে আমি সেখানে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি। তাছাড়া রেসিপি সম্পর্কিত কোন প্রতিযোগিতা দেখলে আমার আগ্রহ আরও অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ আমি অনেক আগে থেকেই রেসিপি করতে ভালোবাসি। এবারের রেসিপি প্রতিযোগিতার টপিকস যেহেতু প্রিয় হোমমেইড কোন স্ন্যাকস তৈরি করতে হবে। তাই আমি ডিসাইড করেছিলাম, আমি সয়াবিনের পকোড়া তৈরি করবো। এই ধরনের পকোড়া গুলো সন্ধ্যার সময় খেতে অনেক ভালো লাগে। আর মাঝে মাঝে আমি বাড়িতে এভাবে পকোড়া তৈরি করে খেয়েও থাকি। তাই ভাবলাম এবারের প্রতিযোগিতায় এই সয়াবিনের পকোড়া রেসিপিটি শেয়ার করি। আমি জানি, খুব বেশি ভালো করে আমি এই রেসিপিটি পরিবেশন করতে পারিনি বা তৈরিও করতে পারিনি। আসলে বেশ কিছুদিন ধরে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে সময় যাচ্ছে। আর এই ব্যস্ততার মধ্যে সব কাজ গুছিয়ে করা আমার জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। তবে তারপরও চেষ্টা করেছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে রেসিপিটি শেয়ার করার। যাইহোক, রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি আমি ধাপে ধাপে নিচে শেয়ার করলাম। আশা করি, এর মাধ্যমে তোমরা রেসিপি টি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মসুর ডাল | ১কাপ |
সয়াবিন | কিছু সংখ্যক |
বেসন | হাফ কাপ |
পেঁয়াজ | ২ টি |
ডিম | ১ টি |
তেল | পরিমাণ মতো |
লবণ | ১চামচ |
শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো | হাফ চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | হাফ চামচ |
গরম মসলার গুঁড়ো | হাফ চামচ |
কালো জিরে | হাফ চামচ |
⏩ প্রস্তুত প্রণালী ⏪
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে, মসুর ডাল কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে তা মিক্সিতে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার সয়াবিন কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে তা জল থেকে তুলে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে ছোট ছোট টুকরো করা সয়াবিন, মসুর ডালের পেস্ট এবং বেসন একসাথে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
তারপর তাতে একে একে গরম মসলা গুড়ো, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, পেয়াজ কুচি, ডিম ও কালো জিরে দিয়ে ভালো করে সমস্ত উপকরণ মাখিয়ে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এবার কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পকোড়া গুলো পরপর তেলের মধ্যে ভেজে তুলে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার পকোড়া গুলো প্লেটে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করে নিলাম।
🥀পোস্ট বিবরণ🥀
শ্রেণী | রেসিপি( প্রতিযোগিতা) |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
রেসিপি মেকার ও ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
ভাইয়া আপনার প্রিয় হোমমেইড স্ন্যাকস রেসিপি তথা সয়াবিনের পকোড়া দেখে দারুন লাগলো। আসলে বিকালে বা সন্ধার পরে এই রেসিপি গুলো খেতে দারুন লাগে। কারন এগুলো সব সময় লোভনীয় খাবার। ধন্যবাদ।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটি আপনার কাছে যে দারুন লেগেছে, এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের বিষয় ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সর্বপ্রথম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনি এই প্রতিযোগিতায় অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। সয়াবিন দিয়ে যে এত সুন্দর পাকোড়া তৈরি করা যায় তা আমি আগে জানতাম না। আপনার এই সোয়াবিনের পাকোড়া রেসিপি দেখে তা শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করার জন্য। যাইহোক আপনার পাকোড়া তৈরির ধাপগুলো ছিল অনেক সুন্দর এবং দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটি নিত্য নতুন রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। হ্যাঁ ভাই, রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অসাধারণ একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই পকোড়া রেসিপি দেখে ভালো লাগলো।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটি আপনার কাছে যে অসাধারণ লেগেছে, এটা জেনে খুব খুশি হলাম ভাই আমি।
সয়াবিনের পাকোড়া তৈরির রেসিপিটা একেবারে ইউনিক ছিল। আমার কাছে তো বেশ দারুন লেগেছে আপনার তৈরি করা এই পাকোড়া গুলো। এ ধরনের মুচমুচে এবং গরম গরম পাকোড়া গুলো সস দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে।ঔ আমাদের এখানে তো একটানা বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে। বৃষ্টি থামার কোনো নামই নেই। আর এই বৃষ্টির মুহূর্তে এগুলো খেতে খুব ভালো লাগবে। এত দুর্দান্ত একটা রেসিপি পোস্ট নিয়ে সবার মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। এটা তো ভাবতেই ভালো লাগছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটি যে আপনার কাছে ইউনিক এবং দুর্দান্ত লেগেছে, এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। প্রশংসামূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই প্রথমে আপনাকে জানাই আমার পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে প্রতিযোগিতার একটা পোস্ট তৈরি করতে হলে প্রত্যেকটা মানুষের অনেক পরিশ্রম হয়। এত সুন্দর ভাবে আপনি পকোড়া রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রত্যেকটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সেটা তো অবশ্যই ভাই। যাই হোক, এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সয়াবিনের পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। আজকে নতুন একটি পাকোড়া রেসিপি শিখলাম ভাইয়া। মনে হচ্ছে এই খাবারটি খেতে দারুন ছিল। দেখতে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। আমি অবশ্যই বাসায় একবার ট্রাই করবো।
হ্যাঁ আপু, খাবারটি খেতে সত্যিই দারুণ হয়েছিল। যাইহোক, আপনি যে আপনার বাসায় এই রেসিপিটি একবার ট্রাই করবেন বললেন, সেটা জেনে খুব ভালো লাগলো আমার।
ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে ব্যক্তি জীবনে ব্যস্ত থাকলেও আমাদের কে আমাদের কাজগুলো করে যেতে হয়। বেশ মজার একটা পাকোড়ার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। বিকেলের নাস্তায় ভালোই লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, বিকালের নাস্তায় এই ধরনের পকোড়া রেসিপি খেতে বেশ ভালোই লাগে।
প্রেজেন্টেশন আর রেসিপি; দুটিই ফার্স্টক্লাস হয়েছে। সাধারণত আমি রেসিপি পোস্ট এড়ায় চলি। কিন্তু আপনার প্রেজেন্টেশন আমাকে মুগ্ধ করেছে।
আমার শেয়ার করা এই রেসিপিটির প্রেজেন্টেশন আপনাকে মুগ্ধ করেছে, এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই আমার।
❤️