ক্রিয়েটিভ রাইটিং || রোমাঞ্চকর গল্প: নিষিদ্ধ দ্বীপের রহস্য
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে একটি রোমাঞ্চকর গল্প শেয়ার করবো । গল্পটির নাম "নিষিদ্ধ দ্বীপের রহস্য"। গল্পটির প্রথম পর্ব নিচে দেখে নেওয়া যাক। |
---|
ভারত মহাসাগরের ভিতরে অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে। এসব দ্বীপের কোন কোনটাতে মানুষ গিয়ে থাকলেও এমন কিছু দ্বীপ রয়েছে যেখানে গিয়ে থাকার সাহস মানুষ কখনোই করেনি। কারণ এর আগেও অনেকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে। যারা ঐসব দ্বীপগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। সমুদ্রের ঝড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাই ঐসব দ্বীপে কেউ পৌঁছাতে পারেনি। আর অজানাই রয়ে গেছে বছরের পর বছর ওই দিনগুলো। বিভিন্ন দ্বীপের বিভিন্ন রকমের নামকরণ করা থাকে। তবে কয়েকটি দ্বীপ এমন রয়েছে যার নামকরণ কখনো করা হয়নি। অজানা কোন জায়গার প্রতি মানুষের আকর্ষণ অনেক বেশি থাকে। সেখানকার রহস্য উন্মোচন না করা পর্যন্ত মানুষ নিজেদের কন্ট্রোল করতে পারে না। তাই একদল ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নেয় সেইসব অজানা দ্বীপগুলোতে তারা যাবে এবং সেখানকার রহস্য সবার সামনে নিয়ে আসবে।
তারা বড় জাহাজে করে কয়েকজন ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানী এবং সাথে আরও লোকজন নিয়ে প্রায় ছয় মাস গবেষণা করার জন্য রওনা করে ভারত মহাসাগরের মধ্যে থাকা সেসব অজানা দ্বীপের উদ্দেশ্যে। প্রথমে সরকারি ভাবে সেই সব দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি নিতেও অসুবিধা হচ্ছিল। কারণ জীবনের রিস্ক তো থেকেই যায়। তাছাড়া এর আগেও এরকম অঘটন ঘটেছে। তাই প্রথমে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিল না সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এই সব বিজ্ঞানীদের গবেষণার জেদ এবং নিজেদের এত ইচ্ছা থাকার কারণে সরকার অনেকটা বাধ্য হয় তাদেরকে সেখানে যেতে দেওয়ার জন্য।
তবে যাওয়ার সময় সরকার সব ব্যবস্থাও তাদেরকে করে দিয়েছিল। সেখানে গিয়ে যেন কোন অসুবিধা না হয় তাই। অনেকদিন জাহাজে করে সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে অজানা একটি দ্বীপে পৌঁছে যায়। যেহেতু অজানা জায়গা ছিল তাই প্রথমে তাদের সেই দ্বীপে নামতে একটু ভয় করছিল। তবে তারা এতটা পথ চলে এসেছে তাই পিছন ফিরে যাওয়ার কোন উপায় নেই। তারা তাদের এই গবেষণা করেই তারপর যাবে। এই শপথ নিয়েই এসেছে বাড়ি থেকে। প্রায় দলবদ্ধভাবে সবাই সেই দ্বীপে নেমে যায়। আসলে অজানা দ্বীপে সবাইকে অনেকটা সাবধান থাকতে হয়। আর এই বিষয়টা একে অন্যকে বারবারই সচেতন করতে থাকে। আর সবাইকে এই পরামর্শ দেওয়া হয় সবাই যেন সবসময় একসাথে থাকে।
তাহলে বিপদের মোকাবেলা করতে সুবিধা হবে। তারা এই দ্বীপে প্রবেশ করেই এমন কিছু চিহ্ন খুঁজে পায়। যার ফলে তারা বুঝতে পারে এখানে কোন সভ্যতা ছিল। মানুষের মত কোন প্রাণী এখানে বসবাস করে এরকমটা তাদের মনে হচ্ছিল। আসলে পায়ের ছাপ দেখেই এই ধারণাটা তার করেছিল। তাছাড়া কিছু কিছু জায়গায় কিছু কিছু ঘরের মতো তৈরি করা ছিল গোল গোল করে। তবে সেগুলোতে কারা থাকতো বা কি সেই সম্পর্কে তারা ধারণা করতে পারেনি। আসলে গোল গোল যে ঘর আবিষ্কার করেছিল তারা সেগুলো অনেক পুরাতন। তাই এখন এখানে কি রয়েছে এই ধারণাটা তারা খুঁজে পায়নি। তারা এইখানে গিয়ে প্রথমে ক্যাম্পের মত জায়গা তৈরি করে। খুব মজবুতভাবে তারা এটা করেছিল। বাড়িরের কোন হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আর যেহেতু অনেক দিনের প্ল্যান নিয়ে গেছে তাই প্রথমে সবকিছু তারা ঠিক ঠাক ভাবে গুছিয়ে নেয়।
চলবে..
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং (রোমাঞ্চকর গল্প) |
---|---|
লোকেশন | বারাসাত , ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার লেখা গল্পটা পড়তে তো আমার কাছে অনেক ভালোই লাগছে। নিষিদ্ধ দ্বীপের রহস্য সম্পর্কে জানার জন্য আমার তো বেশ আগ্রহ জেগেছে। ওই বিজ্ঞানীরা দেখছি ওখানে গিয়েই ছেড়েছে। এখন তারা গবেষণা করে কি পায় এটাই দেখতে হবে। আশা করছি তারা সবকিছু ভালোভাবেই গবেষণা করে সুস্থভাবে ফিরে আসতে পারবে। দেখা যাক এখন কি হবে। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য। আশা করছি তাড়াতাড়ি শেয়ার করে নেবেন।
এই ব্যাপারটা আগামী পর্বেই জানতে পারবেন আপু।
আপনি অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে আর শেয়ার করেছেন। যে গল্পটির নামকরণ করেছিলেন " নিষিদ্ধ দ্বীপের রহস্য " এই গল্পটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি কিন্তুু একদম ঠিক বলেছেন কোন অজানা জায়গার প্রতি মানুষের আকর্ষণটা বেশি থাকে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এক দল ভুতান্ত্রিক গবেষনার জন্য সরকারকে একপ্রকার চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য করেছিলেন দ্বীপে যাওয়ার জন্য। সরকারের জায়গা থেকে সরকার দায়িত্ব পালন করেছিল তাদেরকে সঠিকভাবে ওইখানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এবার দেখা যাক তারা ওই দ্বীপে কিসের সন্ধান পায়।আর আমরাও অপেক্ষায় রইলাম আসল রহস্য পাওয়ার জন্য। আশা করি অতি দ্রুতই পরবর্তী পর্ব পাওয়া যাবে।
আমার শেয়ার করা এই গল্পটি যে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, এটা আমার জন্য অনেক খুশির বিষয় ভাই। আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।