আলোকচিত্র : শান্তিনিকেতনে কিছুদিন -০২
শান্তিনিকেতনের প্রার্থনা সভা দারুন একটি প্লেস । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু না হওয়া সত্ত্বেও সকল ধর্মের মানুষদেরকেই ভালোবাসতেন । তাঁর কাছে ব্রাম্ম যেমন হিন্দু -মুসলিমও তেমন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবার ছিল কলকাতার ব্রাম্মদের মাথা । এরপরেই ছিল রায় পরিবার । অর্থাৎ, সত্যজিৎ রায়ের পরিবার । তাঁরাও হিন্দু না হওয়া সত্ত্বেও কখনো হিন্দুদের সাথেই তাঁদের ছিল ওঠা বসা এমনকি বৈবাহিক সম্পর্ক পর্যন্ত স্থাপন করেন তাঁরা হিন্দুদের সাথে । ব্রাম্মরা ছিল উদার মনষ্ক । প্রচিলত হিন্দু সমাজের নানান ধর্মীয় কুসংস্কারের বেড়াজাল ছিন্ন করেই ব্রাহ্মধর্মের জন্ম । ব্রাম্ম ধর্মে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ । একেশ্বর পরম ব্রম্মে বিশ্বাসী ব্রাম্মরা । আমরা হয়তো অনেকেই জানি না কিন্তু, কাজী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রমীলা দেবী (আশালতা সেনগুপ্ত) ছিলেন ব্রাম্ম । নজরুল-প্রমীলার এই বিবাহে কিন্তু ব্রাম্ম সমাজ বিশাল বাধার সৃষ্টি করে । কিন্তু, ব্রাম্মদের মাথা ঠাকুর পরিবারের এই বিয়েতে প্রচ্ছন্ন সম্মতি থাকায় শেষমেশ ব্রাম্মরা বিয়ে আটকাতে পারেনি ।
যাই হোক, আমরা কিন্তু প্রার্থনা গৃহে প্রবেশ করতে পারিনি । সিকিউরিটি ফোর্স দিয়ে ঘেরা ছিল সেদিন । বিশেষ প্রার্থনা সভা সেটি । বাংলা বছরের শেষ সন্ধ্যার প্রার্থনা ছিল সেদিন । পরেরদিন পহেলা বৈশাখ । তবুও রিকোয়েস্ট করাতে সিকিউরিটির এক অফিসার জানালেন এখুনি একেবারে পুরো সাদা ড্রেস পরে আসলে আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন । ছেলেদের সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েদের সাদা শাড়ি-ব্লাউজ । দুর্ভাগ্যের বিষয় সাদা ড্রেস ছিলই না কোনো আমাদের কাছে ।
যাই হোক তখন অফিসার জানালেন আগামীকাল পয়লা বৈশাখে সকাল সাতটায় অন্তত একটি সাদা ড্রেস পরে আসলে আপনারা সপরিবারে মন্দিরে ঢুকতে পারবেন । যাই হোক আমরা সেদিন সন্ধ্যায় বাইরে থেকেই আলো-ঝলমলে ব্রাম্ম মন্দির দেখেই ফেরত চলে এলুম হোটেলে । আগামীকাল পহেলা বৈশাখ থেকে ঘোরাঘুরি স্টার্ট ।
ডাব খাওয়া এখনো শেষ হয়নি । চলছে ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১০ টা ১৫ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আমাদের এমন ঘোরাঘুরি টিনটিনবাবুর মোটেও পছন্দ হয়নি । তার ঘুম পেয়েছে ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১০ টা ২০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথে এখন আমরা । রবিঠাকুরের আমলের সেই রাঙা মাটির মেঠো পথ এখন কালো পিচঢালা রাস্তা ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১০ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বুদ্ধের বিশাল ধ্যানরত মূর্তি । স্থানটির নাম পঞ্চশীল । ঘন শালবনের জঙ্গলের মধ্যে কিছু স্থান পরিষ্কার করে পঞ্চশীল স্থাপন করা হয়েছে । খুবই মনোরম পরিবেশ ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ০০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শালবনের মধ্যে সোনাঝুরির বিখ্যাত হাট । সোনাঝুরিতে ঢোকার মুখে পাথরে নির্মিত এই পাখির মূর্তিটি বিশেষ করে চোখে পড়ে ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ১০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এদিন হাটবার ছিল না । তাই আদিবাসীদের বাঁশের মাচা গুলো ফাঁকাই পড়ে ছিল ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বেলা প্রায় এখন ১২ টা । বিশাল গরম লাগাতে পাঞ্জাবি খুলে ফেলা হয়েছিল টিনটিনের ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আদিবাসীদের গাঁয়ে তৈরী মালাই ক্ষীর চেখে দেখলুম একটু আর কি ।
তারিখ : ১৫ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
I think it's great when you can learn something new unexpectedly. I was willing to tell you that I felt so intrigued about your photograph with the eyes covered that I whished to speak your language. So, my curiosity took me to a Google search and I knew that Bengali or Bangla is the 5th most important language in the world. Liked the rest of the photos...and I'm still intrigued. Greetings
Thank You for sharing Your insights...
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
রবীন্দ্রনাথ যে হিন্দু ছিলেন না এটা আমার জানা ছিল না। বেশ কিছু নতুন তথ্য জানতে পারলাম আপনার লেখা থেকে দাদা। তবে টিনটিন বাবুর আড়মোড়া ভাঙা দেখে মনে হচ্ছে তার বেশ ঘুম পেয়ে গেছে। বৌদিকে দেখে ও বেশ টায়ার্ড মনে হচ্ছে। তবে আমার কাছে প্রার্থনা স্থানে ঢোকার নিয়ম একটু বেশি কড়া মনে হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
তাদের সেই মানবিক গুন গুলো আজ আমাদের এক করে রেখেছে,আর এই জন্যই তো তাদের ভালোবাসি।আর আজকে জনার পর ভালোবাসা টা তাদের প্রতি আরো বেড়ে গেলো।
তবে একটি বিষয় বুঝলাম না ওখানে ঢুকার জন্য সাদা ড্রেস কেনো পড়তে হবে?
Thank You for sharing...
দাদা প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন সম্পর্কে অসাধারণ তথ্য দিয়েছেন ।আসলেই তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক তার কাছে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান গুরুত্ব পেতেন। এছাড়াও আপনি সত্যজিৎ রায়ের পরিবার সম্পর্কে লিখেছেন ।ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠার কাহিনী আপনি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন যে তারা হিন্দু ধর্মের কুসংস্কার ছিন্নভিন্ন করে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেছেন।অপরদিকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী প্রমিলা দেবী ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মের। এরপর আপনি খুব সুন্দর ভাবে শান্তিনিকেতনের ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরেছেন। এর আগে বৌদির ফটোগ্রাফি গুলো আমরা দেখেছিলাম। প্রতিটি ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে এত সব ফটোগ্রাফির মাঝে আমাদের প্রিয় বৌদি ও টিনটিন বাবুকে অনেক কিউট লাগছে। আপনাকে নিয়ে আর কি বলব আপনাকে তো দেখাই যায় না যাইহোক আপনি উল্লেখ করেছেন আদিবাসীদের তৈরি মালা ক্ষীর আপনি চোখে দেখেছেন কিন্তু আপনার চোখ তো বাধা 🤪🤪😋🤭।
যাইহোক এত সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন না তা আমার জানা ছিলোনা। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে এই বিষয়টি প্রথম জানতে পারলাম। তবে যাই হোক আপনি
আপনার পরিবারের সাথে শান্তিনিকেতনে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এই জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।❤️❤️
অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যদিও ব্যাপারটি আগে থেকেই হালকা জানতাম। তবে আজ পুরোপুরি জেনে বেশ ভালো লাগলো আর তাছাড়াও বেশি ভালো লেগেছে কাজী নজরুল ইসলামের বিয়ের ব্যাপারটি জেনে । যদিও সেটা আমার জানা ছিল না । সাদা কাপড় থাকলে হয়তো মন্দিরটাতে ঘুরতে পারতেন ভাই । আর সর্বোপরি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন শান্তিনিকেতনে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে । যদিও এই কথা আমি বিগত সময়েও বলেছিলাম । বেশ অজানা কিছু তথ্য পেয়েছি আজকের পোস্টের মাধ্যমে
বেশ ভালোই লেগেছে ।
শুভেচ্ছা রইল
প্রিয় দাদা আপনার আজকের পোস্টি পড়ে অনেক তথ্য জানতে পেলুম, সত্যি বলতে আমারও এটা পরিপূর্ণ ভাবে জানা ছিলো না যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু ছিলেন না, আজকে একেবারেই বিষয়টি ক্লিয়ার হলুম, এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলামের বিয়ের ঘটনাটি বেশ মজা লেগেছে আমার।
আর এটি সত্যি দুঃখের বিষয় সাদা কাপরের জন্য প্রার্থনা গৃহে প্রবেশ করতে পারেননি , বিষয়টি সত্যি অনেক দুঃখজনক ছিলো, যাইহোক দাদা শান্তিনিকেতনের দ্বিতীয় পর্বে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলুম, এবং অনেক না জানা বিষয় গুলো জানতে পারলুম, পরের পর্ব গুলোর অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় দাদা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিল বিশ্বকবি। আসলেই তার কাছে হিন্দু-মুসলিম যার ধর্মের কোনও বালাই ছিল না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই শান্তিনিকেতনের কথা অনেক সাহিত্য গল্প পড়েছি। যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে একবার রয়েছে একবার। শান্তিনিকেতনের ঘোরাঘুরি করে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।