পুরী ভ্রমণ - পর্ব ০৮
আমার পুরী ভ্রমণের আজ অষ্টম পর্ব শেয়ার করতে চলেছি আপনাদের সাথে । বিগত বেশ কয়েকটি পর্ব ধরে এক নাগাড়ে শুধু বিভিন্ন প্রাচীন মূর্তির ফোটোগ্রাফিই শেয়ার করে চলেছি আপনাদের সাথে । আজকেও সেই মূর্তির ফোটোগ্রাফিই আবার শেয়ার করতে চলেছি । কোনারকের সুপ্রাচীন সূর্য মন্দির থেকে এই সকল প্রস্তর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে । এর কোনটা আংশিক ভগ্ন, কোনটি সম্পূর্ণ ভগ্ন আবার কোনো কোনটি একদম অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে । যেসকল মূর্তি একদম টুকরো টুকরো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে সেগুলো থেকে নিখুঁত রেপ্লিকা তৈরী করে মিউজিয়ামে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ।
এই সকল মূর্তির অধিকাংশই পুরাণ, উপনিষদ, রামায়ণ এবং মহাভারতে বর্ণিত বিভিন্ন দেব-দেবীর । এর পাশাপাশি তৎকালীন সমাজের নানান চিত্রও বিভিন্ন মূর্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । রাজার মৃগয়া, যুদ্ধযাত্রা, বিজয়োৎসব এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মূর্তি, বিভিন্ন পেশার মানুষের মূর্তি এবং বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি - এই সকল মূর্তি ও অলঙ্করণ সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ ও মন্দির গাত্রে পাওয়া গিয়েছে ।
অধিকাংশ মূর্তিই ঊড়িষ্যার বেলে পাথর খোঁদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে । বেলে পাথরের মূর্তি নির্মাণ অপেক্ষাকৃত সহজ । লোহার তৈরী ছেনি এবং কাঠের হাতুড়ী দিয়ে নিরেট বেলে পাথর খোঁদাই করে এই সকল অপরূপ শৈল্পিক সৌন্দর্য মন্ডিত মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল । তবে, বেলে পাথরের মূর্তির একটাই প্রবলেম । বেলে পাথর খুব দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে থাকে । এই জন্যই কোনারকের সূর্য মন্দির থেকে পাওয়া প্রায় প্রতিটা মূর্তিই ক্ষয়প্রাপ্ত । কোনারক সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত হওয়ার কারণে সামুদ্রিক নোনা হাওয়ায় আরো দ্রুত বেলে পাথরের মূর্তিগুলো ক্ষয়ে গিয়েছে ।
সিংহের বিশাল মূর্তির পায়ের নিকট হস্তী শাবকের শায়িত মূর্তি । এটি একটি রূপক । এখানে সিংহ হলো রাজতন্ত্র আর হস্তী শাবক হলো সম্পদশালী ক্ষমতাধরী ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
যক্ষের মূর্তি ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
বিষ্ণুর দশাবতারের পঞ্চম অবতার "বামনবতার" এর মূর্তি ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
নৃত্যরতা স্বর্গের অপ্সরা উর্বশীর মূর্তি ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
রাজদরবারের সিংহাসনে আসীন রাজা রাজকার্যে ব্যাপৃত ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
প্রাচীন কোনো এক মুনি-ঋষির মূর্তি এটি ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
বিষ্ণুর দশাবতারের পঞ্চম অবতার "বামনবতার" বিশাল এক দেহ ধারণ করে এক পা দিয়ে মর্ত্য, অন্য পা দিয়ে স্বর্গ আচ্ছন্ন করে নাভিমূল থেকে তৃতীয় পা বের করে বলী রাজার কাছে তৃতীয় পা রাখার জায়গা প্রার্থনা করেন, তখন বলী রাজা উপায়ন্তর না দেখে নিজের মস্তকে তৃতীয় পা ধারণ করেন । বামন অবতার সেই পা দিয়ে চেপে ধরে বলীরাজকে পাতালে প্রবেশ করান ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
বিষ্ণুর দশাবতারের তৃতীয় অবতার "বরাহ অবতার" এর মূর্তি।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
বিষ্ণুর দশাবতারের চতুর্থ অবতার "নৃসিংহ অবতার" এর মূর্তি। অর্ধেক সিংহ আর অর্ধেক মানবের মূর্তি ধরে নখরাঘাতে গোধূলীবেলায় নিজের জংঘার উপরে রেখে মহাদৈত্য হিরণ্যকশিপুকে বধ করেন ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
সূর্য মন্দির গাত্রে অসাধারণ সব পাথর খোঁদাই করে তৈরী করা নকশা ও অলঙ্করণ ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
টাস্ক ৪৬৭ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 56829d619b2f755a1383bdbd6ad506ef11c62d32338e3f40e8d9e86900e5d5de
টাস্ক ৪৬৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
রোজকার মতো আজকেও আবারো আমার পোস্টের কমেন্ট সেক্শনে হাজির হয়ে গেলুম একটি এনএফটি আর্ট নিয়ে । কাগজ বিভিন্ন লেয়ারে ভাঁজ করে তা দিয়ে বিভিন্ন প্রাণী ও অবজেক্ট তৈরী করে সেগুলো আবার একত্রিত করে যে আর্ট তৈরী করা হয় তার নাম অরিগামি । শব্দটি জাপানি । এই আর্টের জন্ম জাপানে । ক্রমে সমগ্র পৃথিবীতে এটি ছড়িয়ে পড়ে এবং এখন ভীষণ জনপ্রিয় ।
সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ে সার্ফিং করছে বিশালাকায় এক গ্রেট হোয়াইট শার্ক । এটিই এই আর্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় । তো চলুন দেখে নেওয়া যাক শার্কের অরিগামি আর্টের এনএফটি ।
NFT ART
Paper art of a great white shark in sea waves
অস্থির আর্টওয়ার্ক দাদা। আর্টওয়ার্কের প্রেমে পড়ে গেলাম তো।
"Puri travel" read the stories that the ancestors marked with purity to our knowledge as writers, happy day from Venezuela enchanted by the wonders of life.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ক্যাপশনের ছবিটি দেখে বেশ অবাক হলাম।কারণ জুম করে দেখলে বোঝা যায় যে কারুকার্য আসলে কতোটা সূক্ষ্ম ।আর আমি ভাবতাম বেলেপাথর একেবারেই ক্ষয় হয়না অর্থাৎ খুব মজবুত কিন্তু আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আমার ধারণা ভুল।
Yes Dada, in the previous episodes you have been sharing beautiful idols with us, and here again you have shared a well designed idol craft.
The episode 08 of the puri trip is fun to read.
Thank you very much @rme Dada for sharing this with us, 😊❤️
পুরী ভ্রমণের ৮ম পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য , আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক ছবি ইতোমধ্যে আমারা দেখে ফেলেছি, আপনার পোস্টের মাধ্যমে। আজকেও কয়েকটি দেখলাম।খুব ভাল লেগেছে। এই দেব দেবীর ছবি গুলো এক একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণ। ইতিহাস-কালের স্বাক্ষী। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণ গুলো অমূল্য সম্পদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা দাদা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দাদা সূর্য মন্দিরের মূর্তি গুলোর মধ্যে আমি ভিন্নতা খুঁজে পেয়েছি। তবে এর আগে আমি এত কঠিন কারুকার্য আগে দেখেনি। বলতে হয় তাদের কাজের দক্ষতা অনেক বেশি ছিল। একটা কথা খুব বেশি মুগ্ধ করেছে আমাকে বেলে পাথর খোদাই করে মূর্তি গুলো তৈরি করা হয়েছিল। অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
বাহ্! টুকরো টুকরো মূর্তি গুলোও বেশ কাজে লেগেছে। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও খুব সুন্দর সুন্দর মূর্তির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। মূর্তি গুলোর কারুকাজ অনেক নিখুঁতভাবে করা হয়েছে। বেলে পাথর খুব দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, সেটা একেবারেই জানা ছিলো না। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।