ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -০৪"steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

_1d23b4ca-d3d4-40ce-b4e6-03bc91ad7c71.jpeg


অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক পক্ষী, গরুড় । কশ্যপ মুনির পুত্র, বিনতা তাঁর মাতা । বিমাতা কদ্রুর সন্তান হলো সকল সর্পকুল । স্বর্গ থেকে দেবতাদের বিতাড়িত করে গরুড় অমৃত ভান্ড হরণ করে আনে মাতা বিনতাকে সৎ-মা কদ্রুর দাসীত্ব থেকে মুক্ত করতে । পরে সৎ ভাই সর্পকুলের থেকে অমৃত কৌশলে হরণ করে দেবতাদের ফিরিয়ে দেন । এবং সেই থেকে সাপ-ই হয় গরুড়ের একমাত্র খাদ্য । মহাপরাক্রমশালী গরুড় ইন্দ্রের বজ্র আর বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রকে পরাস্ত করতে সক্ষম হন । পরে বিষ্ণুর পাদপদ্মে নিজেকে সমর্পণ করে বিষ্ণুর বাহন হতে রাজি হন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


গত পর্বে সমুদ্রমন্থন সম্পর্কে লিখেছিলাম । একদা দেবতারা অসুরদের সাথে মিলে ক্ষীর সমুদ্র মন্থন শুরু করলেন । মন্থনদন্ড হিসেবে মন্দার পর্বত এবং মন্থন রজ্জু হিসেবে বাসুকী নাগকে ব্যবহার করা হলো । কিন্তু, গোল বাঁধলো মন্দার পর্বতকে নিয়ে । এতো বিশালভার পর্বত সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যেতে লাগলো । তখন, এগিয়ে এলেন বিষ্ণু । তিনি মহাকায় এক কচ্ছপের রূপ পরিগ্রহ করে মন্দার পর্বতকে নিজের পৃষ্ঠে ধারণ করলেন । শুরু হলো মন্থন । অমৃত সুধার সহিত কমলেকামিনী অর্থাৎ মহালক্ষী লাভও হলো দেবতাদের । কিন্তু, মন্থন শেষে বাসুকী নাগের মুখ দিয়ে ভীষণ হলাহল (বিষ) বের হলো । সেই বিষের ভীষণ বিষক্রিয়া ও তেজে সৃষ্টি ধ্বংসের উপক্রম হলো । তখন সকল দেবতাদের অনুরোধে সেই মারাত্মক বিষ পান করে নিজের কন্ঠে ধারণ করলেন মহাদেব । বিষের প্রভাবে তার কণ্ঠ নীলবর্ণ ধারণ করলো । তাই শিবের আরেক নাম নীল কণ্ঠ ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


ব্যাধ কর্তৃক শর নিক্ষেপ মহাকালের প্রতি । আর মহাকাল বিশাল গ্রাসে ব্যাধের সকল শর গলাধঃকরণ করছেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


শিব ভক্ত মার্কেন্ডেয় । মৃকণ্ডু ঋষি ও তার পত্নী মরুদবতী ছিলেন শিবের উপাসক । সুদীর্ঘ শিব তপস্যার ফলে এক পুত্র সন্তান লাভ করেন দম্পতি । পুত্রের নাম রাখেন মার্কেন্ডেয় । শিবের থেকে তাঁরা দীর্ঘজীবী মূর্খ পুত্রের চাইতে ক্ষণজীবী জ্ঞানী পুত্র যাচঞা করেন । সেই মতো মাত্র ষোলো বছর বয়সে মার্কেন্ডেয়ের মৃত্যুকাল আসন্ন হয় । মার্কেন্ডেয় ছিলেন পরম শিবভক্ত । তিনি যখন শিবলিঙ্গ গড়ে পূজায় বসেছেন সেই মুহূর্তে এলেন যম । যম মৃত্যুর দেবতা । তিনি যখন মার্কেন্ডেয়কে যমলোকে নিয়ে যেতে চাইলেন তখন মার্কেন্ডেয় শিবলিঙ্গ ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন । তখন যম কালদন্ড দিয়ে প্রহার করতে উদ্যত হলে শিব আবির্ভূত হয়ে যমের সহিত ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হলেন । অবশেষে শিবের রুদ্রমূর্তি সামনে যম টিকতে না পেরে ক্ষমা ভিক্ষা করে মার্কেন্ডেয়কে নিষ্কৃতি দিয়ে যমালয়ে ফিরে গেলেন । আর এই ভাবে মার্কেন্ডেয় মৃত্যুকে জয় করলেন মহা শিবভক্ত হয়ে ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


মহামায়া হলেন আদি শক্তি । ব্রম্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর এই তিন প্রধান আদি দেবতাও তার আরাধনা করেন । অসুর দলীনী মহা শক্তির আরেক নাম মহামায়া ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


রাবণ সীতাকে হরণ করে লঙ্কায় বন্দী করেন । শ্রীরাম সীতাকে উদ্ধারের জন্য বানরসেনা নিয়ে সমুদ্রের তীরে উপস্থিত হন এবং সমুদ্রদেবতাকে আদেশ করেন লঙ্কা অব্দি রাস্তা করে দেওয়ার জন্য । কিন্তু, সমুদ্রদেব রাজি না হওয়াতে রাম তীরনিক্ষেপ করতে উদ্যত হলে সমুদ্রদেব প্রকট হয়ে রামকে সমুদ্র পেরোনোর উপায় বলে দেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


অযোধ্যার রাজা দশরথ ছিলেন নিঃসন্তান । পুত্রলাভের আশায় দশরথ তাই যজ্ঞ করছেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


দশরথের পুত্রযজ্ঞের ফলে তাঁর তিন রানী সন্তানলাভ করেন । বড় রানী কৌশল্যার গর্ভে রাম, মেজো রানী কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত এবং ছোট রানী সুমিত্রার গর্ভে লক্ষণ ও শত্রুঘ্নের জন্ম হয় ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


কিস্কিন্ধ্যার বানররাজ বালি ও তাঁর ভাই সুগ্রীবের মধ্যে মরণপণ লড়াই ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

দাদা আজও আপনি কিছু অসাধারন ফটোগ্রাফি শেয়ার করার সাথে সাথে বেশ কিছু অজানা কথা শেয়ার করেছেন। আসলে জানার কোন শেষ নেই। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক অজানা কিছু তথ্য জানতে পারলাম। হয়তো আজ আপনার পোস্টটি না পড়লে এত এত অজানা কথা আমি জানতে পারতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

 10 months ago 

সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে বেশকিছু ইতিহাস জানা গেলো।সব ধর্মের বিষয়ে জানার খুব আগ্রহ আমার।আপনার পূজোর ফটোগ্রাফির পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা হচ্ছে।ধীরে ধীরে আরও জানতে পারবো। এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা আপনাকে।শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

 10 months ago 

এই সিরিজের প্রতিটি পর্ব বেশ উপভোগ করছি দাদা। প্রতিমা গুলো আসলেই খুব সুন্দর এবং বর্ণনা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারছি। আসলে জানার কোনো শেষ নেই। সমুদ্রমন্থন এবং রাবণ সীতা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা ছিলো আগেও। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা আসলেই চমৎকার দাদা। প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা গুলো যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। দাদা আপনার প্রতিভা অনেক বেশি আপনি আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করতেছেন ফটোগ্রাফি সাথে। যেমন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা সম্ভব হচ্ছে। তেমনি অনেক কিছু জানতে পারতেছি আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

একবার নীল অপরাজিতা ফুল নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম, সেই সময় নিলয় দা আমার পোস্টে কমেন্ট করে বলেছিলেন, শিব ঠাকুরের অপর নাম নীল কন্ঠ। তবে কেন নীল কন্ঠ নাম ছিল, তা জানা ছিল না। আজ তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম ভাই।

 10 months ago 

বাগেরহাটের শিকদারবাড়ির পূজা মানেই আলাদা কিছু।একটি পূজার মাধ্যমে তারা অনেক বিষয়কে তুলে ধরেন।প্রতিটি মূর্তিগুলোও অসাধারণ দক্ষতা ও সুনিপুণভাবে তৈরি করেন।দেখেই চোখ ধাঁধানোর মতো,তাছাড়া দাদা প্রত্যেক দেবদেবীর মূর্তির পিছনে এক একটি পৌরাণিক কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে।যেটা আপনার লেখা পড়ে জানতে পেরে আরো ভালো লাগছে।মার্কেন্ডেয় মৃত্যুকে জয় করেছেন এই গল্পটি পড়ে নতুন একটি কাহিনী জানতে পারলাম,ধন্যবাদ আপনাকে।

 10 months ago 

আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেকগুলো ইতিহাস জানতে পারলাম যেগুলো আগে কখনো শুনিনি। আর ফটোগ্রাফি গুলোও দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -০৪

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 60371.26
ETH 2609.98
USDT 1.00
SBD 2.54