কোলকাতার পুজো - পর্ব ১১
আমার ধারাবাহিক কোলকাতার পুজো পর্বের প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছি । আর মাত্র ২-৩টি পর্বেই শেষ হয়ে যাবে সিরিজটি । তারপর শুরু হবে দীপাবলি আর কালী পুজো নিয়ে আমার আর একটি ধারাবাহিক ফোটোগ্রাফি পোস্ট । আজকের একাদশতম পর্ব সাজিয়েছি হাতিবাগানের নবীনপল্লী আয়োজিত পুজোর প্যান্ডেলের ফোটোগ্রাফি দিয়ে ।
আজকে যে পুজো প্যান্ডেলের থিমটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি সেটাই এবারের সেরা পুজো থিম বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে । এই পুজো প্যান্ডেলের থিম হলো "আবোল-তাবোল" । বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের "আবোল-তাবোল" অবলম্বনে । আবোল-তাবোল একটি অতি বিখ্যাত শিশু সাহিত্যের বই । এমন কোনো বাঙালি ছেলে খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর যে ছেলেবেলায় সুকুমারের "আবোল-তাবোল" পড়েনি । এই বইটির অন্তর্গত প্রত্যেকটি ননসেন্স পোয়েট্রি এক অনাবিল হাস্যরসের সন্ধান দেয় ।
শিশুমন হলো কল্পনাপ্রবণ, আর আবোল-তাবলের প্রতিটা ছড়া পড়লে সেই কল্পনার ডানায় ভর দিয়ে এক হাসি-খুশির জগতে অনায়াসে প্রবেশ করা যায় । প্রত্যেক ছন্দে শুধু মজা আর মজা । অসম্ভব সব বস্তু আর প্রাণীর সাথে যেমন পরিচয় করায় এই বই ঠিক তেমনই নিছক হাস্যরস খুঁজে পাওয়া যায় প্রতিটা কবিতায় । বইটার প্রত্যেকটা পেজ তাই কল্পনার রঙে রঙিন এক স্বপ্নজাল বোনে, সেখানে আছে শুধু হাসি আর আনন্দ । এক বিন্দু দুঃখ খুঁজে পাওয়া যাবে না কোথাও ।
"আবোল তাবোল পুজো" । প্যান্ডেলের ঢোকার প্রধান প্রবেশদ্বার এটি । তোরণের সামনে সুকুমার রায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
তোরণ দিয়ে ঢোকার পরেই দেখা যাচ্ছে অসংখ্য ছবি আর পোস্টার, সব গুলিই আবোল তাবোল বই থেকে নেওয়া ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"U. RAY & SONS" গরপাড় রোডের এই সেই বিখ্যাত বাড়ির একটা মডেল । এখানেই সুকুমার রায় আর তাঁর পুত্র সত্যজিৎ রায়ের জন্ম । আর জন্ম সুবিখ্যাত শিশু পত্রিকা "সন্দেশ" এর । বাড়িটি তৈরী করেছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায়ের পিতা । বাড়ির এক অংশে ছিল ছাপাখানা । সেই ছাপাখানায় সর্বপ্রথম "সন্দেশ" মুদ্রিত হয়েছিল । বাড়িটির স্কেচ করেছিলেন সত্যজিৎ রায় স্মৃতি থেকে, তাঁর "যখন ছোট ছিলাম" বইটিতে ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"ট্যাঁশ গরু গরু নয়, আসলেতে পাখি সে ;
যার খুশি দেখে এস হারুদের আফিসে ।
চোখ দুটি ঢুলু ঢুলু, মুখখানা মস্ত,
ফিট্ফাট্ কালোচুলে টেরিকাটা চোস্ত । "
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"সিংহাসনে বস্ল রাজা বাজল কাঁসর ঘন্টা,
ছট্ফটিয়ে উঠল কেঁপে মন্ত্রীবুড়োর মনটা ৷
বল্লে রাজা, মন্ত্রী তোমার জামায় কেন গন্ধ ?
মন্ত্রী বলে, এসেন্স দিছি—গন্ধ তো নয় মন্দ ! "
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"আয় তোর মুণ্ডুটা দেখি, আয় দেখি 'ফুটোস্কোপ' দিয়ে,
দেখি কত ভেজালের মেকি আছে তোর মগজের ঘিয়ে ।
কোন দিকে বুদ্ধিটা খোলে, কোন দিকে থেকে যায় চাপা,
কতখানি ভস্ ভস্ ঘিলু, কতখানি ঠক্ঠকে ফাঁপা ।"
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পুজো প্যান্ডেলের আশেপাশের বাড়ির দেওয়ালে আবোল তাবোলের বিভিন্ন চরিত্রের চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে । সুকুমার রায়ের একটি বড় চিত্রও অঙ্কিত করা হয়েছে একটি বাড়ির গায়ে ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
গিরগিটীয়া ।
"টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে কাঁচা লঙ্কা ?"
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"হুঁকোমুখো হ্যাংলা বাড়ী তার বাংলা
মুখে তার হাসি নাই দেখেছ ?
নাই তার মানে কি ? কেউ তাহা জানে কি ?
কেউ কভু কাছে তার থেকেছ ?"
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"আজগুবি নয়, আজগুবি নয়, সত্যিকারের কথা—
ছয়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হল ব্যথা ।
ছায়া ধরার ব্যাবসা করি তাও জানোনা বুঝি ?
রোদের ছায়া, চাঁদের ছায়া, হরেক রকম পুঁজি "
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"(যদি) কুম্ড়োপটাশ ছোটে—
সবাই যেন তড়বড়িয়ে জানালা বেয়ে ওঠে ;
হুঁকোর জলে আলতা গুলে লাগায় গালে ঠোঁটে ;
ভুলেও যেন আকাশ পানে তাকায় না কেউ মোটে ! "
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"জিরাফের সাধ নাই মাঠে–ঘাটে ঘুরিতে,
ফড়িঙের ঢং ধরি সেও চায় উড়িতে ৷ "
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"কল করেছেন আজব রকম চণ্ডীদাসের খুড়ো—
সবাই শুনে সাবাস্ বলে পাড়ার ছেলে বুড়ো ।"
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"হেড অফিসের বড়বাবু লোকটি বড় শান্ত,
তার যে এমন মাথার ব্যামো কেউ কখনো জানত ?
দিব্যি ছিলেন খোসমেজাজে চেয়ারখানি চেপে,
একলা বসে ঝিম্ঝিমিয়ে হঠাৎ গেলেন ক্ষেপে !"
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"এই দেখ পেনসিল্, নোটবুক এ–হাতে,
এই দেখ ভরা সব কিল্বিল্ লেখাতে ।
ভালো কথা শুনি যেই চট্পট্ লিখি তায়—
ফড়িঙের ক'টা ঠ্যাং, আরশুলা কি কি খায় ;
আঙুলেতে আটা দিলে কেন লাগে চট্চট্,
কাতুকুতু দিলে গরু কেন করে ছট্ফট্ ।"
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ট্যাঁশ গরু যেখানে থাকে সেই "হারুদের আপিসে" ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"রামগরুড়ের বাসা
ধমক দিয়ে ঠাসা,
হাসির হাওয়া বন্ধ সেথায়,
নিষেধ সেথায় হাসা ।"
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দেবী দূর্গা প্রতিমা ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৯ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৪৪৭ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : dec1689328603837b6917d15d7c57d6f02268aab4e300d7a7e92d3a74112434f
টাস্ক ৪৪৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমার নতুন একটা NFT আর্ট গ্যালারি ওপেন করলাম । এই আর্ট গ্যালারির নাম দিয়েছি "mystic creatures" অর্থাৎ, "রহস্যময় প্রাণী" । এই আর্ট গ্যালারিতে যাবতীয় রহস্যময় প্রাণীর আর্ট সংরক্ষণ করবো । প্রথম দিনেই দু'টি NFT আর্ট মিন্ট করেছি ।
এই যে এখানে আর্ট দু'টি দিয়েছি -
০১. Anubis
০২. War Wolf
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
হাতিবাগানের নবীনপল্লী আয়োজিত পূজার প্যান্ডেলের আবোল-তাবোল থিমটা তো দারুণ। সুকুমার রায়ের আবক্ষ মূর্তি এবং আবোল তাবোল বই থেকে নেওয়া ছবি আর পোস্টার গুলো দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে। তাদের আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে আসলেই সেরা। প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছেও এটি একদম আলাদা মনে হয়েছে। এ পুজো মন্ডলের থিমের আইডিয়াটাও আমার কাছে একদমই ভিন্ন মনে হয়েছে দাদা । ভিতরের ডেকোরেশন টাও দারুণ। বিশেষ করে সুকুমার রায়ের আবোল- তাবোল অবলম্বনে যে থিমটা এটা আসলে অন্যরকম ছিল মন্ডলের থিম থেকে ।
আপনার পোস্টকৃত ধারাবাহিক কোলকাতার পুজো পর্ব-১১ এর প্রতিটি ছবি অসাধারণ হয়েছে। গুনি শিল্পীর নিপূণ ছোয়া প্রতিটি ছবিতে। ছবি গুলো যেন কথা বলছে। এছাড়া হাতিবাগানের নবীনপল্লী আয়োজিত পুজোর থিমটি আসলেই সেরা। কোলকাতার পুজো শুধু জাকজমক নয়, চিন্তা-চেতনায়ও সেরা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা আপনার জন্য।
কলকাতার পুজো আজকে একাদশতম পর্ব সাজিয়েছেন হাতির বাগানের নবীন পল্লী পুজোর প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি দিয়ে। পুজো প্যান্ডেলের থিম আবোল তাবোল বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের অবলম্বনে। আসলে আয়োজনটা দেখে মনে হচ্ছে অসাধারণ। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি মনমুগ্ধ করছিল। আসলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে হচ্ছে আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারছিও অজানা জিনিস জানতে পারছি দাদা।অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
নবীনপল্লীর পুজো একদম ভিন্ন রকমের। হয়তো উপস্থিত বুদ্ধির সদ্ব্যবহার একেই বলে। শিল্পী তার ভাবনা প্যান্ডেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো পাড়ার বাড়ির দেওয়াল গুলোকেই প্যান্ডেলের অংশ হিসেবে বানিয়ে দিয়েছে, যেটা খুবই ইউনিক।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছবিগুলো দেখতে দেখতে যেন, অনেকটা গোলকধাঁধার ভিতরে জড়িয়ে গিয়েছিলাম ভাই, মনে হচ্ছিল সেই বই, সেই কবিতা আর সেসব চিত্র, বাহ্ বেশ দারুন উপভোগ করলাম এবারের পূজো পর্বটির ছবি গুলো ।