কোলকাতার কালী পুজো - পর্ব ০৩
দ্বিতীয় প্যান্ডেলের মেলা থেকে বেরিয়ে দেখি রাত দু'টো বেজে গিয়েছে । নেক্সট প্যান্ডেলটা ছিল একদম পাঁচ মিনিটের দূরত্বে । এটি একটি ছোট প্যান্ডেল । এই প্যান্ডেলের থিম ছিলো "আদিবাসী ডাকাতে কালী" । ভারতের প্রচুর আদিবাসী জনগোষ্ঠীতে কালীপুজো প্রচলিত আছে । ভিন্ন নামে, ভিন্ন রূপে দেবী কালিকার পুজো সংগঠিত হয়ে থাকে । জঙ্গলের মধ্যে ডাকাতে কালী নামেই এগুলি সমাধিক প্রচলিত । এই নামকরণের পিছনে অন্য কারণ আছে ।
প্রাচীন ভারতে ডাকাত, ফাঁসুড়ে, ঠ্যাঙাড়ে, ঠগি প্রভৃতি দুর্দান্ত দস্যুদের যথেষ্ঠ উৎপাত ছিল । এদের আস্তানা থাকতো গভীর অরণ্যে । লুন্ঠন, নরহত্যা এদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ ছিল । এঁরা হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে ছিল মা কালীর উপাসক । কালী পুজো না দিয়ে কোথাও ডাকাতি বা দস্যবৃত্তি করতে যেত না । এই পুজো হতো গভীর রাতে । পুজোর প্রধান উপাচার ছিল নরবলি । নরবলি দিয়ে সেই রক্তের ফোঁটা কপালে রঞ্জিত করে তারা দস্যুবৃত্তিতে বের হতো ।
এখন কথা হলো এই সব দস্যুদের খুব কম সংখ্যকই মন্দির নির্মাণ করতো । আর কালী মূর্তি নির্মাণ তো এদের জন্য আরো কঠিন কাজ ছিল । তাই এরা গভীর অরণ্যস্থিত আদিবাসী নির্মিত কালীমন্দির গুলিই বেছে নিলো পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যে । সেই থেকে এই সব কালী মন্দিরের নাম হলো "আদিবাসী ডাকাতে কালী মন্দির" ।
এই পুজো প্যান্ডেলের থিম ছিল এটাই । প্যান্ডেলটা খুবই ছোট । কিন্তু, মূর্তি নির্মাণ, ডাকাতদের মূর্তি দিয়ে প্যান্ডেল সাজানো এবং নানান আদিবাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ আমাকে মুগ্ধ করেছিল । সেই সাথে দেবী মূর্তিরও প্রশংসা না করলেই নয় । গঠনশৈলীতে আদিবাসীয় ছাপ সুস্পষ্ট । ঠিক যেন একশো-দেড়শো বচ্ছর আগেকার আদিবাসী ডাকাতে কালী ।
পাটকাঠি, শুকনো নলখাগড়া, ছন, বাঁশ, বেত, হোগলা, কাশ আর উলুবন দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল পুজো প্যান্ডেলটি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাঁশের চটা, বেত আর পাটের দড়ি দিয়ে নির্মিত বিশাল বিশাল সাইজের মাছ ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আদিবাসী শিল্প ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আদিবাসী মূর্তি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দেবী মূর্তি । দেবীর সামনে ডাকাতেরা পুজো করছে । ডাকতে কালী ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পুজো প্যান্ডেলের বাইরে একজন বহুরূপী । তান্ত্রিক সেজেছে ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ২ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
টাস্ক ৪৮৯ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : ae69344375c3698038124fba1fe7c1b94124c15cb187edf9d6eb1fee35a0defe
টাস্ক ৪৮৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ্! দারুণ তো ডাকাত হলেও নীতি ঠিক ছিলো তাদের। পূজা দিয়ে ডাকাতি করতে বের হতো। যাইহোক আদিবাসী ডাকাতে কালী মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। থিম অনুযায়ী তাদের আয়োজন একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। বিশেষ করে বাঁশের চটা, বেত আর পাটের দড়ি দিয়ে তৈরি করা বিশাল বড় মাছগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। তাছাড়া আদিবাসী মূর্তি গুলোও দেখতে দারুণ লাগছে। সবমিলিয়ে প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
This third episode of Kolkata Kali puja is indeed great.
The articraft of the indigenious people of kali is particularly great.
This images are dope, thank you very much @rme Dada for sharing this beautiful Experience with us
Please check my post and verify
"আদিবাসী ডাকাতে কালী" থিমটা যেমন দারুন তেমনি ডেকোরেশনটাও অসাধারণ হয়েছে। একেবারে ভিন্ন রকমের একটি ডেকোরেশন দেখতে পেলাম দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। পুজো প্যান্ডেলের দারুন সব ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
মন্ডপটা আমার বেশ অন্য ধরনের লেগেছে। বিশেষ করে মণ্ডপে ব্যবহার করা উপকরণ, যেগুলো অত্যন্তই প্রকৃতি বান্ধব। যা আদিবাসীদের জীবন যাপনের সাথে একদম মিলে যায়।
একসময় ডাকাতেরা মা কালীর পুজোতে নরবলি দিতো, ভাবলেই কেমন যেন গা শিউরে ওঠে।
বড্ড ভয়ংকর।
পুজো প্যান্ডেলের থিমটা নিয়ে যেভাবে লিখেছেন দাদা, তা যেন ছবিগুলো দেখে অনেকটাই বাস্তবিক মনে হচ্ছিল। বেশ ভালই উপভোগ করলাম ফটোগ্রাফি গুলো।
দাদা, আপনি যখনই আপনার অভিজ্ঞতা লেখেন, আমার মনে হয় আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করছি। আমাদের সাথে এমন একটি চমৎকার ঘটনা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। খুব অনন্য এবং সৃজনশীল পূজা প্যান্ডেল.