Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৭
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৭
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৬
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা ?
আশা করি সবাই সুস্থই আছেন ।
আজকের এপিসোড-এ শেয়ার করতে চলেছি উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীবর্গের আরো বেশকিছু ফোটোগ্রাফি । আজকের শেয়ার করা উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীদের মধ্যে অধিকাংশই হলো ভারতীয় উপমহাদেশের । আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীবর্গের স্টাফ করা দেহ থাকছে সেগুলো হলো :
১. পাইথন
২. রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া
৩. কাল কেউটে এবং গোখরো
৪. কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়
৫. ঘড়িয়াল ও সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল
৬. বেশ কয়েক প্রজাতির কচ্ছপ
৭. মিষ্টি জলের কুমির
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
পাইথন বা অজগর । পাহাড়ী অঞ্চলের ময়াল বা অজগর সাপ । এরা সর্পজগতের অন্যতম সর্ববৃহৎ সাপ, যদিও উভচর সাপ এনাকোন্ডা আকারে সব চাইতে বড় তারপরেও পাইথন হলো বোয়া কন্সট্রিক্টর সাপের পর সর্ববৃহৎ বড় সাপ । ছাগল, ভেড়া, হরিণ, খরগোশ, মাছ, বানর, ইঁদুর সহ ছোট ছোট প্রাণী এদের খাদ্য । এরা প্রথমে শিকারকে জড়িয়ে ধরে দমবন্ধ করে মেরে ফেলে আস্ত গিলে খায় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সবার পিছনের জারে রয়েছে অতি বিষাক্ত সাপ রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া । তার সামনের সারিতে রয়েছে কাল কেউটে ও গোখরো । আর সবার সামনের সারিতে রয়েছে কিং কোবরা বা শঙ্খচূড় । শঙ্খচূড় আকারে হয় বিশাল । একটি পূর্ণবয়স্ক শংখচূড়ের ফোনের বিস্তার ২ ফিট অব্দি হয়ে থাকে । আর কথিত আছে সাইকেলের আরোহীকে এরা মাথায় চাওবল মারতে পারে । একটি হাতির মাথায় ছোবল মারতে শংখচূড়ের মাত্র অর্ধেক শরীর উঁচু করলেই হয় । শঙ্খচূড়ের খাদ্য শুধুমাত্র অন্য সাপ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ঘড়িয়াল ও সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইলের পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল । ঘড়িয়াল কুমির প্রজাতির হলেও এদের গলার নালী অসম্ভব সরু থাকার কারণে শুধুমাত্র ছোট মাছ -ই এদের একমাত্র খাদ্য । অন্যদিকে নোনা জলের কুমির মানুষ থেকে শুরু করে হরিণ, মহিষ সহ বড় বড় জানোয়ার শিকার করে খায় । ঘড়িয়াল অতি নিরীহ আর সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল অতি হিংস্র হয়ে থাকে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বেশ কয়েক প্রজাতির কচ্ছপ । এদের মধ্যে এক প্রজাতির কচ্ছপ হলো সামুদ্রিক, আর বাকি প্রজাতি গুলোর বাস হলো মিঠে জলের পুকুর, খাল-বিল, হ্রদ ও জলাশয় গুলিতে । এদের মধ্যে এক প্রজাতির কচ্ছপ হলো সফ্ট শেল টার্টল যা এখন বিলুপ্তির পথে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি মিষ্টি জলের কুমিরের পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল । এই কুমিরগুলো অপেক্ষাকৃত নিরীহ হয়ে থাকে । মানুষকে সচারচর এড়িয়ে চলে । মাছ আর ছোট ছোট প্রাণী হলো এদের খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত । জলের সারফেস লেভেলে শিকার করে থাকে এরা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
আজকের পর্বের অজগর সাপ এবং শঙ্খচূড় সাপ আমার কাছে খুবই ভয়ঙ্কর লেগেছে। সাপ গুলোর দিকে তাকালে মনে হচ্ছে সাপ গুলো কেমন যেন নড়ে নড়ে উঠছে। আর আমি কখনো কচ্ছপ দেখিনি কিন্তু আজকের পর্বে একসঙ্গে বেশ কয়েক ধরনের কচ্ছপ দেখতে পেলাম। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পর্ব উপভোগ করলাম দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এসব সরীসৃপ প্রাণীর স্টাফ করা দেহের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। প্রতি পর্বের মতো এবারের পর্বের ফটোগ্রাফস গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। আপনার এই ফটোগ্রাফস গুলোর মাধ্যমে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এ স্টাফ করা বিভিন্ন উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীদের দেহ গুলো দেখার সুযোগ পেলাম।
অনেক শিক্ষনীয় একটি পোস্ট। সরীসৃপ প্রাণী এবং উভয়চর প্রাণী সম্পর্কে অসাধারণ তথ্য এখানে দেওয়া হয়েছে দাদা।
সবথেকে ভয়ঙ্কর লেগেছে পাহাড়ি অঞ্চলের অজগর। এটা যদি কারো সামনে পড়ে অবশ্যই সে চমকে উঠবে।
তাছাড়াও মিঠাপানির কচ্ছপ গুলো আমাদের অঞ্চলে বেস্ট পাওয়া যায়। রাতে মাছ ধরতে গেলে এসকল কচ্ছপের দেখা মেলে।
তথ্যবহুল পোস্ট সব সময় আমাদের জ্ঞান আহরণে সাহায্য করে।
এই পর্বে সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণীর দৃশ্য গুলো তুলে ধরেছেন। সরীসৃপ পর্বের প্রাণীর গুলো দেখে প্রথমে গায়ের লোমগুলো খাড়া হয়ে গিয়েছিল ভয়ে। তবে কচ্ছপের ছবিটা বেশ ভালো লেগেছে। অত্যান্ত নিরীহ একটি প্রাণী হচ্ছে কচ্ছপ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
সত্যি দাদা যত দেখছি ততোই শুধু অবাক হচ্ছি। আজকে আপনি আমাদেরকে সরীসৃপ এবং উভয় প্রাণীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। এখানে অধিকাংশ সরিসৃপ আমাদের পরিচিত আর আমাদের হাতের নাগালের বাইরেই থাকে বিশেষ করে আমরা দেখি না। তবে যে সাপগুলোর এস্টাপ করা ফটোগ্রাফি গুলো আমাদেরকে দেখিয়েছেন সত্যিই প্রতিটা সাপ অনেক বিষাক্ত এবং ভয়ঙ্কর। আর অজগর থেকে এনা গন্ডা অনেক বড়, তবে অজগর কম বা কিসে। আমাদেরকে এত সুন্দর স্টাফ করা সরীসৃপ প্রাণী গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
কচ্ছপ দেখলাম, কঙ্কাল দেখলাম
দেখলাম অজগর সাপ
এত প্রজাতির সাপ আছে
ওরে বাপরে বাপ
27 পর্বের এপিসোডে
লাগলো একটু ভয়
স্বপ্নে এসে অজগরটা
কি জানি কি কয়
তাই পেয়েছি ভয়
♥♥
দাদা সংবাদে শুনেছি গত বছর আমাদের এখানে পদ্মার ওপারে রাসেল ভাইপার বেশ কয়েক জনের প্রান নিয়েছে। কখনও দেখিনি আপনার ছবির মাধ্যমে দেখলাম। খুবি বিষাক্ত সাপ। বিভিন্ন প্রকারের কচ্ছপ দেখা হয়ে গেল । আমাদের পুকুরে কচ্ছপ দেখায় যায় তবে এগুলো মধ্যে আছে কিনা এই প্রজাতি জানি না। সামনা সামনি কুমির দেখেছি তবে কঙ্কাল দেখলাম আজ আপনার ছবির মাধ্যমে । সত্যি বলতে সাপ গুলো দেখেই ভয় করছে। ধন্যবাদ দাদা ভাল থাকবেন।
জাস্ট অসাধারণ দাদা আপনি অনেক চমৎকার ভাবে সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণীর অনেক সুন্দর সুন্দর মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফিক চিত্র আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন, আপনার মাধ্যমে আমরা অনেক ধরনের প্রাণী সম্পর্কে অবগত হয়েছি ভবিষ্যতেও আরো অবগত হবো বলে আশা রাখি। প্রথম চিত্রের সাপের চিত্রটির দেখে আমি একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ঘড়িয়াল কুমিরের কঙ্কাল টি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। তবে এই কুমির ছোট মাছ ছাড়া তেমন কিছুই খেতে পারে না এটি জেনে আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি হাহাহা। যেখানে অন্যান্য কুমির মহিষ ঘোড়া জেব্রা এগুলো খেয়ে থাকে সেখানে এই কমিটি শুধুমাত্র ছোট মাছ...! সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই রকম অজানা অনেক বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা, সাপ দেখে এমনিতেই অনেক ভয় পাই। আপনার পোস্টে সাপের ছবি দেখেই ভয় লাগছে। অজগর সাপ দেখলে অনেক ভয় লাগে এরা তো মানুষ খেকো সাপ।
চন্দ্রবোড়া সাপ দেখে গা শিউরে উঠে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এতো সুন্দর ভাবে বিলুপ্ত প্রায় কিছু প্রাণীর চিত্র তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
@tipu curate 4
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)