Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৬
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৬
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৫
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা ?
আশা করি সবাই সুস্থই আছেন । শীত দ্রুত ফুরিয়ে আসছে । মাঘের শেষের দিকে শীত বেশ কিছুটা কম হয়ে যায় । এবার বরং উল্টোটা শীত বেড়েই চলেছে । মজাই মজা । অবশ্য সাথে করোনা আছে । তাকে নিয়েই সুখী থাকার চেষ্টা আর কী !
আজকের এপিসোড-এ শেয়ার করতে চলেছি উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীবর্গের ফোটোগ্রাফি । উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীদের মধ্যে অধিকাংশই হলো ভারতীয় উপমহাদেশের । আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীবর্গের স্টাফ করা দেহ থাকছে সেগুলো হলো :
১. কোবরা বা কেউটে, শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা , রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া, ব্যান্ডেড কারাত
২. লিজার্ড মনিটর
৩. মিষ্টি জলের কুমির
৪. নোনা জলের কুমির
৫. সামুদ্রিক কচ্ছপ
৬. বোয়া সাপ, ক্যামেলিয়ন এবং স্যালামান্ডার
৭. কোকোনাট ক্র্যাব
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
কাঁচের জারে দশ-এগারো প্রজাতির সাপের সংরক্ষিত দেহ । আর নিচে রয়েছে একটি লিজার্ড মনিটর বা গোসাপের স্টাফ করা বডি । এই সাপ গুলোর মধ্যে আমি কিছু কিছু প্রজাতি চিনতে সক্ষম হয়েছি । যেমন - কোবরা বা কেউটে, শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা , রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া, ব্যান্ডেড কারাত প্রভৃতি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মিষ্টি জলের কুমির । এইসব কুমির অপেক্ষাকৃত কম হিংস্র এবং মিষ্টি জলের পুকুর-দীঘি, জলাশয়, খাল-বিল ও নদীতে পাওয়া যায় । নোনা জলের কুমির এর চাইতে এরা আকারে যথেষ্ঠ ছোট হয়ে থাকে । এরা সাধারণত মানুষজনকে এড়িয়ে চলে । মাছ ও ছোট ছোট জলজ উভচর এবং সরীসৃপ প্রাণী এদের খাদ্য ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
নোনা জলের কুমির । নোনা জলের খাল, নদ-নদী এবং সমুদ্রকুলবর্তী অঞ্চলে এদের বাস । এরা আকারে অনেক বড়ো হয়ে থাকে । বিশাল হিংস্র এবং মানুষকে এড়িয়ে না চলে বরং সব সময়ই আক্রমণ করে শিকারে পরিণত করে থাকে । জলে গভীরে এরা সাক্ষাৎ মৃত্যু দূত । মাছ, জলজ জীব জন্তু থেকে শুরু করে অতিকায় বড় বড় প্রাণীও এদের খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত । মিউজিয়ামে যে দুটি নোনা জলের কুমির দেখেছিলাম সে দুটির একটি ১৮ ফুট আরেকটি ২০ ফুট লম্বা । কি বিশাল সাইজ, তাই না ?
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সামুদ্রিক কচ্ছপ । বিশাল সাইজের এই কচ্ছপগুলো জীবনের পুরোটাই সমুদ্রে কাটায় । শুধু ডিম পাড়ার সময়ে সামুদ্রিক উপকূলবর্তী বালিতে এসে গর্ত খুঁড়ে ডিম পেড়ে যায় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দেয়ালে ঝুলছে একটি বোয়া জাতের সাপের দেহ । তার নিচের তাকে রয়েছে একটি বহুরূপী বা ক্যামেলিয়ন । এই গিরগিটি তাদের দেহের রং যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে সক্ষম ।তার নিচের তাকে রয়েছে একটি গিরগিটি এবং দুটি স্যালামান্ডার এবং তার পাশে একটি সাপের দেহ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কোকোনাট ক্র্যাব । এই কোকোনাট ক্র্যাব হলো সব চাইতে বড় কাঁকড়া পৃথিবীর মধ্যে । এদের দাঁড়া ভীষণ শক্ত । এদের একমাত্র প্রধান খাদ্য হলো নারকেল । দাঁড়া দিয়ে নারিকেল ছুবড়ে ছুবড়ে তার পর ভেঙে তার শাঁস খায় এরা । এই কাঁকড়ার এক দাঁড়া থেকে অন্য দাঁড়ার দৈর্ঘ্য হলো ৪ ফুট । প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চলগুলিতে এই কোকোনাট ক্র্যাবের বাস ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
সাপ আমার ভীষণ ভয় লাগে, তবুও এগুলো দেখতে ভালোই। কুমির দেখলাম আর কচ্ছপটাও সুন্দর। তবে নারিকেল গাছের উপর কাকড়াটা 🦀 বেশ দারুন দেখতে ☺️
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
শুরুতেই সাপের ছবি গুলো দেখে ভয় বুকের ভেতরে ছমছম করে উঠছিল দাদা। আর কোকোনাট ক্র্যাব এই প্রাণীটি সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম। পুরোপুরি অবাক হয়ে গেছি, ওইটুকু একটা প্রাণী সে কিনা আবার নারকেল চিবিয়ে খায়! 🙄
ঠিক বলেছেন দাদা,খুবই ঠান্ডা ।তবে আমাদের এখানে দিনে প্রচুর গরম ও রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা।শেষের দৃশ্যগুলো ভালো লেগেছে তবে প্রথমের দৃশ্যগুলি খুবই ভয়ানক জীবের।সাপকে আমি খুবই ভয় পাই। খুবই ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে,অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ভাইয়া আসলেই প্রচন্ড শীত পরতেছে এখানে। 🥶🥶
আর কয়েকদিন পর মিউজিয়াম এর নতুন এপিসোড পেলাম।
এখানে সাপটা দেখতে ভয় লাগে। আর কাঁকড়াটির ও বেশ অবাক করা ব্যাপার কারন কাঁকড়া যে নারিকেল খায় তা আমার জানা ছিল না। নারিকেল গাছটাকে দেখতে বাস্তবে গাছ মনে হয়।
দাদা,আজকের এপিসোডে প্রথম ছবিতে গোসাপের ছবি দেখে হঠাৎ ভাবলাম কোনো কিছু ভেঙে পড়ে আছে,পরে ভালো করে দেখলাম যে এটা একটা গোসাপ,আর আমরা গুইসাপ হিসেবে চিনি।এরপরে যাই বাকি ছবিগুলোতে, সেগুলোতে মনে হচ্ছে মিউজিয়াম এ না গিয়ে আমরা চিড়িয়াখানার জীবন্ত প্রাণী দেখতেছি।খুব ভালো লাগলো আজকের ফটোগ্রাফিগুলো।
শীত বাড়ছে আর মজাই মজা তাই না দাদা ।সাপগুলো দেখেই তো আমার গায়ের ভেতর শিরশির করছে মনে হচ্ছে প্রত্যেকটি সাপ জীবন্ত। মিষ্টি জলের কুমিরই আমার কাছে ভালো লেগেছে নোনাজলের থেকে। নোনা জলের কুমির দেখে আমি ভয় পেয়েছি।বোয়া জাতের সাপের দেহ অনেক ভয়ঙ্কর ছিল দেখলেই ভয় লাগছে। কোকোনাট ক্রাব আনকমন ছিল।সবগুলো ছবিই অনেক ভালো লেগেছে দাদা।
দাদা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি যতই দেখছি ততই অবাক লাগছে যে আপনি বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ প্রাণী উভচর প্রাণীর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি দারুন লাগে, তবে আমার সবচেয়ে বেশি ভয় লাগে কিং কোবরা। কারণ এটা সচরাচর কয়েকবার দেখেছি। রাতে মাছ মারতে গিয়ে অনেক সময় অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছি। তাই এটাকে আমি বেশি ভয় পাই, আর আমাদের সাথে এত সুন্দর করে আপনার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর স্টাফ করা প্রাণিজগতের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
কত কিছু যে শেখার আছে!!! শঙ্খচূড় সাপের আরেক নাম যে কিং কোবরা তা জানা ছিল না। যদিও সাপ একটি নিরীহ প্রাণী কিন্তু এই প্রাণীটিকে ভয় পায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম আছে। আর কোকোনাট ক্রাব গুলো শুনেছি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ প্রচুর পরিমাণে আছে। ইচ্ছা আছে কোন এক সময় দেখতে যাব। ভালোবাসা রইল আপনাদের জন্য।