ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -০১"
গত পরশু ষষ্ঠীর বিকেলে আমরা একটা গাড়ি রেন্ট করে গিয়েছিলাম এশিয়ার মধ্যে সর্বাধিক বেশি প্রতিমা সম্বলিত একটি দূর্গা পুজো প্যান্ডেলে । এই প্যান্ডেলটি যে জায়গায় অবস্থিত সেটির নাম "শিকদারবাড়ী" । খুব সম্ভবত এটি শিকদার ফ্যামিলির পারিবারিক পুজো । এখন অবশ্য সর্বজনীন দূর্গা পুজোতে এটি পরিণত হয়েছে । স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলতে জানতে পারলাম এই শিকদারবাড়ির সবাই বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছে । পুজো উপলক্ষে বছরে একবার দেশে আসে তারা ।
পুজোতে জাঁকজমক খুব একটা না হলেও অসংখ্য প্রতিমা নির্মাণ ও প্রদর্শনীর জন্য এটি বাংলাদেশের খুবই বিখ্যাত একটি পুজো । মাত্র বছর দু'য়েক আগেও প্রচুর জাঁকজমকের সাথে এক হাজার একটি প্রতিমা নির্মাণ করে পুজো হতো শিকদারবাড়িতে । কিন্তু, বর্তমানে পুজোর ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে । প্রতিমা নির্মাণ অর্ধেক কমিয়ে পাঁচশো একটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে । আলোকসজ্জা ও আনুষঙ্গিক সাজসজ্জাতে তেমন কোনো খরচ করা হয় না এখন আর । লাস্ট জমকালো পুজো হয়েছে করোনা মহামারীর আগের বছর ।
শিকদাররা মূলত ব্যবসায়ী । করোনার পরে সারা বিশ্ব জুড়ে ভয়াবহ আর্থিক মন্দার ঢেউ এই পুজোর আয়োজনেও এসে লেগেছে । তাই পুজোর ব্যয় সংকুচিত করা হয়েছে । তারপরেও পাঁচশত বিশাল সাইজের প্রতিমা নির্মাণ ও প্রদর্শনী সোজা কথা নয় মোটেও । বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিণাঞ্চলেসকল মানুষ এই পুজো মণ্ডপে তাই ভিড় জমায় । আমরা ষষ্ঠীর দিন গিয়েও ভিড়ের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছিলাম । বেশ কয়েকটা এপিসোড লেখার ইচ্ছে আছে এই পুজোকে ঘিরে । দেখা যাক কতদূর কি পারি ।
আমি প্রায় প্রতিটা প্রতিমার ছবিই ক্যামেরাবন্দী করেছি । পাঁচশত প্রতিমা ! সোজা কথা নয় । কারণ ভিড়ের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে ক্যামেরায় ছবি তোলা মোটেও চাট্টিখানি কথা নয় । তার ওপরে মানুষের ভিড় সর্বদা ঠিক প্রতিমার সম্মুখেই থাকে । আর পেছন থেকে তাদেরকে ক্যামেরার লেন্সবন্দি না করে প্রতিমার ছবি নেওয়া অত্যন্ত দুরূহ কাজ ।
সুদীর্ঘ মোট ১০টি সারিতে এই প্রতিমাগুলো প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে । মোট পাঁচশত প্রতিমাগুলো হলো হিন্দুদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের বিভিন্ন দৃশ্যের চিত্রায়ণ । তাই রামায়ণ-মহাভারত খুব ভালো করে পড়া না থাকলে এসব দৃশ্যের মর্ম বোঝা কঠিন হবে ।
ক্ষীর সাগরে অনন্ত নাগের ওপর বিষ্ণু শায়িত, লক্ষী পদসেবা করছেন, নারদ বিষ্ণু-স্তোত্র করছেন বীণা বাজিয়ে ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণু ও নারদ ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের প্রথম অবতার - "মৎস্য অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের দ্বিতীয় অবতার - "কূর্ম (কচ্ছপ) অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের তৃতীয় অবতার - "বরাহ অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের চতুর্থ অবতার - "নৃসিংহ অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের পঞ্চম অবতার - "বামন অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের ষষ্ঠ অবতার - "পরশুরাম অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের সপ্তম অবতার - "রাম অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের অষ্টম অবতার - "বলরাম অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের নবম অবতার - "বুদ্ধ অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
বিষ্ণুর দশাবতারের দশম অবতার - "কল্কি অবতার" ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আশা করি শ্রদ্ধেয় দাদা ভালো আছেন? শিকদার বাড়ি ঐতিহ্য বহন করে। এখানে অনেক বেশি প্রতিমার দিয়ে পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বেশ চমৎকার প্রতিমার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ৫০১ টি প্রতিমা দিয়ে পূজার আয়োজন করা সত্যিই বেশ দুর্দান্ত ব্যাপার। বিভিন্ন রকমের প্রতিমা দেখে খুব ভালো লাগলো। শিকদার বাড়িতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছেন নিশ্চয়। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দাদা।
বাহ! দারুণতো দাদা এই কথাগুলো কিন্তু আগে জানা ছিলো না। যদিও ঐ দিকে কখনো যাওয়া হয় নাই। তাহলে চ্যাপ্টা হয়েও আজ বেশ ফটোগ্রাফি করেছেন, সবগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
শিকদারবাড়ির পুজাতে প্রায় ৫০১ টা প্রতিমা রয়েছে আসলেই এটা কম কথা নয় দাদা। তার চেয়ে বড় কথা আপনি সবগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। এটাও একটা অসম্ভব কাজ কিন্তু। যদিও আগের থেকে নাকী এখন পূজার জাকজমক কমে গিয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন। দেখে বেশ সুন্দর লাগছে।
শিকদারবাড়ির ঐতিহ্য এখনো রয়ে গেছে। আসলে সময়ের সাথে সাথে হয়তো কিছুটা ঐতিহ্য কমেছে। কিন্তু পাঁচশত প্রতিমা নিয়ে পুজোর আয়োজন করাও বিশাল ব্যাপার। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আশা করছি পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থিত করবেন। যাই হোক দাদা আপনার পুজো ভালো কাটুক এই প্রত্যাশাই করি।
করোনার আগে শিকদার বাড়িতে ১হাজার ১ টা প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা হতো, জেনে তো অবাক হয়ে গেলাম দাদা। এটা বিশাল একটি ব্যাপার। এখন ৫০১ টা প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয় এটাও অনেক। এতো ভিড়ের মধ্যে আপনি প্রায় সবগুলো প্রতিমার ফটোগ্রাফি করেছেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো একেবারে ক্লিয়ার এসেছে। যাইহোক এতো চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শিকদার বাড়িতে পূজোর ঐতিহ্য এখনো রয়ে গেছে।করোনার আগের বছর ও অনেক জাকজমকভাবে তারা পূজোর আয়োজন করেছিল।তবে বর্তমানে ৫০০ প্রতিমা নিয়ে তারা পূজোর আয়োজন করেছেন।এটা ও কিন্তু কম নয়।খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দাদা।দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আরো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ দাদা।পূজো খুব সুন্দর কাটুট এমন প্রত্যাশাই করি।
সিকদার বাড়ির ঐতিহ্যের কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো ।করোনার আগে এতগুলো
প্রতিমা নির্মাণ করে পুজো দেওয়া হতো তা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। আসলে যত দিন যাচ্ছে সবকিছু কেন জানি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।
তারপরও ৫০০ প্রতিমা নিয়ে পুজোর আয়োজন করা ও কম কথা নয়। বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগলো।
আপনার পূজো ভাল কাটুক এই কামনাই করি।
শিকদার বাড়ির পূজোর সুনাম দেখছি সব জায়গায়। পুজো উপলক্ষে পাচঁশ প্রতিমা তৈরি করেছে, এটা হিউজ বলা যায়। তবে আপনি এতো ভীড়ের মাঝেও যে ক্যামেরাবন্দি করতে পেরেছেন এটাই অনেক। প্রতিমার ডিজাইনগুলোও দারুণ করেছে ☘️
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.