ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -০৭"
রাবণ যখন সীতাকে আকাশপথে বিমানে করে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিলো তখন জটায়ু নামে এক বিশাল ঈগল পাখি রাবণকে আক্রমণ করে । জটায়ু ছিল রাজা দশরথের বন্ধু । তাই সীতা অপহরণ আটকাতে সে প্রাণপণ লড়াই করে রাবনের সাথে । রাবণ শেষমেশ দিব্য খড়গ দিয়ে জটায়ুর পাখা কেটে ফেলে সীতাকে নিয়ে পালিয়ে যায় । সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে রাম-লক্ষণ পথের ধারে জটায়ুর মৃতপ্রায় দেহ খুঁজে পান । জটায়ু রামকে রাবণের সীতাহরণ সম্পর্কে সব কিছু জানিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
সীতাকে উড়ন্ত রথে বসিয়ে রাবণ যখন তাঁকে হরণ করে নিয়ে যাচ্ছেন তখন সীতা উচ্চঃস্বরে ক্রন্দন করতে থাকেন । সেই ক্রন্দন স্বর শুনে রাজা দশরথের বন্ধু জটায়ু নামে বিশাল এক ঈগল পাখি এসে রাবনকে আক্রমণ করে । জটায়ু ছিল অসম্ভব ভালো একজন নিপুণ যোদ্ধা । সে প্রাণপণে রাবণের সাথে লড়াই করে রাবণকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলো । তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়ে জর্জরিত হয়ে রাবণ মূর্ছা যাওয়ার অভিনয় করে মটকা মেরে পড়ে থাকে । জটায়ু ভাবে রাবণ মরে গেছে এই বেলা তাকে গ্রাস করি । আর সেটা করতে গিয়েই মুহূর্তের অসাবধানে রাবণ তার দিব্য খড়গ দিয়ে জটায়ুর পক্ষ ছেদন করে । সঙ্গে সঙ্গে জটায়ু ভুলুন্ঠিত হয় আর রাবণ সীতাকে নিয়ে ফের আকাশপথে পালিয়ে যায় ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
রাবণ সীতাকে হরণ করে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে রাম কিস্কিন্ধ্যা রাজ্যে এসে পৌঁছান । এই রাজ্য ছিল বানরদের রাজ্য । বানররাজ বালি এই রাজ্যে রাজত্ব করতেন । তাঁর ভাই সুগ্রীবের সহিত তাঁর ঘোরতর সংঘাত চলছিল । এই সময় রাম ও সুগ্রীব নিজেদের মধ্যে মৈত্রী স্থাপন করেন । রাম প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি বালীকে মেরে সুগ্রীবকে কিস্কিন্ধ্যার রাজা করবেন । আর সুগ্রীব প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি রাজা হওয়া মাত্রই সীতাকে উদ্ধারের জন্য লঙ্কায় সেনা প্রেরণ করবেন ও সীতা উদ্ধারে রামের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবেন । অগ্নিকে সাক্ষী রেখে রাম ও সুগ্রীব এই প্রতিজ্ঞা করে মৈত্রী স্থপন করেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
পুত্র লাভের আশায় রাজা দশরথের করা পুত্রেষ্টি যজ্ঞ । এই যজ্ঞের অগ্নি থেকে এক দিব্যকান্তি পুরুষ বেরিয়ে এসে রাজা দশরথকে একটি পরমান্নের ভান্ড প্রদান করেন এবং বলেন যে এই পরমান্ন খেলেই মহারানীগণ পুত্রলাভ করবেন। রাজা দশরথ সেই পরমান্ন সমান চার ভাগে ভাগ করে এক ভাগ রানী কৌশল্যা, এক ভাগ কৈকেয়ী এবং বাকি দুই ভাগ সুমিত্রাকে প্রদান করেন । ফলে কৌশল্যার গর্ভে রাম, কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত এবং সুমিত্রার গর্ভে লক্ষণ ও শত্রুঘ্নের জন্ম হয় ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
রামের সমুদ্রপরে সেতু বন্ধন । হনুমান লঙ্কার অশোকবনে সীতার অবস্থান নিশ্চিত করার পরে রাম-লক্ষণ ও বানর সেনা সমুদ্রপারে এসে হাজির হন । সমুদ্রের অপর পারে রয়েছে রাবণের লঙ্কা রাজ্য । এই রাস্তাটুকু সেতু নির্মাণ করে পার হওয়ার চেষ্টা করেন রাম । বানর সেনার মধ্যে নল ও নীল নামক দুই বানর ছিল । তারা ছিল শাপগ্রস্ত । বাল্যকালে তাদের অত্যাচারে মুনি-ঋষিরা অস্থির হয়ে উঠতেন । তারা দুই ভাই মিলে মুনিদের কোষা-কুষি, পুজোর থালা, শঙ্খ, ঘন্টা সব নদীর জলে ফেলে দিতো । মুনিরা তাই এই অভিশাপ দেন যে তারা যা'ই জলে ফেলবে সেগুলো কখনোই ডুববে না, জলে ভেসে থাকবে । এই কথা সমুদ্রদেবতার অজানা ছিল না । তাই তিনি প্রকট হয়ে রামকে বলেন প্রস্তরখন্ডে রাম নাম লিখে যদি নল ও নীল সেগুলো সমুদ্রগর্ভে স্থাপন করে তবে প্রস্তরখন্ডগুলি না ডুবে ভেসে থাকবে । আর এ ভাবেই পাথর ফেলে ফেলে কিস্কিন্ধ্যার সমুদ্রতীর থেকে লঙ্কা অব্দি ভাসমান পাথরের এক চমৎকার সেতু নির্মাণ করা হয় । এটাই রামসেতু ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাংলাদেশের পূজো -৭ এ ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বেশ কিছু জানতে পারলাম।রাবনকে আটকাতে এসে জটায়ু প্রান হারায়।এরপর এক এক করে বাকি ইতিহাস গুলো ও জানা হলো।ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার লাগলো।ধন্যবাদ দাদা বর্ননার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
রাবণ তো চরম অভিনয় করে জটায়ুকে হারিয়ে দেয়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখার সাথে সাথে বর্ণনা পড়ে, রামসেতু নির্মাণের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারলাম দাদা। এই সিরিজের প্রতিটি পর্ব পড়তে ভীষণ ভালো লাগছে। তাছাড়া বরাবরের মতো এই পর্বেও চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দেখতে দেখতে আপনি দাদা আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টের সপ্তম পর্বে চলে আসলেন। আজ আপনি রাবন আর সীতার গল্পের আরও নতুন কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে এই গল্প গুলো কিন্তুু তেমন করে পড়া হয়ে উঠেনি। আজ আপনার পোস্ট পড়ে রাবন আর সীতা কে নিয়ে আরও অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।
বাহ! মনে হচ্ছে পুরো কাহিনীটির চিত্রায়ন করা হয়েছে নতুনভাবে, সত্যি বলতে দৃশ্যগুলো দেখলে পুরো কাহিনীটি খুব সহজেই বোধগম্য হয়ে যাবে। তবে আমি অন্য একটা বিষয় চিন্তা করে অবাক হচ্ছি সেটা হলো, গত বছর আপনার কলকাতার পুজোর ফটোগ্রাফি দেখে যতটা না ভালো লেগেছিলো তার চেয়ে দ্বিগুন ভালো লাগছে বাংলাদেশের তৈরী ডিজাইন এবং ডেকোরেশনগুলো দেখে। অনেক ধন্যবাদ
অভিশাপ যখন ভালো কিছু হয় তখন সেটাই ভালো। যেমনটা ঐ বানর দুই ভাইয়ের পাথর ভাসিয়ে রাখার ক্ষমতা সেতু বানিয়ে সমুদ্র পার করে লঙ্কায় যেতে সাহায্য করে তাদের। আপনার শেয়ার করা অন্য ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল দাদা। মূর্তির মাধ্যমে পুরো রামায়ন তুলে ধরা হয়েছে এখানে। অনেক সুন্দর দাদা।।
এই পর্বের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণানা অসাধারণ ছিল। এর মাধ্যমে জানতে পারলাম রাবণ সীতাকে কিভাবে অপহরণ করেছিলেন। রাবণ তো দেখছি অনেক শক্তিশালী একজন। রাবণ পরপর দুইটা জটায়ুকে আক্রমণ করে শেষ করে দিলেন। তবে অবশেষে সীতাকে অপহরণ করতে সক্ষম হল। অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের ফটোগ্রাফি পর্ব। অনেক ধন্যবাদ দাদা প্রতিনিয়ত পর্ব আকারে শেয়ার করে যাচ্ছেন ফটোগ্রাফি গুলো। আশা করি আরো অনেক অনেক ফটোগ্রাফি আপনার মাধ্যমে দেখতে পারবো।