[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] বাগবাজারের গঙ্গার কাছে কুমোরটুলিতে একদিন - পর্ব ০১
কলকাতার একটি ফেমাস জায়গা হলো এই "কুমোরটুলি" । স্থানটি মূলত শোভাবাজার-সুতানুটি মেট্রো স্টেশন এর নিকটবর্তী । পাশেই বাগবাজারের গঙ্গার ঘাট । এই কুমোরটুলি ফেমাস হওয়ার কারণ হলো সমগ্র কলকাতা শহর ও আশেপাশের সকল স্থানের দূর্গা পূজা সহ যাবতীয় পূজা প্রতিমার একমাত্র বৃহৎ উৎস স্থল হলো এই "কুমোরটুলি" । এই কুমোরটুলি বহু পুরাতন একটি স্থল । কলকাতা যখন তখনও কলকাতা শহর হয়ে ওঠেনি তখন থেকেই কুমোরটুলির অস্ত্বিত্ব ছিল । তখন কলকাতা, গোবিন্দপুর আর সুতানুটি এই তিনটি সমৃদ্ধ গ্রাম ছিল এখন যেখানে কলকাতা শহর অবস্থিত সেখানে। এই সুতানুটি গ্রামে গঙ্গার তীরে একটি স্থলে কুমোরদের বসতি ছিল ।
বাংলা ভাষায় "কুমোর" শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ হলো যারা মাটি দিয়ে শৈল্পিক জিনিসপত্র থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র তৈরী করে থাকেন, অর্থাৎ কি না মৃৎশিল্পী । সাধারণত বাঙালিদের মধ্যে যাদের পদবি "পাল" তারাই বর্তমানের কুমোরটুলির শিল্পীরা । কুমোরটুলি থেকে বহু মৃৎশিল্প এখন আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে ।
এই কুমোরটুলিতে একদিন কাটিয়ে এলাম, তারই কিছু ফোটোগ্রাফ শেয়ার করতে চলেছি ধারাবাহিক পর্বে । তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের পর্ব । আজকের পর্বে বাগবাজারের গঙ্গার ঘাটের কিছু ফোটোগ্রাফি এবং কুমোরটুলিতে ঢোকার মুহূর্তের কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করলাম ।
আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আপনাদের ।
গঙ্গাবক্ষে লঞ্চে । বর্ষার বিকেল । মনে হচ্ছে এই বুঝি বা সন্ধ্যা নামলো ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৫ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
গঙ্গাবক্ষ থেকে গঙ্গার ওপর তীরের শোভা অবলোকন করছি । সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে । শহরের বুকে তাই হাজার আলোকবর্তিকা ঝিলিমিলি রূপে সেজে উঠেছে । তারই ছায়া পড়েছে গঙ্গার জলে ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৫ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অবশেষে তীরে ভিড়লো তরী । আমরা এখন বাগবাজারের গঙ্গার ঘাটে বসে গঙ্গার বুকে সন্ধ্যার প্রকৃতির রূপ আস্বাদনে বিভোর ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ১০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বহু প্রতীক্ষিত সেই "কুমোরটুলিতে" আমরা ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ২০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পুরোনো কলকাতার রূপ । রাস্তার দু'ধারে জরাজীর্ণ শতাব্দী প্রাচীন সব বাড়ি এখন কুমোরপাড়ার কুমোরদের মৃৎশিল্পের ষ্টুডিও ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কুমোরটুলির মৃৎশিল্পের একটি ষ্টুডিওতে ঢুঁ ।
তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : D5600
ফোকাল লেংথ : ৮৬ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)
তারিখ : ৩০ জুলাই ২০২৩
টাস্ক ৩৪০ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 6f656216b01ad88035f8c906bd8a6aa801b42b9220c4ef5dba3f28e95fe86d98
টাস্ক ৩৪০ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTE3978V85byJ3jjoLdrAFUo5xUhDe7Hp6bDUeqi9sW7p/20230619_2116256.gif)
কলকাতার কুমোরটুলির কথা অনেক শুনেছি বেশ জনপ্রিয়।কিন্তু কখনো যাওয়া হয় নি,তবে আপনার মাধ্যমে অনেক ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো আশা করছি।গঙ্গার তীরের ছবিগুলো ও প্রতিমাগুলির ছবি দেখে খুবই ভালো লাগলো।কুমোরটুলি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াও! বাগবাজারের গঙ্গার ঘাটের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। পড়ন্ত বিকেলে বা সন্ধ্যার সময় নদীর তীরে বসে সময় কাটাতে সত্যিই দারুণ লাগে। শরীর ও মন দুটোই শীতল হয়ে যায়। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পের ষ্টুডিওতে তো দেখছি মাটির তৈরি দারুণ কিছু নিদর্শন রয়েছে, যা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। কুমোরটুলি থেকে মৃৎশিল্প বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরো অনেক অনেক ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ওয়াও দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। কুমোরটুলি নামটি দেওয়া হয়েছে কুমোরদের থেকে। আসলে কোমটা অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করে তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে। এই ধরনের জিনিসপত্র দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বঙ্গবাজারে গঙ্গার ঘাটের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল দাদা। এবং লঞ্চ দেখে খুব চড়তে ইচ্ছে করছে কারণ আজও আমি লঞ্চে চড়িনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো মনে হচ্ছিল যেন ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে উঠানো হয়েছে এত সুন্দর ফোকাস দিয়েছে। শুভকামনা রইল দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য।
সন্ধ্যার এই সময়টাতে তীর হতে জলের ছবিগুলো দারুন লাগছে। জায়গাটা সত্যিই খুব চমৎকার। একটি দারুন দিন উপভোগ করেছেন নিশ্চই দাদা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আগামী পর্বে আরো কিছু সুন্দর ছবি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
কুমোরটুলির স্টুডিও তে ঢোকার যে ছবিটা রয়েছে সেটা দেখে অনেক অনেকটা পুরনো মনে হলো। আর দরজার উপরের ওই মাটির প্রলেপটা দেখে মনে হচ্ছে বেশ পুরনো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই গেইট এই রাস্তা ধরে।এই গঙ্গার ছবি আপনার পোস্টে বেশ কয়েকবারই দেখার সৌভাগ্য হয়েছ। তো দেখে আসলে ভালোই লাগে।
your culture is really impressive, I read your post in translate.Is the place where these idols are a temple or a production place?
কুমারটুলি তো তাহলে বহু বছরের পুরোনো জায়গা। সেই কুমারটুলি এখন ও আছে। জায়গাটা বেশ সুন্দর। বিশেষ করে গঙ্গার ধার টা অসম্ভব ভালো লাগছে। তাছাড়া আকাশ এর কালার ও খুব সুন্দর ছিল। এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে তো মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা।
দাদা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো। এই কুমোরটুলি নামটি বোধ হয় কুমারদের জন্য হলো।কুমোরটুলির মৃৎশিল্পের এক ঝলক দেখলাম।তাতেই কেমন যেনো মনের মধ্যে একটা অনুভূতি কাজ করলো। প্রাচীন পুরোনো ঐতিহ্য দেখলে মনের মধ্যে কেমন একটা অনুভূতি হয় আমার।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।