আলোকচিত্র : প্রিন্সেপ ঘাটে এক সন্ধ্যায়
বেশ কিছুদিন ধরেই তনুজা বলছিলো কাছে পিঠে কোথাও একটু ঘুরে আসে । অন্তত দু'তিন ঘন্টা কোথাও একটু নির্জনে ঘুরে আসতে । আসলে অনেকদিন ধরেই তো কোত্থাও যাওয়া হচ্ছে না তাই । শেষমেশ ঠিক হলো বুধবারে বিকেলে প্রিন্সেপ ঘাটে একটু সময় কাটিয়ে আসা যাক । বুধবারে আবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজনের সাথে appointment ছিল বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি । তাই, পরে পাল্টিয়ে বৃহস্পতিবার করা হলো । কিন্তু, শেষমেশ যার সাথে appointment ছিল তার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সেটাও ক্যান্সেলড হয়ে গেলো । মোটমাট বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি একটা বোকা বোকা সন্ধ্যে উদযাপিত হলো ।
তো, এবার আসা যাক মূল ঘটনায় । বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় রওনা দিলাম প্রিন্সেপ ঘাটের উদ্দেশ্যে । সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম প্রিন্সেপ ঘাটের মেইন গেটে । ঢুকেই অমনি জেমস প্রিন্সেপ এর স্মরণে তৈরী মনুমেন্ট । বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জেমস প্রিন্সেপ এর জন্ম ইংল্যান্ডে ১৭৯৯ সালে । এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গলের যে জার্নাল প্রকাশিত হতো তিনি ছিলেন তার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ।
কি ছিলেন না তিনি সেটিই একটি বড় বিস্ময় । একদিকে নানান বিষয়ে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ছিল অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন ইতিহাসবিদ, পুরাতাত্ত্বিক, ভাষাবিদ, গবেষক, ভারততত্ত্ববিদ, মুদ্রাবিশারদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, আর্টিস্ট, জীবাশ্ম বিশারদ , যন্ত্রবিজ্ঞান বিশারদ, ধাতুবিষয়ক বিজ্ঞানী, আবহাওয়াবিদ এবং স্থাপত্যবিদ ।
ভারতের সুপ্রাচীন ব্রাম্মী ও খরোষ্ঠী লিপি তিনিই প্রথম সফলভাবে পাঠোদ্ধার করতে সমর্থ হন এবং তাঁরই নির্দেশিত পথ ধরে পরবর্তীতে ভারতের এক প্রাচীন ইতিহাস সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত হয় । বহুমুখী অনন্য প্রতিভার অধিকারী জেমস প্রিন্সেপ ১৮৪০ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন । তাঁর পুণ্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে হুগলি ব্রিজের নিচে বিশাল এই গঙ্গার ঘাটটি এবং একটি মনুমেন্ট স্থাপন করা হয় ।
প্রিন্সেপ ঘাটে জেমস প্রিন্সেপ এর স্মৃতিতে গড়া মনুমেন্ট
তারিখ : ৩০ জুন ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ৫০ মিনিট
স্থান : প্রিন্সেপ ঘাট, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে আমার বাংলা ব্লগের অ্যাডমিন আরিফ ভাইয়ের পাঠানো আমার বাংলা ব্লগের নামাঙ্কিত মুদ্রিত লোগো সহ টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় প্রিন্সেপ ঘাটে আমার কয়েকটি সেলফি ।
তারিখ : ৩০ জুন ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ৫০ মিনিট
স্থান : প্রিন্সেপ ঘাট, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রিন্সেপ ঘাট ০১-এ সন্ধ্যের অল্প কিছু পূর্বের কিছু ফোটোগ্রাফ
তারিখ : ৩০ জুন ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ০০ মিনিট
স্থান : প্রিন্সেপ ঘাট, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রিন্সেপ ঘাট ০২-এ সন্ধ্যের পরে তোলা কিছু ফোটোগ্রাফ
তারিখ : ৩০ জুন ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : প্রিন্সেপ ঘাট, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রিন্সেপ ঘাট ০৪-এ সন্ধ্যের পরে তোলা কিছু ফোটোগ্রাফ, টিনটিন ও স্বাগতা
তারিখ : ৩০ জুন ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিট
স্থান : প্রিন্সেপ ঘাট, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রিন্সেপ ঘাট ০৩-এ সন্ধ্যের পরে তোলা কিছু ফোটোগ্রাফ, ফেরার পথে মনুমেন্টের সামনে তনুজা
তারিখ : ৩০ জুন ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২৫ মিনিট
স্থান : প্রিন্সেপ ঘাট, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
গুণী মানুষ গুলো খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যায়। এত অল্প বয়সে এতো এতো চমক দিয়েছেন ভাবতেই অবাক লাগে। বেশ ভালো একটা সময় কেটেছে পরিবার সহ। আর দাদা আপনাকে সত্যি ভালো লাগছে নতুন এই টি শার্ট পরে। বয়স তো পাঁচ বছর কমে গেছে 😉। কলকাতায় এবার ঘোরা হয় নি কোথাও। ইচ্ছে আছে পরের বার সব কিছু ঘুরে আসবো। বাকিটা ভগবানের হাতে 🙏🙏
@tipu curate 8
Upvoted 👌 (Mana: 0/10) Get profit votes with @tipU :)
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বোকা বোকা সন্ধ্যা আবার কেমন?
একজন মানুষ এক সঙ্গে এত কিছু ।কিভাবে ম্যানেজ করতেন সব। এত চাপেই মনে হয় অল্প বয়সে মারা গেছেন।
যাইহোক জায়গাটা কিন্তু খুবই চমৎকার। ঘাটের পারে তো বাতাস থাকার কথা। কিন্তু বৌদিকে দেখে মনে হচ্ছে যে অনেক গরম ছিল। ঘেমে একদম একাকার অবস্থা। আবার স্বাগতা দিদিও ছিল দেখছি । সবাই মিলে খুব চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। ঘাটের ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া আরিফ ভাইয়ের এই বিশাল সাইজের টি-শার্টটি আপনার গায়ে একদম ফিট হয়েছে দেখছি। খুব ভালো লাগছে এই টি-শার্টটিতে আপনাকে। আরিফ ভাই দেখে খুবই খুশি হবে।
প্রিন্সেপ ঘাটের ব্যাপারটি কিছুটা হলে টুকটাক জানি স্বাগতা দিদি ও ছোট দাদার পোস্টের মাধ্যমে । তবে জেমস প্রিন্সেপ ভদ্রলোক যে, এত গুণের অধিকারী ছিল তা আমার জানা ছিল না । আর সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে আপনাদের মুহূর্তের ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ।আর একটা বিষয় দেখে চোখ একদম থমকে গিয়েছে, সেটা হচ্ছে আপনার আমার বাংলা ব্লগের টি-শার্ট পরিহিত ছবিটি দেখে । এই অনুভূতি লিখে বা বলে প্রকাশ করার মতো না । আমি জানিনা, আপনার কেমন অনুভূতি কাজ করছিল । তবে আমার অনুভূতি যদি দেখানো যেত, তাহলে হয়তো অনেকটাই আবেগের সঞ্চারণ হয়ে যেত । একদম মিলেমিশে একাকার, দারুণ লাগছে আপনাকে । এভাবেই এগিয়ে যাক, আমার বাংলা ব্লগ। সম্পর্ক গুলো আরও শক্তপোক্ত হোক এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি প্রতিনিয়ত ।
শুভেচ্ছা রইল
একটা মানুষ অনেক গুনের অধিকারী।এত কিছু মাথায় কেমনে রেখেছে।যাই হোক মাঝে মাঝে ঘুরতে ভালোই লাগে।আর সন্ধ্যা হলে তো নদীর ধারে অন্যরকম অনুভূতি।নদীর উপর আলোর প্রতি প্রতিছায়া। একেবারে দারুন।বেশ ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
সেদিনের জন্য খুবই দুঃখিত! বুধবার দুপুর থেকে বিকেল অবধি বসে থাকলাম কিন্তু যার কাজ করতে যাওয়া সে এলো সন্ধ্যের ঠিক আগে, শেষমেষ হুড়োহুড়ি করে সব গুছিয়ে ৫০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি পৌঁছালাম। পরদিন বৃহস্পতিবারে আবার যেতে হয়েছিলো একই কাজে 😥।
পিন্সেপ ঘাট জাগাগাটা এমনিতেই বেশ সুন্দর। শীতের সন্ধ্যেতে দারুন লাগে।
মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করলে মন ভালো থাকে। মনের মাঝে অস্থিরতা কাজ করে না। যাইহোক, গতকাল সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে প্রিন্সেপ ঘাটে খুবই সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন দেখছি দাদা। বিশেষ করে আপনার গায়ে আমার বাংলা কমিউনিটির লোগো টি-শার্ট খুবই সুন্দর মানিয়েছে। অনেক ভালো লাগলো তাছাড়া তনুজা দিদি সওগাতা আপু সাথে একত্রিতভাবে খুব ভালো মুহূর্ত পার করেছেন দেখে ভালো লাগলো দাদা। টিনটিন বাবুকে অনেক দিন পর দেখলাম অনেক বড় হয়ে গেছে। সবাইকে একত্রিত ভাবে দেখতে পেলে অনেক ভালো লাগলো।❤️❤️
দাদা প্রিন্সেপ ঘাটটি সত্যিই চমৎকার। এত চমৎকার একটি জায়গা আমার তো দেখেই যেতে ইচ্ছে করছে। আর রাতের ফটোগ্রাফি গুলো তো অসাধারণ হয়েছে। আর জেমস প্রিন্সেপ এত অল্প বয়সে এত গুণে গুণান্বিত হয়েছিলেন কি করে সেটাই ভাবছি। তার স্মরণে সত্যিই প্রিন্সেপ ঘাট টি দারুণ তৈরি করেছে।দাদা আপনারা নৌকায় করে ঘুরে বেড়ান নি? আমার তো খুবই জানতে ইচ্ছা করছে। আমি হলে তো নৌকায় একটু ঘুরে বেড়াতাম রাতের বেলা।সবাইকে খুবই সুন্দর লাগছে ।আর আপনাকে টি-শার্ট পরা অবস্থায় দারুণ লাগছে। বেশ মানিয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফার শেয়ার করার জন্য।
বাহ প্রিন্সেপ ঘাটে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দাদা । তবে এটার পিছনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জানতে পারলাম প্রিন্সেপ যে এত বড় একজন পাণ্ডিত্য ছিলেন ভারতের তা আজকে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম । যাই হোক আপনাকে বাংলা টি-শার্ট পরে ভালই দেখাচ্ছে দাদা। দুই দিদিকে একসাথে দেখতে পেলাম সাথে টিন টিন বাবু আছে দেখছি ।