Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৮
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৮
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২৭
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা ?
আশা করি সবাই সুস্থই আছেন ।
বহুদিন পরে আজকে ভোর ৬ টায় উঠেছিলাম । ভোরে উঠেই ভাবলাম যাই আজকে নিজের হাতে বাজার করে আসি । বছরে ২-১ দিন আমি নিজের হাতে বাজার করে থাকি । আজকে ছিল সেই স্পেশ্যাল দিন । আমার এক ভাইপোকে বললাম স্কুটি বের করতে, সেই চালালো । আমি কোনো কিছুই ড্রাইভ করতে পারি না । যদিও স্কুটিটা আমার নিজের নামেই রেজিস্ট্রেশন করা, কিন্তু আমি চালাতে জানি না ।
যাই হোক, বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম কাকা ভাইপো তে মিলে বাজারে । ঢাউস এক বাজারের ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলাম । প্রথমেই কিনলাম পাঁঠার মাংস । এরপর আমার ফেভারিট ব্রকোলি সহ বেশ কিছু টাটকা শাক-সবজি কিনলাম । তারপরে গেলাম মাছ বাজারে । কিনলাম জ্যান্ত পাঙ্গাশ (তনুজার প্রিয়), টাটকা বাটা মাছ, বাঁশপাতার মতো দেখতে বাঁশপাতা মাছ, আমার প্রিয় পুঁটি মাছ এবং মৌরালা মাছ । এরপরে একটা দেশি মুরগি কিনে বাড়ি ফিরলাম ।
বাড়ি ফিরে দুপুরে স্নান করে খেয়েই অসুস্থ বোধ করতে থাকলাম খুবই । মাত্র ২ দিন আগে করোনা থেকে উঠেছি । একটু সুস্থ হতে পুরো ৭ ঘন্টা লেগে গেলো । এখন একটু সুস্থ বোধ করছি । তাই এই পোস্টটি লিখতে পারছি ।
আজকের পর্বে থাকছে মেরিন লাইফ । ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীকুলের সংরক্ষিত স্টাফ করা দেহ এখানে শেয়ার করা হলো । আশা করছি ২-৩ পর্বে এটি সমাপ্ত করতে পারবো ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব সামুদ্রিক প্রাণীবর্গের স্টাফ করা দেহ থাকছে সেগুলো হলো :
১. কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক কাঁকড়া, গলদা, বাগদা চিংড়ি
২. সামুদ্রিক সী হর্স
৩. কিং ম্যাকারেল
৪. রামধনু রানার
৫. করাত মাছ বা সোর্ডফিশ
৬. সামুদ্রিক স্টার্জন মাছ
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
আর্থ্রোপোডা ও মলাস্কা পর্বের বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর সংরক্ষিত দেহ । এদের মধ্যে আছে বেশ কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক কাঁকড়া, গলদা, বাগদা চিংড়ি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সামুদ্রিক সী হর্স । এটি একটি অদ্ভুত সামুদ্রিক প্রাণী । এদের মুখমন্ডল হুবহু ঘোড়ার আকৃতির । এদেরকে মাছই বলা হয়ে থাকে কারণ এরা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য করে থাকে । এরা মেরুদন্ডী প্রাণী । সী হর্স পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী যাদের পুরুষেরা গর্ভধারণ করে থাকে ।কি অদ্ভুত তাই না ?
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কিং ম্যাকারেল । এগুলো কিন্তু আমরা সচারচর যেসব ম্যাকারেল খাই সেগুলো না । এগুলো আকারে বৃহৎ । ইন্দো-প্যাসিফিক সামুদ্রিক অঞ্চলে এদের বাস ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
রামধনু রানার । বৃহৎ সাইজের এই মাছ আসলে স্যালমন বা স্যামন প্রজাতির মাছ । গভীর সমুদ্রে আলো ছায়ার আঁধারিতে এদের গায়ে রামধনুর সাতটি রঙ খেলা করে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
করাত মাছ বা সোর্ডফিশ । সোর্ডফিশের সাইজ দেখে আমি সত্যি চমকে গিয়েছিলাম । এত্ত বড় । বাপরে বাপ্ । যে কোনো মাঝারি সাইজের বোট এদের লম্বা খাঁজ কাটা করাতের মতো ঠোঁট দিয়ে চিরে ফেলতে পারে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সামুদ্রিক স্টার্জন মাছ । সচরাচর যে সব নদীর স্টার্জন মাছ দেখা যায় তাদের চাইতে আকারে বিশাল বড় হয়ে থাকে এরা । আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে পৃথিবীর সব চাইতে ব্যয়বহুল খাবারের মধ্যে রয়েছে ক্যাভিয়ার । এই ক্যাভিয়ার হলো স্টার্জন মাছের ডিম ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা সত্যি নিজের হাতে বাজার করে খাওয়া মজটাই আলাদা।আমিও বাজার করি কারণ আমার ভাই ছোট সেইজন্য আর আব্বু নেই তাই আমার বাজার করতে হয়।দাদা বৌদির মতো আমারও খুব প্রিয় মাছ পাংগাস।
দাদা মিউজিয়ামের আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ।
এই মাছের ফটোগ্রাফি ও বিবরণ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইলো।
দাদা আপনি বছরে ২/১ একবার বাজার করেন এটা ঠিক আছে, কিন্তু আমার মনে হয় আপনার আরো কিছুদিন রেস্ট করে এরপর বাইরে যাওয়ার দরকার ছিল। যাই হোক নিজের পছন্দমত বাজার করলেন আমাদের সাথে শেয়ার করলেন
সেইসাথে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এস্টাপ করা সাবমেরিন প্রাণিজগতের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে সবচাইতে অবাক লেগেছে পৃথিবীতে সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাবার কেভিআর। আগে এটা জানতাম না, আজকে আপনার পোষ্ট থেকে জেনে নিলাম। আর একে কেভিয়ার খাবারটা হচ্ছে স্টার্জন মাছের ডিম। আসলে দাদা শিক্ষার কোন শেষ নেই, তবে আপনার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর স্টাফ করা প্রাণিজগতের ২৮ তম পর্বের সেও অনেক কিছু শিখতে পারলাম এবং প্রতিটি পোস্টে শিক্ষনীয় কিছু না কিছু বিষয় ছিল। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর করে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর এস্টাপ করা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম।
প্রথমেই আমি একটা বিষয় জেনে অবাক হয়েছিলাম যে আপনি বছরে দু'একবার বাজারে যান বাজার করার উদ্দেশ্যে। সত্যিই এটা রীতিমতো অবাক করা একটি ব্যাপার। যদিও আমি আপনার মতই বাসায় থাকা অবস্থায় কোনদিন বাজার করার উদ্দেশ্যে বাজারে যাই না তবে মেসে গেলে মাসে একবার বাজারের যেতেই হবে। খুবই কষ্টদায়ক এই বাজার করাটা। যাইহোক দাদা,
দেখতে দেখতে আমরা অনেকগুলো ভ্রমণ পর্ব শেষ করে ফেললাম দাদা। আপনার এই ভ্রমণ পর্ব গুলো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছিল ঠিক তেমনি ভাবে আজকে আপনি সামুদ্রিক প্রাণী বর্গের কিছু চিত্র আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখছি। সামুদ্রিক প্রাণী পর্বগুলো ছবি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। সামুদ্রিক স্টার্জন মাছ মত এরকম কালো মাছ আমি এর আগে কখনই দেখিনি। ধন্যবাদ দাদা এরকম সামুদ্রিক প্রাণী পর্বের মাছ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দেখতে দেখতে জাদুঘর ভ্রমণের 28 তম পর্ব চলে এলো। আর দেখতে তো আমরাও অনেক কিছুই অজানা বিষয় শিখলাম জানলাম। আজকে যে বিষয়গুলো দেখলাম তার আগে আমি কখনই দেখিনি । বইয়ের পাতায় এদের নাম শুনলেও কখনো দেখার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। যাই হোক আপনার পোস্ট মানে নতুন কিছু জানা ও অজানা কিছু শেখা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই দাদা
আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করছি দাদা 💚
আর এখন প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
আজকের ছবিগুলো বেশ দারুন ছিল।
শুভ কামনা রইল 🥀
সুস্থ হয়েছেন দাদা শুনে খুব ভালো ।আমি একটু অসুস্থ আছি।এখনো পুরো সুস্থ হয়নি । আজকে আপনার 28 নম্বর পর্বে মেরিন লাইফ স্টাফ করা প্রাণীদের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লেগেছে ।আপনার পর্ব গুলি মিছ করিনা অসুস্থ হয়েও । পরে যদি দেখতে না পাই ।তাই আগে আগে দেখার চেষ্টা করি ।আরও অপেক্ষায় থাকলাম দেখার ।সুস্থ থাকেন দাদা নিজের খেয়াল রাখেন ধন্যবাদ ।
দাদা আপনি যে ব্যস্ত মানুষ বাজার করতেই যাবেন কখন। আজকের মাছগুলোকে দেখেতো দানব মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে জ্যান্ত গিলে নিবে এখনি। ধন্যবাদ দাদা অনেক কিছু জানতে পারছি আপনার মাধ্যমে।
আপনি তো অনেকটা আমার মতো। তবে আমি শুধু সাইকেল ড্রাইভ করতে পারি। এবং বাঁশপাতা মাছটা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও খুবই সুন্দর।
সমুদ্র পৃথিবীর মধ্যে রহস্যময় একটি জায়গা। এবং এখানে বসবাস করা প্রাণীগুলো রহস্যময় হয়। সী হর্স প্রাণীটা দেখে কেমন যেন অদ্ভূত লাগে। দারুণ ছিল আজকের পর্বটা।
ভাইয়া অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন তাই এমন লাগছে। যাক এখন সু্স্থ জেনে ভালো লাগলো। আর বাজারে গিয়ে বাজার করেছেন,এতো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছেন তাই ভাবতে পারছিনা আমি।
আর কোনগুলো কী মাছ,কোন পর্বের প্রাণী তা কীভাবে মনে থাকে,কারন এতো গুলো পর্ব এতো গুলো প্রাণী নিয়ে কথা। যাক ভালোই আমি হলে সব ভুলে যেতাম😆