ঘূর্ণিঝড়ের শীতল আবহাওয়ায় মাঠের মধ্যে ঘোরাঘুরি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ২৯ ই মে ২০২৪ ইং
বেশ কয়েকদিন ধরে শুনছিলাম আমাদের দেশের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবেশ করবে। গতকাল বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবেশ করলে ও আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কোন আভাস পাওয়া যায় নি।আমি গতকাল আমার এক বন্ধু কে কল করছিলাম, সে মূলত খুলনায় থাকে।সে আমাকে বলেছিল যে, প্রচন্ড বাতাসের কারণে সে রুম থেকে বের হতে পারছে না। তবে, যখন আমি তার সাথে কথা বলি তখন আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে প্রচন্ড পরিমানে রোদ আর গরম।
একই দেশের এক পাশে গরম আর অন্য পাশে শীতল আবহাওয়া, এটা দেখে বেশ খারাপ লাগছিল। এবছর আমাদের এলাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ঝড় বৃষ্টি হয়নি। আমাদের এলাকার কৃষকেরা ঝড় বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু তাদের অপেক্ষার প্রহর এখন ও শেষ হচ্ছে না। কোন ক্রমেই আমাদের এলাকার মানুষ বৃষ্টির নাগাল পাচ্ছিলেন না। এটা আমাদের এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু আমাদের এলাকায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের এলাকার মধ্যে এবছর যে পরিমাণে হাঁড়িভাঙ্গা আমের ফলন হয়েছে, তাতে যদি একটু পরিমাণ বাতাস হতো তাতে আমাদের এলাকার কৃষকের হাঁড়িভাঙ্গা আমের অনেক ক্ষতি হয়ে যেত। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কোন ছিটা ফোটা আমাদের এলাকায় আসেনি, এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
তবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে আমাদের এলাকায় হালকা পরিসরে একটু বৃষ্টিপাত হয়েছে।তার সাথে বাতাস ও ছিল কিছু পরিমাণ।আর এই বাতাস আম বাগানের মধ্যে তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি। আমি ২৭ তারিখ বিকাল বেলা আমাদের মাঠের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম, ঘুরতে যাওয়ার মূল কারণ হলো শীতল আবহাওয়া উপভোগ করা।২৭ তারিখ বাংলাদেশের বেশ কয়েক জায়গার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। বেশ কয়েকটি জেলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি ও হয়েছে।
আমার বাড়ির একদম পাশেই বিশাল ফসলের মাঠ। এই মাঠের মধ্যে কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে থাকে। আমি সেদিন সারাদিন রুম থেকে বের হতে পারিনি, কেননা সারাদিন ঝিম ঝিম করে একটু বৃষ্টি পাত হচ্ছিল।আর এই বৃষ্টির জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার কোন সুযোগ হয়নি।আর বৃষ্টির সাথে হালকা পরিসরে বাতাস বয়ছিলো, তবে এই বাতাস কোন কিছু ক্ষতি করতে পারেনি।এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে আমাদের এলাকার মানুষের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি, এজন্য আমাদের এলাকার মানুষ খুশি।
আমাদের মাঠের মধ্যে একটি বিশাল বড় বট গাছ রয়েছে, আমি এই বটগাছের নিচে গিয়ে একটু রেস্ট ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করছিলাম। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে গরম পড়েছিল।আর হঠাৎ করে শীতল আবহাওয়া পেয়ে আমি অনেক বেশি খুশি। আমি বট গাছের নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সমস্ত মাঠের সবুজ শ্যামল দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।আর বাতাসে আমার শরীরের লোম গুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় সুন্দর আবহাওয়া উপভোগ করার পর বাসায় চলে আসি, কেননা একটু ঠান্ডা লাগলেই জ্বর হতে পারে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দেশের বেশ কয়েকটি জেলাতে ঘূর্ণিঝড় রেমলের প্রকোপ চললেও আমাদের অঞ্চলে আসলেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর এমন কোন আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়নি যদিও বা একটু একটু করে বাতাস বইছিল এবং রিমঝিম করে বৃষ্টি পড়ছিল। তবে এটুকু বলা যায় যদি অন্যান্য জেলাগুলোর মত আমাদের অঞ্চলেও সেরকম বাতাস বইতো তাহলে আমাদের অঞ্চলের কৃষকদের আমবাগানের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত। আসলেই একই দেশ কিন্তু কত রকমের বৈচিত্র বিদ্যমান। যাইহোক আপনি আপনার ফসলের জমিতে ঘুরতে গিয়ে শীতল বাতাসে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এরকম সুন্দর একটি অনুভূতির বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের ওদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কোন প্রভাব পড়েনি জেনে ভালো লাগলো। হালকা বৃষ্টিপাত আর বাতাস মোটামুটি সব জায়গাতেই ছিল। আপনি ঠান্ডা ওয়েদারে বেশ দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ঝড়ের খুব বেশি প্রভাব না পড়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষগুলোর কিন্তু অনেক ক্ষতি হয়েছে। যাইহোক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালে আপনার এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জেনে ভালো লাগলো। রংপুর হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত। ঘূর্ণিঝড় সেই আমের ক্ষতি করতে পারেনি-আনন্দের খবর। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে শীতল আবহাওয়ায় ঘোরাঘুরির পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। পোস্টে গ্রাম বাংলার দারুণ সব ছবি শেয়ার করেছেন। শীতল দিনে ঘোরাঘুরি করতে ভালই লাগে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রামীণ প্রকৃতি উপভোগ করতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনিও দেখছি আপনাদের বাড়ির পাশেই মাঠের ভেতরে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের দিনে মেঘলা মেঘলা পরিবেশে বটগাছের নিচে বসে চারদিকের প্রকৃতি উপভোগ করেছেন। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বেশ ভালই বৃষ্টি হয়েছে সব জায়গায়। বট গাছটি বেশ বড়। এধরনের বট গাছের ছায়ায় বসে থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। শীতল আবহাওয়া বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কিন্তু বেশ শীতল বাতাস অনুভব করেছি আমরা। যাইহোক সেই মুহূর্তে আপনারা ঘোরাঘুরি করেছেন এবং বিস্তারিত সেই বিষয়ে আলোচনা করেছেন দেখে ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ওই মুহূর্তের কথাগুলো।
কি অদ্ভুত শুনে অবাক হয়ে গেলাম। পুরো দেশে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে মানুষ অনেক আতঙ্কে ছিলো। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে। এত ভয়ঙ্কর একটি ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব আপনাদের এলাকায় কোন প্রভাব পড়েনি শুনে বেশ অবাক লাগলো। যাক বেঁচে গেলেন তাহলে হাড়িভাঙ্গা আমের দুর্গতি হতো এই ঘূর্ণিঝড়ে। আর আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। যদি একটু বৃষ্টি হতো তাহলে কৃষকদের জন্য অনেক ভালো হতো।
দেশের অনেক জায়গায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব দেখা গেলেও আপনাদের রংপুরে তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি জেনে ভালো লাগলো। আসলে বৃষ্টিপাত ভালো কিন্তু ঝড় হলে সেটা অনেক ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসে। তাই এদিক থেকে বলা যায় আপনাদের এলাকাটা মোটামুটি ঠিক আছে। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এবারে গরমের ব্যাপার টা আমাদের এলাকায়ও এইরকম হয়েছে। অর্থাৎ সবদিকে বৃষ্টি হয় কিন্তু আমাদের এলাকায় হয় না। কী একটা দুঃসহনীয় অবস্থা চিন্তা করেন। বিকেল টা আপনার এবং আপনার বন্ধুর বেশ ভালো কেটেছে মনে হচ্ছে। দারুণ লাগছে দৃশ্যগুলো। একেবারে ছবির মতো সুন্দর একটা গ্রামের দৃশ্য।