নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারিতে একদিন (দ্বিতীয় পর্ব)

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির বীজের মান সম্পর্কে আলোচনা করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আপনাদের মাঝে আমি ইতোমধ্যে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি।আশা করছি আপনারা সকলেই প্রথম পর্বের পোস্ট টি ভালো ভাবে পড়েছেন এবং নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আসলে সঠিকভাবে বীজ সংগ্রহ করতে না পারলে, সে বীজ থেকে উপযুক্ত ফলাফল আশা করা যায় না কখনো।নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি খুবই সুন্দর করে বীজ উৎপাদন করে থাকে। আমাদের রংপুর জেলার মানুষ নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি‌ কে অন্ধের মত বিশ্বাস করে। এখন পর্যন্ত এই নার্সারির তেমন কোন খারাপ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। আমাদের রংপুর জেলা‌ ছাড়া ও বাংলাদেশের আরো বেশ কয়েকটি জেলায় এই নার্সারির সুনাম রয়েছে।

কৃষি চাষে লাভবান না হ ওয়ার মূল কারণ হলো সঠিক সময়ে সঠিক জাত ও চারা বাছাই না করা। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ কৃষক এই ভুলের জন্য অনেক টা লসের মধ্যে পড়েছে। বর্তমান সময়ে কৃষি কাজ করতে হলে সর্ব প্রথম আমাদের কে সঠিক জাতের চারা বাছাই করতে হবে।নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি কৃষকের চিন্তা মাথায় রেখে সঠিক জাত ও সঠিক মানের চারা উৎপাদন করে থাকে।আর বাংলাদেশের সর্বপ্রথম নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি মাটি ছাড়া চারা উৎপাদন করে।আর আগে অন্য আর কোন নার্সারি মাটি ছাড়া চারা উৎপাদন করতে সক্ষম হননি। উপরে আপনারা যে জলপাই এর চারা গুলো দেখতে পারছেন, এগুলো মুলত উন্নত মানের চারা। আপনারা চাইলে ও বাংলাদেশের অন্য কোন নার্সারিতে এই চারা গুলো কখনো খুঁজে পাবেন না।

এই নার্সারির মধ্যে ফল, ফুল ও সবজি সহকারে প্রায় সব ধরনের চারা পাওয়া যায়।আর এই চারা গুলো মাটি বিহীন উৎপাদন করা হয় একদম উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আপনি যদি এই নার্সারির মধ্যে প্রবেশ করেন, তাহলে আপনার মনে হবে আপনি কোন সবুজের সমারোহে ঢুকে পড়েছেন। চারদিকে শুধু মাত্র সবুজের সমাগম।যে দিকেই তাকাবেন সে দিকেই সবুজ গাছের চারা দিয়ে ভরপুর।এই নার্সারি টি বর্তমান সময়ে আমাদের এলাকার একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অনেকেই এই নার্সারির মধ্যে তাদের প্রিয়জন কে নিয়ে ঘুরতে যায়। ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে এই নার্সারি টি অনেক বেশি ভালো লাগে। ভিতরে প্রবেশ করলে মনের ভেতর আলাদা রকম শান্তি কাজ করে। উপরে আপনারা যে চারার ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত কমলার বীজের ফটোগ্রাফি।এই কমলা টি মূলত ভারতীয় একটি কমলার বীজ। আপনারা চাইলে ও অন্য কোন নার্সারিতে এই বীজ পাবেন না।

এই নার্সারির একটি জিনিস আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, সে জিনিস টি হলো, এই নার্সারির বেশিরভাগ বীজ ভারতের। আমরা হয়তো সকলেই অবগত আছি যে, ভারতের বীজ পৃথিবীর সব থেকে ভালো। কেননা ভারতের যে কোন ধরনের ফলের মধ্যে অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়।এই জিনিসটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। উপরে আপনারা যে বীজের ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন এটি মূলত ভারতের একটি বড়োই গাছের বীজ। আপনারা হয়তো অনেকেই বাংলাদেশের বেশ কয়েক ধরনের বড়োই খেয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত হয়তো অনেকেই ভারতীয় খাননি। আপনারা ভারত এবং বাংলাদেশের দুটি বড়োই একসাথে খেয়ে দেখতে পারেন। তারপর বুঝতে পারবেন কোন টি সেরা। আসলে আমি ও এখন পর্যন্ত ভারত সুন্দরী বড়োই টি খাইনি। তবে, মানুষের মুখে শুনেছিলাম অনেক টেস্ট রয়েছে এই বড়োই এর মধ্যে।

অন্যান্য নার্সারি থেকে যে কোন ধরনের চারা সংগ্রহ করলে সেই চারায় ফুল অথবা ফল আসতে সময় লাগে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ দিন। কিন্তু নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারিতে অনেক টা ভিন্ন।নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির প্রতিটি বীজের মধ্যে ফুল এবং ফল আসতে সময় লাগে শুধু মাত্র বিশ থেকে পঁচিশ দিন মাত্র। এরকম সুযোগ সুবিধা আপনারা আর অন্য কোন নার্সারিতে কখনোই পাবেন না।নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির বীজ গুলো দেখলে মনে হয় এই বীজ গুলোর মধ্যে এক ধরনের ম্যাজিক রয়েছে। তবে নাশিকের পেপে চারা বর্তমান সময়ে সারা বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির প্রতিটি পেপে চারার মধ্যে ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ফুল চলে আসে। এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। অন্যান্য নার্সারি কখনোই আপনাকে এতো সুযোগ সুবিধা দিতে পারবে না। আমার কাছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি সব নার্সারির মধ্যে সেরা।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।