ভ্রমণ পোস্ট: নাগেরহাট নদীতে একদিন
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ৫ ই জুন ২০২৪ ইং
ঘোরাঘুরি করা বর্তমান আমার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে।একটু ফাঁকা সময় পেলেই কোথাও ঘুরতে না গেলে ভালোই লাগে না।আর বিকাল বেলা কোথাও ঘুরতে বের গেলে একটু বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে বিকাল বেলা সবুজ প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করলে একটু বেশি ভালো লাগে। বেশ কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া একটু ঠান্ডা রয়েছে, খুব বেশি ঠান্ডা ও নয়, আবার খুব বেশি গরম ও নয়।এক কথায় বর্তমানের আবহাওয়া হচ্ছে সমভাবাপন্ন। আসলে এরকম আবহাওয়ার মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে বের হলে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। কেননা এরকম আবহাওয়ার মধ্যে সবুজ প্রকৃতি আমাদের কে অনেক টা স্বস্তি দেয়।যারা এরকম আবহাওয়ার মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছেন, তারা এটি সম্পর্কে অবগত আছেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হচ্ছিল না।তাই ভাবলাম ভালো কোথাও ঘুরতে যাবো। এরপর আমি আমার এক বন্ধু কে কল করে বললাম কোন এক জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার কথা। এরপর সে আমাকে আইডিয়া দেয়, নাগেরহাট ব্রিজের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে। কেননা নাগেরহাট ব্রিজের নদীর মধ্যে বর্তমান সময়ে তেমন একটা পানি নেই, আমরা চাইলে পুরো নদীর চরে ঘোরাঘুরি করতে পারবো। এরপর আমি তার কথায় রাজী হয়ে নাগের হাট ব্রিজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেই।
বেশ কিছুক্ষণ সময় পর আমার বন্ধু রেডি হয়ে আমার বাসায় চলে আসে। এরপর আমি ও প্রস্তুত হয়ে গেলাম কিছুক্ষণ এর মধ্যেই। এরপর আমরা বের হয়ে পড়লাম নাগেরহাট ব্রিজের মধ্যে যাওয়ার জন্য।এখন আমরা আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লাম , কেননা আমাদের ভ্যান কিংবা অটোরিকশার মাধ্যমে আগে পদাগঞ্জ বাজার পর্যন্ত যেতে হবে। আমাদের বাসা থেকে নাগেরহাট ব্রিজের দুরুত্ব প্রায় দশ কিলোমিটার। এখন আমরা একটি ভ্যানের মাধ্যমে পদাগঞ্জ বাজারে চলে আসলাম।
এরপর আমরা নাগেরহাট ব্রিজের মধ্যে আসার জন্য একটি অটোরিকশা ঠিক করে নিলাম। পদাগঞ্জ বাজার থেকে নাগেরহাট ব্রিজের দুরুত্ব প্রায় ছয় থেকে সাত কিলোমিটার হবে। অটোরিকশা ওয়ালা মামা বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে আমাদের কে নাগেরহাট ব্রিজের মধ্যে এসে নামিয়ে দেয়। আমরা অটোরিকশা ওয়ালা মামা কে ভাড়া দিয়ে ব্রিজের নিচে নেমে গেলাম। নদীতে একদম পানি ছিল না, চারদিকে চর ভেসে উঠেছে।পুরো নদী টি বালুময়। চারদিকে শুধু বালুর চর ভেসে উঠেছে।
আমরা বালুর চরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিলাম। আসলে বালুর উপর দিয়ে হাটা চলা করা খুবই কষ্টকর। আমরা কষ্ট উপেক্ষা করে বালুর উপর দিয়ে হাটা চলা করছিলাম।আর সেদিন আবহাওয়া টি অনেক ঠান্ডা ছিল, নদীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বাতাস ছিল।সে জন্য আমরা কষ্ট কে কষ্ট মনে করিনি। বর্তমান সময়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ চলছিল। অনেকেই নদীর পয়েন্ট কিনে নিয়ে বালুর ব্যবসা করছিল। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় বালু উত্তোলন করা দেখছিলাম।বালু উত্তোলন করা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। বিশেষ করে নদী থেকে ট্রাক উঠার দৃশ্য টি অনেক বেশি ভালো লাগছিলো আমার কাছে।
আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে নদীর চরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করলাম। নদীর চরের মধ্যে বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। এরপর আমরা নদীর চর থেকে একটু উপরে উঠে পড়লাম।এই জায়গাটি মূলত নদীর একটি অংশ। তবে, এই জায়গাটির মধ্যে বালু নেই।এই চরের মধ্যে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করে থাকে।এই চরের মধ্যে উঠে দেখতে পারলাম একজন কৃষক তার জমিতে ধান কাটছিল। তার ধান কাটার দৃশ্য দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘোরাঘুরি করে বাসায় চলে আসি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
ঘুরাঘুরি করতে আমি নিজেও অনেক বেশি ভালোবাসি। আর নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে তো আমার কাছে আরো অনেক বেশি ভালো লাগে, যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। ঘুরাঘুরি করলে মন মাইন্ড দুটোই একেবারে ফ্রেশ থাকে। আপনি তো দেখছি খুব সুন্দর একটা জায়গায় গিয়েছিলেন এবং আপনার বন্ধুর সাথে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। এরকম জায়গাগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা আমি ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। অনেক সুন্দর করে আপনি পুরো মুহূর্তটা শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সময়ের সাথে সাথে নদী-নালা শুকিয়ে যাচ্ছে। আগের মত তাদের সেই রূপ দেখতে পাচ্ছি না। পদ্মা নদীর বেহাল অবস্থা আপনার ঘুরাঘুরির নাগের হাট নদীর দৃশ্য দেখে খুবই খারাপ লাগলো। যেখানে পানি নেই বললেই চলে। যাইহোক, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঘোরাঘুরি করতে আমারও আপনার মত অনেক বেশি ভালো লাগে একটু সময় পেলেই ঘোরাঘুরি করতে চলে যাই। তবে ঠিক বলেছেন বিকেল বেলায় একটু সবুজ প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করলে বেশি ভালো লাগে। নদীটা আমারও বেশ ভালো লাগে সেজন্য সময় পেলেই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করি। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো
ব্রিজ টা দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিল আসলে নদীর আশেপাশে আমিও মাঝেমধ্যে ভ্রমণ করতে যাই। কারণ ওদিকে অনেক সুন্দর আবহাওয়া এবং বাতাস থাকে আমাদের এদিকে একটা নদী রয়েছে তবে ওটার তুলনায় এই নদীটা মনে আছে আরো বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আমার সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গেছিলেন। নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত আমার খুবই ভালো লাগে দেখতে। বেশি দারুন ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট। এর কথা বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে আপনার ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট।
অবসর সময় পেলে ঘোরাঘুরি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর ঘুরাঘুরি করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে এরকম সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর সুন্দর সময় কাটানো যায়। ভাই আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।
নাগেরহাট ব্রিজের নিচের অবস্থা দেখে আমি খুবই মর্মাহত। এই সময়েও নদীতে পানি নেই,নদী শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে গেছে। এভাবে নদী হারিয়ে গেলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কপালে দুঃখ আছে। ধন্যবাদ।
ভ্রমণ করতে সবারই অনেক ভালো লাগে। ভ্রমণের ফলে শরীর এবং মন ভালো থাকে। আপনি খুব সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন। নদী কিংবা সমুদ্র ভ্রমন আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক ভালো লাগলো। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ ভালো বলছেন এখন ওয়েদারটা বেশ ভালো আছে বেশি গরমও না বেশি ঠান্ডাও না। এরকম আবহাওয়াতে ঘোরাঘুরি করলে ভালো লাগবে। আপনি নাগেরহাট নদীতে ঘুরতে গেলেন। যদিও নদীর নামটা কখনো দেখিনি শুনিনি। নতুন একটি নদীর নামের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। আপনারা বেশ ঘোরাঘুরি করলে ভালো লাগলো। নদীর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।