ভ্রমণ পোস্ট: শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাটগ্রাম ভ্রমণ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং
আমরা আমাদের সকল বন্ধুরা সহ ঈদের বেশ কয়েকদিন আগে প্লান পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম, ঈদে বাসায় গিয়ে সকল বন্ধুরা সহ একদিন একটি লম্বা ট্রেন জার্নি করবো। আমার ছোট বেলার সকল বন্ধু বান্ধব এখন বাহিরে থাকে।তাই চাইলে যখন তখন বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করা হয় না। অনেকেই বাহিরে গিয়ে লেখাপড়া করতেছে, আবার অনেকেই আছে নিজের কর্ম সংস্থানের জন্য বাহিরে গিয়েছেন। আসলে ছেলে মানুষের জীবন অনেকটা কঠিন। ছেলে মানুষ কে সব সময় পরিবারের চিন্তা মাথায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হয়।যাই হোক আমরা এবছর ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলিত হতে পেরেছি। এরপর আমরা ভাবলাম সকল বন্ধুরা সহ কোথাও ঘুরতে যাবো।
সকল বন্ধুরা সহ পাটগ্রাম উপজেলার সকল দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করার পরিকল্পনা করে ফেললাম। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এরপর আমরা ঘোরাঘুরি করার দিন টি ঈদের পর দিন সিলেক্ট করে নিলাম। কেননা অন্যান্য দিনের থেকে ঈদের পর দিন রাস্তা ঘাটে মানুষের ভিড় একটু কম থাকে। আসলে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ট্রেন জার্নি করা। এখন আমরা ঈদের পরদিন সকাল সাতটার মধ্যে শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকল বন্ধুরা এক সঙ্গে পৌঁছে গেলাম। কেননা পাটগ্ৰামের ট্রেন সকাল সাতটার মধ্যে ছেড়ে দেয়। আমরা মোট চারজন বন্ধু ছিলাম, এরপর স্টেশন থেকে চারটি টিকেট নিয়ে আসলাম।
এরপর স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ট্রেন টি চলে আসে।যখন ট্রেন টি শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পৌছায় তখন ট্রেন টি একদম ফাকা ছিল। ট্রেনটি একদম ফাকা ছিল, আমরা চারজন বন্ধু এক সাথে উঠে বসলাম।এই ট্রেনটির নাম ছিল বুড়িমারী কমিউটার। অনেকেই বিনা টিকিটে এই ট্রেনের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে।আর এই ট্রেনের মধ্যে টিকেট চেক করার মতো কোনো কমান্ডার ছিল না।
আবার যখন ট্রেনটি লালমনিরহাট জংশনের মধ্যে পৌছায় তখন ট্রেনের মধ্যে যাত্রী সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। এভাবে আস্তে আস্তে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই থাকে।এক পর্যায়ে ট্রেনে অবস্থান করার মতো জায়গা হচ্ছিল না আমাদের। কিন্তু কি আর করার কষ্ট করে হলেও যেতে হবে আমাদের।আমি মনে করি আমরা ছাড়া হয়তো আর কেউ টিকেট ক্রয় করে এই ট্রেনে উঠেনি। সকল যাত্রী বিনা টিকিটের । যাইহোক একটু পর রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।আর তখন ট্রেনের ভিতরে অবস্থান করা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। আসলে এরকম বাজে ভাবে আর কোনদিন ট্রেন জার্নি করা হয়নি। আমরা ভাবছিলাম হয়তো ঈদের পরদিন মানুষের ভিড় কম থাকবে, কিন্তু তার বিপরীত টি আমাদের সাথে ঘটে।
শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের দুরত্ব প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। আসলে এতো দুর পথ এতো কষ্ট করে যাওয়া খুবই কষ্টকর। প্রায় পাঁচ ঘন্টা কষ্ট করার পর আমরা পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পৌঁছে যায়। আমরা যখন পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে পড়লাম তখন আমাদের মনের মধ্যে অন্যরকম একটি স্বস্তি কাজ করেছিল। কেননা ট্রেনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ গরম ছিল, আর তার সাথে মানুষের ভিড়ের কারণে একটু বেশি গরম লেগেছিল। চলন্ত ট্রেনের মধ্যে একজন মহিলা মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। যাইহোক আমরা ঠিক ভাবে পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছি, এজন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
আজকে এখানেই শেষ করছি।দেখা হবে আবার পরবর্তী ব্লগে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার সেদিনে ভ্রমনের কথাটা সবসময় মনে থাকবে কেননা এতো সুন্দর এবং এভাবে সকলে মিলে এমন একটা জায়গায় যাওয়া সত্যি অনেক আনন্দের। ভ্রমণ একটি অদৃশ্য শিক্ষার মাধ্যম। এটি আমাদেরকে অনভিজ্ঞতা থেকে মুক্ত করে, নতুন সম্পর্ক ও স্থানের সাথে আমাদের সংস্পর্শ দেয়, বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
ভ্রমণ আমাদের জীবনে একটি সুন্দর অধ্যায় যেটি অনেক রহস্য, স্বপ্ন এবং আনন্দের মুখ খোলে। যেখানে প্রতিটি ঘটনা নতুন অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষার সুযোগ দেয়।