লাইফস্টাইল: দীর্ঘ দিন পর নদীতে গোসল করা

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে দীর্ঘ দিন পর নদীতে গোসল করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

নদীর মধ্যে গোসল করতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বাংলাদেশের মধ্যে খুবই কম রয়েছে।এ বছর যে পরিমাণে গরম পড়েছিল তাতে, নদীর মধ্যে গোসল করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। এবছর অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন ধরনের নদ নদী গুলোর মধ্যে ভিড় লেগে গিয়েছিল। প্রত্যেকেই প্রচন্ড গরমের কারণে নদীর মধ্যে গোসল করছেন এবছর। তবে, যারা সাতার জানেন না তাদের জন্য নদীতে গোসল করা কিছু টা কষ্টকর।তারা চাইলে ও নদীর মধ্যে গোসল করতে পারবে না।যারা নদীর মধ্যে গোসল করেছেন, শুধুমাত্র তারাই নদীর মধ্যে গোসল করার আনন্দ বুঝতে পারবেন।আর যারা সাতার জানেন কিন্তু নদীর মধ্যে গোসল করেননি এখনো, তারা চাইলে আপনাদের নিকটবর্তী নদীতে গোসল করতে পারেন।

ছোট বেলায় নদীতে গোসল করা আমার এক ধরনের নেশা ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর আগের মতো নদীতে গোসল করা হয় না। বছরে দুই একদিন গ্ৰামের সকল ছেলেরা সহ গোসল করা হয়। কিন্তু ছোট বেলায় আমি প্রায় প্রতিদিনই নদীর মধ্যে গোসল করেছিলাম। কিন্তু ছোট বেলার নেশা টি আর নেই আমার মাঝে। এখন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে, এজন্য এখন আর তেমন নদীর মধ্যে গোসল করার সময় সুযোগ হয়ে উঠে না।

বেশ কিছুদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে গরম পড়ছিল।আর এই গরমের কোথাও শান্তি মত স্থির থাকা সম্ভব হচ্ছিল না।তাই আমি ভাবলাম গ্ৰামের সকল ছেলেদের কে নিয়ে আমাদের পাশ্ববর্তী একটি নদীতে গোসল করতে যাবো। এরপর আমি গ্ৰামের বেশ কয়েকজন ছেলে কে নদীতে গোসল করার কথা বলেছিলাম। এরপর তারা সকলেই গোসল করতে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। আসলে এবছর এর আগে কোনদিন নদীর মধ্যে গোসল করা হয়নি।তাই আমি বলার সাথে সাথেই গোসল করতে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়।

বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে আমরা সকলে গোসল করার প্রস্তুতি নিয়ে গোসল করতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে পড়লাম। আমরা মোট চারজন গোসল করার জন্য বের হয়েছিলাম। আমাদের গ্ৰাম হতে আমাদের নদী প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।আর এই নদীটি আমাদের গ্ৰামের মাঠের একদম মধ্যখানে অবস্থিত।তাই আমাদের কে এই নদীর মধ্যে হেঁটে হেঁটে যেতে হবে। কারণ এই রাস্তার মধ্যে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করে না। আমরা চারজন গল্প করার মাধ্যমে হাটা শুরু করলাম।

আসলে কয়েক জন মানুষ একসাথে হাঁটাচলা করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা চারজন বেশ কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের নদীর মধ্যে পৌঁছে গেলাম। নদীর মধ্যে গিয়ে দেখতে পারলাম, নদীতে বেশ ভালোই পানি হয়েছে। আসলে কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হ ওয়ার কারণে এতো গুলো পানি হয়েছিল। নদীর পানি দেখে সকলেই অনেক খুশি। এরপর আমরা ধারাবাহিক ভাবে সকলেই নদীর মধ্যে লাফ দিলাম। নদীতে লাফ দেয়ার পর আমার অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। কেননা প্রচন্ড গরমের মধ্যে নদীর পানি গোসল করলে অনেক বেশি স্বস্তি পাওয়া যায়।

আমরা সকলে মিলে নদীর পানির মধ্যে অনেক বেশি মজা করছিলাম। আসলে দীর্ঘ দিন পর নদীর পানিতে গোসল করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। এরপর আমরা নদীর মধ্যে একটি মৃত গাছ খুঁজে পেয়ে গেলাম। আমরা এই গাছ টি অনেক বেশি মজা করছিলাম। পানির মধ্যে গাছ টি দাঁড় করিয়ে আমরা গাছটির উপর উঠার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কেউ আমরা এই গাছের উপর সফলভাবে উঠতে পারিনি। কেননা গাছটির উপর উঠার সময় গাছ টি পানির মধ্যে পড়ে যায়। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় গোসল করলাম, অনেক মজা হলো আমাদের। এভাবে কিছুক্ষণ গোসল করার পর গোসল শেষ করে নদী থেকে বাসায় চলে আসি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।