জেনারেল রাইটিং: অনলাইন জুয়া
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ২৪ ই জুন ২০২৪ ইং
সময়ের সাথে সব কিছুর পরিবর্তন ঘটায়। আগে মানুষ যে কোন আড়ালে বসে জুয়া খেলতো কিন্তু বর্তমানে এটি পুরোপুরিভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে মানুষ ঘরে বসেই অনলাইন জুয়া খেলছে। আসলে অনলাইন আমাদের কতটুকু ভালো কিছু উপহার দিচ্ছে আর কত টুকু খারাপ কিছু উপহার দিচ্ছে, তা আমাদের রিসার্চ করে দেখার বিষয়। বর্তমান আমরা যদি অনলাইন নিয়ে রিসার্চ করে দেখি তাহলে দেখতে পারবো, অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশের অনেক পরিবারের কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে, আবার দেখা যাবে কেউ কেউ অনলাইনের মাধ্যমে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এটির মূল কারণ হলো কেউ কেউ অনলাইন টি সঠিক পন্থা অবলম্বন করে ব্যবহার করছে। আবার কেউ কেউ এই অনলাইন কে নেতিবাচক হিসেবে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান অনলাইন জুয়ার উপক্রম টি অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের যুবক ছেলে মেয়েরা এই কাজের মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এই কাজের মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটির ও অধিক ছেলে মেয়েরা এই অনলাইন জুয়ার মধ্যে আসক্ত। আসলে এই অনলাইন জুয়া আমাদের যুব সমাজ কে একদম নষ্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।এক সময় আমরা শুধু মাত্র তাস খেলা কে জুয়া মনে করতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনলাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জুয়ার অ্যাপস চালু হয়েছে।আর এই অ্যাপস গুলোর বিজ্ঞাপন ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন সোচাল মিডিয়ার মধ্যে।
আর এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখে অনেক যুবক ছেলে মেয়েরা লোভে পড়ে সেই জুয়ার অ্যাপস গুলোর মধ্যে একাউন্ট তৈরি করছে।এক সময় তারা অধিক হারে লোভের মধ্যে পড়ে একদম নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। উদাহরণ হিসেবে আমি আমাদের এলাকার একটি ছেলের কথা বলি, বেশ কিছু দিন আগে আমাদের খোড়াগাছ পাইকাড় হাট বাজারে একটি ছেলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চ অফিস চালু করে। বিশেষ করে সে এলাকার মানুষের বিদ্যুৎ বিল গুলো লেনদেন করছিল।একদা সে দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে এই অনলাইন জুয়ার মধ্যে পুরো টাকা গুলো ডিপোজিট করে। পরবর্তীতে সে পুরো টাকা হারিয়ে ফেলে এই অনলাইন জুয়ার মধ্যে।
পরবর্তীতে সে এলাকা ছেড়ে অনেক দূরে পালিয়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই অনলাইন জুয়া নামক ফাদ থেকে বেরিয়ে আসা। আসলে এখন পর্যন্ত অনলাইন জুয়া খেলে কেউ তেমন কিছু করতে পারেনি।আর বিশেষ করে যখন আইপিএল, বিপিএল ও বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয়ে যায়, তখন এই খেলার উপক্রম অনেক টা বৃদ্ধি পায়। তখন তারা তাদের প্রিয় টিমের পাশে জুয়ার অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা লাগিয়ে দেয়। বর্তমান সময়ে টিটুয়েন্টি ক্রিকেট খেলা চলছে, আর এই ক্রিকেট খেলা উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে চলছে অনলাইন জুয়া।
এই অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে আমাদের দেশের টাকা বাহিরের দেশের মধ্যে চলে যাচ্ছে।এতে করে আমাদের দেশের অনেক টা ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।তাই আমাদের উচিত এইধরনের অনলাইন জুয়া থেকে বের হয়ে আসা।অসৎ পথ অবলম্বন করে টাকা উপার্জন করলে সেই টাকার কোন মূল্য থাকে না।আর অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে খুবই কম পরিমাণ মানুষ টাকা উপার্জন করতে পেরেছে। আমাদের সকলের উচিত এই অনলাইন জুয়া থেকে বিরত থাকা এবং অন্যদের কে এই অনলাইন জুয়া নামক ফাদ থেকে বের করে নিয়ে আসা।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ্ দারুন একটি টপিক নিয়ে পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া।অনলাইন জুয়া বর্তমান বেশ ট্রেডিং এ রয়েছে।তরুণ প্রজন্ম তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে এখানে।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই অনলাইনের যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে।তবে আমরা মানুষরা লোভে পরে খারাপ দিকটাই কাজে লাগাই।এই জুয়ার কারনে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে কিংবা খারাপ দিকে এগুচ্ছে ।
পোস্টটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সমাজ সচেতনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। অনলাইন জুয়া বর্তমানে বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক যে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে অনেক তরুণ তাদের মূল্যবান সময় ও অর্থ হারাচ্ছে, এবং শেষ পর্যন্ত নিজেদের ও পরিবারের বিপর্যয় ডেকে আনছে
এটা খুবই বাজে একটি কাজ যারা অনলাইনে জুয়া খেলতেছে। আমি একদিন শুনে অবাক কান্ড। শুনেছি এক ভাইয়া নাকি অনলাইনে জুয়া খেলে সব টাকা শেষ করে ফেললো। সত্যি তো আগে মানুষ চুরি করে জুয়া খেলতো এখন দেখি ঘরে বসে একদম জুয়া খেলতে পারে। নেটওয়ার্ক জগতের জন্য খুবই খারাপ একটি প্রভাব। ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে। আসলে আমাদেরকে সাবধান উচিত।
আমার সবচাইতে বেশি খারাপ লাগে যখন দেখি অনেক ক্রিকেটার অনেক সেলিব্রেটি রা এসব বেটিং অ্যাপস এর প্রচার করছে। গ্রামের দিকে এই অনলাইন জুয়ার প্রভাব খুবই প্রখর। এবং এর পরিণাম মোটেও ভালো না। একটা কথা বলে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু। জুয়ার এই ব্যাপার টা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই ভয়ঙ্কর জগত থেকে দূরে থাকা। অনলাইনে জুয়া খেলার যে ফাঁদ পাতা হয়েছে এটা খুবই ভয়ঙ্কর। আমরা নিজেরা যদি সচেতন হই তাহলে এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারি। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো তুলে ধরেছেন।
এই অনলাইন জুয়া একেবারে খারাপ একটি খেলা এবং আমাদের এখানকার অনেকেই দেখছি এই গেমটি খেলছে৷ এই গেমটি খেলে তারা অনেক টাকা ইনভেস্ট করছে এবং অনেক টাকা লাভ করে নিচ্ছে৷ যেভাবে তারা একের পর এক যে জুয়ার গেমগুলো রয়েছে সেগুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে তা দেখে একেবারে ভয় হচ্ছে৷ তারা প্রতিনিয়ত এর মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই করছে৷ আসলে হয়তো তাদের কাছে এটি ক্ষণিক সময়ের আনন্দ হতে পারে৷ তবে একটা সময় হয়তো তারা তাদের সব কিছুই হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবে৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷