ভ্রমণ: ঈদের দিন নাগের হাট ব্রিজের মধ্যে ঘুরতে যাওয়া
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ১৮ ই জুন ২০২৪ ইং
সবাই কে ঈদ মোবারক।
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি।আর ঈদ চলে আসলেই মুসলমানদের মনের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ কাজ করে।তারা বছরে দুটি ঈদের দিনে আনন্দ উপভোগ করে থাকে।আর এই মুসলিম উম্মাহর শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আসে। আসলে ঈদ মুলত বছরে দু'বার আসে।আর এই দুটি ঈদ আমাদের দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দেয়।ঈদ মুলত মুসলমানদের সব থেকে বড় উৎসব। এই উৎসব টি মুসলমানরা বিভিন্নভাবে পালন করার চেষ্টা করে। তবে ঈদের দিন যারা যুবক ছেলে মেয়েরা রয়েছে, তারা তাদের এলাকার দর্শনীয় স্থান গুলো ভ্রমন করার চেষ্টা করে।আর ঈদের দিন দর্শনীয় স্থান গুলো বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে তোলে। এতে করে দর্শকদের সমাগম হয়। সকল মুসলমান ঈদের দিন সকল দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করে। এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের দিন ধনী গরীব সকলেই একত্রে হয়ে আনন্দ উপভোগ করে।
ঈদের দিন আমার ঘোরাঘুরি করা তেমন একটা পছন্দের না। ঈদের দিন ঘোরাঘুরি করা আমার কাছে কিছু টা রিস্কি মনে হয়। কেননা ঈদের দিন অনেকেই মনের আনন্দে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালায়।এতে করে বড় ধরনের এক্সিডেন্ট হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।আর ঈদের দিন জীবনের রিস্ক না নিয়ে বাড়িতে বসে থাকাটা অনেক ভালো। কেননা ঈদের দিন অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে যায়, অতিরিক্ত আনন্দের কারণে। আমাদের গ্ৰামের বেশ কিছু ছেলে ঈদ উপলক্ষে বাসায় চলে এসেছে। দীর্ঘ দিন পর তারা বাসায় এসে ঈদের দিন ঘোরাঘুরি করার পরিকল্পনা করে।
আসলে দীর্ঘ সময় পর গ্ৰামের বাসায় চলে আসলে চারদিকে একটু ঘোরাঘুরি করতে মন চায়।তারা মুলত আমাদের এলাকার একটি ব্রিজের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।আর এই ব্রিজটির নাম হচ্ছে নাগের হাট ব্রিজ।এই ব্রিজ টি নাগের হাট বাজারের একদম পাশেই অবস্থিত।আর আমাদের বাসা থেকে এই ব্রিজ টি একদম কাছে হওয়ায় আমার তাদের সাথে যাওয়ার ইচ্ছা হয়।দুরে কোথাও হলে কখনোই যেতাম না। ঈদের দিন ঘোরাঘুরি করা আমার মোটেও পছন্দ না। এরপর আমরা গ্ৰামের সকলে একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যাই ঈদগাহ মাঠে।
আবার ঈদের নামাজ আদায় করে আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় আসার পর আমরা সকলেই সকলের নিজ বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে নেই। এরপর আমরা সকলে মিলে একটি গাড়ি ঠিক করে নেই। গাড়ি টি মূলত একদিন আগেই ঠিক করেছিলাম। খাওয়া দাওয়া সেরে আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে গাড়ি কে কল করি। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের গাড়ি চলে আসে। গাড়িটা চলে আসার পর আমরা সকলে মিলে গাড়িতে উঠে পড়লাম। বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে আমাদের গাড়ি ছেড়ে দেয়। গাড়ি টি ছেড়ে দেয়ার পর আমরা গাড়ির মধ্যে অনেক মজা করছিলাম। আমরা সকলে মিলে বিভিন্ন ধরনের গান গাইছিলাম গাড়ির মধ্যে।
অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ি টি আমাদের কে নাগের হাট ব্রিজের মধ্যে পৌঁছায়। আমাদের বাসা থেকে নাগের হাট ব্রিজের দুরুত্ব খুবই অল্প।তাই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা নাগের হাট ব্রিজের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম। নাগের হাট ব্রিজের মধ্যে যাওয়ার পর দেখতে পারলাম, নাগের হাট ব্রিজের উপর প্রচন্ড পরিমানে মানুষের ভীড় জমে গিয়েছে।আর প্রচন্ড পরিমানে মানুষের ভীড়ের কারণে গাড়ি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এরপর আমরা গাড়ি ব্রিজের একপাশে সাইট করে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম।
এরপর আমরা ব্রিজের উপর নেমে দেখতে পারলাম, অনেকেই বক্স বাজিয়ে আনন্দ উপভোগ করছে। আবার অনেকেই পিকআপের উপর বক্স সেট করে ড্যান্স করছে। এগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।আমি সকালের আনন্দ উপভোগ করা দেখছিলাম একদম মনযোগ সহকারে। আবার এই প্রচন্ড পরিমান মানুষের ভীড়ে অনেক জন মানুষ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান দিয়েছিল। আমরা আমাদের গ্ৰামের কয়েকজন ছেলে একটি বারো ভাজার দোকান থেকে বারো ভাজা কিনে খেয়েছিলাম।বারো ভাজা গুলো খেতে বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। এরপর আমরা নদীর চারদিকে বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘোরাঘুরি করেছি। ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা বাসায় ফিরে এসেছি সুন্দর ভাবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে একই অবস্থা, মানুষ যে এত ঘুরতে পারে। তবে এই বিষয়ে বিশেষ কোনো ফিলিংস আমি পাই না। তবে যাই হোক না কেন বেশ অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখলাম ব্রিজের পাশে। সবাই যেন ঈদের দিন প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে আনন্দ উপভোগ করার জন্য উপস্থিত হয়েছে।
আসলেই ভাইয়া ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানেই খুশি।ঈদে ঘুরতে যাওয়া ঠিক নয় বেশি খুশিতে অতিরিক্ত হয়ে প্রাণ হারাতে হয়।যাইহোক গ্রামে গিয়েছেন ঘুরতে বের হবেন না তা কি হয়।গ্রাম এমনি হয় শহরের আবহাওয়ার চাইতে স্নিগ্ধ মিষ্টি হাওয়া।আর তাই তো আপনি গ্রামের ব্রিজে ঘুরতে গিয়েছেন।জায়গা টা দেখতে কিন্তু অসম্ভব সুন্দর ছিলও।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার মনের কথা বলেছেন ভাইয়া ঈদের দিন ঘোরাঘুরি করতে আমারও খুব একটা ভালো লাগে না। কারণ এই সময়ে রাস্তায় অনেক বখাটে ছেলেপেলে ফেরারি ভাবে ঘোরাফেরা করে।খুব ভালো করেছেন ঈদের আগে ঘোরাঘুরি পর্বটা সেরে নিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার ঘোরাঘুরি মুহূর্ত পড়ে।
বিশেষ দিনগুলোতে কিংবা উৎসবের দিনগুলোতে দর্শনীয় স্থানগুলো খুব সুন্দর করে সাজানো হয়। আর অনেক মানুষের ভিড়ও দেখা যায় সেখানে। খুবই ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। ব্রিজের ভিউ টা খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।
ঈদের দিন বিকেলবেলা ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে ঈদের দিন বিকেল বেলা আমরা প্রত্যেকেই কোথাও আমার কোথাও ভ্রমন করতে যায়। আপনাদের ভ্রমণ করার মুহূর্তগুলো দেখতে পেয়ে খুবি ভাল লেগেছে আমার।
সবাই চাই নিজের এলাকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াতে। যেহেতু ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসে সবাই ঈদ করতে। তাই সবাই একটু ঘুরে দেখতে চাই নিজের গ্রাম। আপনিও গেলেন ঈদের দিন নাগের হাট ব্রিজ দেখতে। ব্লগ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
এটা কিন্তু আপনি ঠিক কথা বলেছেন ভাই, ঈদের দিন অনেকেই আনন্দের কারণে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালায় এবং অ্যাক্সিডেন্ট ঘটায়। এই সময়টাতে বাড়িতে থাকাই ভালো। ঈদ আনন্দ ঘরে বসে পরিবারের সাথে কাটানোই বেশি নিরাপদ জনক। তবে তারপরও সবাই এই দিনটাতে একটু ঘুরতে বের হয়। ভাই, আপনাদের ঘুরতে যাওয়া স্থানটিতে ভিড়ের পরিমাণ দেখে তো আমি জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম! এই দিনটাতে তো দেখছি কেউই বাড়িতে নেই, সবাই ঘুরতে নাগের হাট ব্রিজের ওই জায়গাটিতেই এসেছে। যাইহোক, এই জায়গাটিতে ঘুরে যে সুন্দর ভাবে আবার বাসায় ফিরে আসতে পেরেছেন, এটাই ভালো ব্যাপার। এই নাগের হাট ব্রিজের জায়গাটা বেশ সুন্দর, এইজন্যই এই জায়গাটাতে এত মানুষের ভিড় হয়েছিল।