নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারিতে একদিন (প্রথম পর্ব)

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির বেশ কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি আমাদের রংপুর জেলার একটি বিখ্যাত নার্সারি। এককথায় বলতে গেলে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি আমাদের রংপুর জেলার একটি গর্ব। নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ শুধু মাত্র একটি নার্সারি না, এটি বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের একটি বিশ্বাসের জায়গা।এই প্লাটফর্ম টি দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষদের কে খুবই সুন্দর সুন্দর গাছ উপহার দিয়ে যাচ্ছে মানুষদের। এই নার্সারি টি শুধুমাত্র আমাদের এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের মধ্যে একটি বড় নার্সারি প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারি কে তলিয়ে কোন নার্সারি উপরে উঠতে পারেনি।

আজ সকাল‌ বেলা আমি এবং আমার এক বন্ধু সহ নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এখানে ঘুরতে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল কয়েকটি গাছ কিনে নিয়ে আসা।এই নার্সারির মধ্যে প্রায় সব ধরনের চারা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদি পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের চারা পাওয়া যায়।আর এই নার্সারির চারা একদম গ্ৰান্টেড সহকারে বিক্রি করা হয়।আর এখানকার প্রতিটি চারার মধ্যে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ফুল, ফল চলে আসে। আপনারা উপরের‌ ফটোগ্রাফি টির মাধ্যমে যে দৃশ্য দেখতে পারছেন, এটি মূলত গ্ৰীনকবার মরিচের বীজের ফটোগ্রাফি। এখানে প্রায় সব ধরনের দেশের মরিচের বীজ পাওয়া যায়। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান বীজ গুলো একটু বেশি। আপনারা মরিচের বীজ গুলো দেখে বুঝতে পারছেন, এগুলো খুবই ছোট, কিন্তু এই বীজ গুলো রোপণ করার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই গাছের মধ্যে মরিচ চলে আসবে।

অন্যান্য নার্সারির থেকে এই নার্সারির মধ্যে একটু বেশি পরিচর্যা করা হয় প্রতিটি বীজের।আর এই নার্সারির প্রতিটি বীজ পরীক্ষাকৃত।তাই কোন ভেজাল চারা নেই এই নার্সারির মধ্যে। যদি কোন ভেজাল চারা খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে সেই চারাটি নার্সারির মধ্য থেকে বের করে ফেলে দেয়া হয়। তাদের এমন জিনিস টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসনে একটি খারাপ চারার কারণে অনেক গুলো চারার সমস্যা হতে পারে।তাই তারা আগেই নষ্ট চারা গুলো বের করে ফেলে দেন। উপরে আপনারা যে দুটি ফটোগ্রাফী দেখতে পারছেন, এটি মূলত একটি করলার বীজের ফটোগ্রাফি। আসলে আমাদের দেশের মধ্যে বেশ কয়েক প্রজাতির করলা রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম করলা হলো নবাব করলা। আপনারা হয়তো অনেকেই নবাব করলা খেয়েছেন।

এই নার্সারির মধ্যে বিশেষ করে শাক সবজির বীজ গুলোর প্রতি একটু বেশি নজর দেয়া হয়েছে।তারা শাক সবজির বীজ গুলো খুবই সুন্দর করে তৈরি করে থাকে। আসলে পুরো নার্সারি টি দেখতে প্রায় গ্ৰীন হাউসের মতোই দেখতে।পুরো নার্সারির উপর দিকে পলিথিন দ্বারা বেষ্টিত।আর নার্সারির ছাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নেট জাল কে।এর ফলে নার্সারির মধ্যে তেমন কোন পোকা মাকড় আক্রমণ করতে পারে না। উপরে আপনারা যে বীজের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পারছেন, এগুলো মুলত পার্পল কিং বেগুন এর ফটোগ্রাফি। আপনারা দেখতে পারছেন পার্পল কিং বেগুন এর চারা গুলো কিভাবে তৈরি করা হয়েছে। আসলে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারিতে প্রায় সব ধরনের বীজ আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি করা হয়।

নার্সারি টি দেখতে যত বেশি সুন্দর, তার থেকে এই নার্সারির বীজ গুলো আরো বেশি সুন্দর। এই কথা টি একদম বাস্তব একটি কথা।যারা এই নার্সারি থেকে বীজ সংগ্রহ করেছে, তারা হয়তো জানে এই নার্সারির ইতিহাস সম্পর্কে। অল্প লাভে তারা খুবই সুন্দর একটি ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বর্তমান সময়ে নিরাপদ চারা পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনারা চাইলে নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার পছন্দের চারা অর্ডার করে নিতে পারবেন। এটা আমাদের দূরবর্তী স্থানের মানুষের জন্য খুবই উপকারী একটি বিশেষ। আমরা দুই বন্ধু পুরো নার্সারি ঘোরাঘুরি করে দেখেছি। আমার কাছে নার্সারি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে, নাশিক প্লান্ট এন্ড পট কোঃ নার্সারির বেশ কয়েকটি নার্সারি রয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।