ভ্রমণ পোস্ট: হঠাৎ করেই ভাইদের সাথে তিনশ'ফিট ভ্রমণ।
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে,
বৃহস্পতিবার, ২ ই মে ২০২৪ ইং
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি স্থান পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস। এটি বর্তমানে সময়ের একটি ভাইরাল টপিক। ফেসবুকের মধ্যে বেশ কিছু দিন আগে এই তিনশ' ফিট বেশ ঝড় তুলেছিল। তবে বর্তমানে সময়ে কিছুটা কমিয়ে গেছে। তবে আমার মনে হচ্ছে আবার হয়তো নতুন কোন ভাইরাল টপিক নিয়ে আসার জন্য এই টপিক টি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আসলে বেশ কয়েকদিন আগে ফেসবুকের মধ্যে ঢুকলেই শুধু তিনশ' ফিট নিয়ে বিভিন্ন ছবি, স্টাটাস, ভিডিও এগুলো সব গুলো দিয়ে ভরপুর। যাইহোক, আসলে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে এতো সুন্দর একটি জায়গা ভাইরাল হয়েছে।আর তা যদি দেখতে না যাই তাহলে জীবন যুদ্ধে এক ধাপ পিছিয়ে যাবো।তাই আমি আমি বেশ কয়েকদিন ধরে তিনশ' ফিটের মধ্যে যাওয়ার জন্য প্লান পরিকল্পনা করছিলাম।
বেশ কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে কোন এক কাজের জন্য আমাকে ঢাকায় চলে যেতে হয়। আমি প্রথমে ঢাকার রায়েরবাগে তিন থেকে চার দিন থাকি। এরপর আমি ভাবলাম তিনশ' ফিটের মধ্যে ঘুরতে যাবো, আর এখানে ঘুরতে যেতে পারলেই ঢাকা আসা সার্থক হবে। এরপর আমি আমার এক ভাই কে ফোন দিয়ে তিনশ'ফিট যাওয়ার কথা বললাম, সে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়।আর সে মূলত নারায়ণগঞ্জে থাকে। এখন আমি ঢাকা রায়েরবাগ থেকে নারায়নগঞ্জ গাওছিয়ার মধ্যে বাসে করে গেলাম। গাওছিয়ার মধ্যে উপস্থিত হয়ে আমি আমার ভাইয়া কে গাওছিয়ার মধ্যে আসতে বললাম।সে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে গাওছিয়ার মধ্যে চলে আসে। এখন আমরা তিনশ ফিট যাওয়ার জন্য একটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই একটি বি আর টি সি বাস চলে আসে। আমরা বাসের মধ্যে উঠে পড়লাম তিনশ ফিট যাওয়ার জন্য।
বেশ অল্প সময়ের মধ্যে বাস আমাদের কে তিনশ ফিটের মধ্যে নেমে দেয়।বাসটি আমাদের কে নীলা মার্কেটের একদম সামনের দিকে নেমে দেয়। এখন আমরা লেনে উঠার জন্য হাঁটছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটি লেনের দেখা পেয়ে গেলাম। সেখানে উঠে মনের ভেতর আলাদা রকম অনুভুতি কাজ করেছিল। আসলে আমি ফটোগ্রাফী এবং ভিডিও এর মধ্যে যেমনটা দেখেছিলাম, সামনাসামনি দেখে তার থেকেও বেশি সুন্দর লাগছে। আমার কাছে সব থেকে লাইটিং টি সব থেকে বেশি সুন্দর লাগছে।এই জায়গার মধ্যে আসার পর মনে হচ্ছে আমরা হয়তো পৃথিবীর অন্য আরেকটি দেশের মধ্যে ঢুকে পড়ে গিয়েছি। কিন্তু তা নয়, এটাই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ। অনেক ছেলে মেয়েরা লেনের উপর উঠে টিকটক ভিডিও তৈরি করতেছে। আবার কিছু কিছু ছেলে মেয়েরা ফটোগ্রাফী করছে।
আমি বেশ কিছু টিকটক ভিডিও করা দেখছিলাম।দেখে বেশ ভালোই লাগছে আমার কাছে। আসলে এরকম সুন্দর জায়গা পেয়ে টিকটকারদের অনেক সুবিধা হয়েছে।তারা খুবই সুন্দর করে এই জায়গার মধ্যে তার টিকটক ভিডিও তৈরি করতে পারছে। আবার অনেকেই তাদের প্রিয় মানুষ কে সাথে নিয়ে এসে বিভিন্ন আকৃতিতে ফটোগ্রাফী করছে। এমন অবস্থায় আমাকে হঠাৎ একজন ক্যামেরা ম্যান ছবি উঠানোর জন্য অনুরোধ করলো, কিন্তু আমি রাজি হয়নি। কেননা আমি ক্যামেরা ম্যান কে বিশ্বাস করি না।তারা একটি ছবি উঠানোর কথা বলে দশটি ছবি উঠায়। আবার বেশ কিছুক্ষণ পরে আরেকজন ক্যামেরা ম্যান আমাকে ছবি উঠানোর জন্য অনুরোধ করে, এবং তার সাথে কথা বলে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে ভালো লাগে। তারপর আমি ছবি উঠানোর জন্য রাজি হয়ে যাই। অবশেষে সে আমাকে তার ক্যামেরা দিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি উঠিয়ে দেয়। তার তোলা প্রতিটি ছবি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
বেশ কিছুক্ষণ আমরা চারদিকে ভালোই ঘোরাঘুরি করলাম। ঘোরাঘুরি শেষে আমরা বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন রাত প্রায় এগারো টা বেজেছিল।আর এই রোডের মধ্যে রাত আটটার পরে আর কোন ধরনের বাস যাতায়াত করে না। এখন আমরা বাসায় যাওয়ার সময় বিপদের মধ্যে পড়ে গেলাম। এরপর আমরা সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম।আর ঢাকা শহরের মধ্যে রাতের বেলা রাস্তায় হাটা কতটা রিস্কি তা আপনারা হয়তো সকলেই জানেন। কিছুদূর হাটার পর দুইজন টুকাই আমাদের পিছু লেগে যায়।তারা আমাদের কে আটক করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। কিন্তু হঠাৎ একটি অটোরিকশার দেখা পেয়ে আমরা ভাড়ার থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে গাওছিয়ার উদ্যেশে রওনা দিলাম। কেননা টুকাই আমাদের কে ছিনতাই করলে আমাদের কে একদম নিঃস্ব বানিয়ে ছেড়ে দিবে। অবশেষে আমরা আমরা বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই গাওছিয়া পৌঁছাতে পেরেছি। এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এখন আসলেই একটা ভাইরাল প্লেস বলা যায়। তবে আমার এখনো যাওয়া হয়নি সেখানে। আমার মনে হয় খুব কম মানুষই রয়েছে যারা এই জায়গাটাতে যায়নি। এটা ঠিক বলেছেন এই জায়গাটা আসলেই টিকটকার দের ভিডিও করার জন্য বেশ ভালো একটা জায়গা। ক্যামেরাম্যানদের ব্যবসাই এটা, তারা একটা ছবি উঠানোর কথা বলে বেশ কয়েকটা উঠিয়ে ধরিয়ে দিবে। সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে।
আমিও বেশ কয়েকবার ৩০০ ফিট গিয়েছি। আপনি বেশ চমৎকার ভাবে ৩০০ ফিট যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা তো দেখছি আপনি লং জার্নি করেছেন ভাই। আমার সুন্দর জার্নির বিষয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখি আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। তবে মাঝে মাঝে সাবধানতার সাথে জার্নি করা প্রয়োজন। আর এদিকে টিকটক আর দের কথা কি বলবো। যেখানে যাই সেখানেই টিকটক আর দের অভিনয়।
হ্যাঁ ভাইয়া পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এই জায়গার নাম অনেক শুনেছি। ইউটিউবে অনেক ভিডিওতে দেখেছি আমি। তবে এই জায়গায় আপনারা উপস্থিত হয়েছেন সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে যাই করুন সাবধানে গাড়ি চলাচল করবেন।
৩০০ ফিট ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ এখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং বড় ভাইদের সাথে এখানে গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷