জেনারেল রাইটিং: বিশ্বাস যেন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে জড়িত

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো, রাইটিং এর নাম: বিশ্বাস যেন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে জড়িত । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

বিশ্বাস শব্দ টি অনেক ছোট হলেও এর মর্মার্থ বিশাল।বিশ্বাস খুবই মূল্যবান একটি সম্পদ।মানব জীবনে বিশ্বাসের গুরুত্ব অপরিসীম ।কেননা বিশ্বাসের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা কিংবা সহনশীলতা তৈরি হয়। বিশ্বাস কখনো জোর করে তৈরি করা যায় না। বিশ্বাস আপনা আপনি তৈরি যায়। প্রতিটি মানুষের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসের উপর ভর করে চলতে হয়। সমাজের মধ্যে বসবাস করতে হলে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে বসবাস করতে হয়। বিশ্বাস কে আমরা আমাদের শরীরের একটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে তুলনা করতে পারি।

আমাদের জীবন চলার পথে প্রতিটি ধাপে ধাপেই বিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে। কেননা আমরা যদি আমাদের সমাজের মধ্যে বিবাহ বন্ধনের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পারবো, একজন মেয়ের কিংবা একজন ছেলের বাবা যখন তাদের ছেলে মেয়েদের কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে, তখন তারা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে মেয়ে কে ছেলের হাতে তুলে দেয় কিংবা ছেলে কে মেয়ের সাথে বিবাহ দেয়। আসলে আমাদের পথ চলার পথে প্রতিটি ধাপেই বিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে।

তবে, সমাজের মধ্যে এক ধরনের কিছু মানুষ রয়েছে, যারা শুধু মাত্র মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।এই ধরনের লোক গুলো হচ্ছে সমাজের শত্রু। কেননা যখন কোন ব্যক্তির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয় তখন সেই ব্যক্তি টি মনে মনে অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। বিশ্বাস কে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে তুলনা করা যায়, কেননা যখন কোন মানুষের একটি মাত্র অঙ্গ অচল হয়ে যায়, তখন তার পথ চলা অনেক টা কষ্টকর হয়ে পড়ে।ঠিক অনুরুপ ভাবে যখন কোন মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তখন সে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে।

আমরা যদি আমাদের দেশের ছাত্র ছাত্রীদের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পারবো, তারা ছোট বেলা থেকেই মন দিয়ে পড়াশোনা করে শুধুমাত্র একটি চাকরির জন্য। তাদের পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য হলো একটি চাকরি নেয়া কিংবা ভালো স্থানে যাওয়া। তারা মনের মধ্যে একটি বিশ্বাস রেখে তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যায় শুধু মাত্র একটি চাকরি নেয়ার জন্য। পড়ালেখা করার পেছনেও বিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে। কেননা, বিশ্বাস ছাড়া সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

আসলে যখন কোন মানুষের প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়ে যায়, তখন আমরা সে মানুষ কে অন্ধের মত বিশ্বাস করে থাকি।আর বিশ্বাস কে কখনো টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায় না। বিশ্বাস অর্জন করতে হলে সব সময় সততার সাথে চলতে হয়। আমাদের সমাজের মধ্যে অনেক মানুষ বসবাস করে, কিন্তু আমাদের উচিত তাদের সকল কে বিশ্বাস না করা। কেননা যারা বিশ্বাসের মর্যাদা বুঝে না, তারা অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বাস ভঙ্গ করে দেয়।আর বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে আর অতটা সহজে ফিরিয়ে আসে না।তাই আমাদের কে এই দিক গুলো লক্ষ্য করে চলতে হবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।