গরুর হাটে গরু কেনা কাটা করার অনুভূতি

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে গরু হাটের মধ্যে গরু কেনা কাটা করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

সবাই কে অগ্ৰিম ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আশা করছি আপনারা সকলেই ইতোমধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেনাকাটা করে নিয়েছেন।ঈদ চলে আসলেই আমাদের দেশের মানুষের কেনাকাটা করার একটি ধুম পড়ে যায়, এটা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, এটি বাংলাদেশ ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি দেশের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে।আর একদিন পরেই মুসলমান জাতির একটি আনন্দময় ঈদ। মুসলিম উম্মাহর দুটি ঈদ রয়েছে, তার মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের দেশের মানুষের গরু কেনা কাটা চলছে। এই ঈদের মধ্যে প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের পশু কুরবানী করে থাকে। এটি মুলত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করা হয়ে থাকে।

গতকাল আমাদের এলাকার পাইকাড় হাট বাজারে এক বিশাল গরু ছাগলের হাট লেগেছিল।এই‌ হাট টি মূলত বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত।এই হাট টি কোন নিয়মিত গরুর হাট নয়।এই‌‌ হাট টি প্রতি বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরু কেনা কাটা করার জন্য লেগে থাকে। আমাদের মিঠাপুকুর উপজেলার মধ্যে এই হাট টি একটি অন্যতম হাট। প্রতি বছর এই হাটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ গরু ছাগল ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। আমাদের এলাকার প্রতিটি মানুষ এই হাটের উপর নির্ভরশীল।

কেননা তারা সকলেই এই হাটের উপর আশা রেখে কুরবানীর গরু ছাগল কেনাকাটা করে। আসলে আমাদের এলাকার মধ্যে তেমন কোন আর হাট নেই, শুধু মাত্র পাইকাড় ব্যথিত। প্রতি বছর আমাদের এলাকার মানুষ বিভিন্ন ধরনের গরু ছাগল লালন পালন করে এবং কুরবানী ঈদের সময় তারা তাদের পালন কৃত গরু ছাগল গুলো বিক্রি করে দেয়।এতে করে তারা অনেক টা লাভবান হন। কেননা কুরবানী ঈদের হাটে গরু ছাগলের দাম অনেক টা বেশি থাকে।

গতকাল আমি এবং আমার‌ বেশ কয়েকজন চাচা সহ গরু কিনতে গিয়েছিলাম পাইকাড় হাট বাজারে। আসলে কুরবানী করার জন্য বেশ কয়েকজন ভাগীদার থাকে, আমরা প্রত্যেক জন ভাগীদার একত্রে গরু কিনতে গিয়েছিলাম। আসলে সবাই একসাথে কোন গরু পছন্দ করলে অনেক বেশি ভালো হবে।তাই আমরা সকলেই একত্রে গিয়েছিলাম গরু কেনার জন্য। আমরা প্রথমেই গরু কেনার জন্য গরুর হাটে প্রবেশ করলাম। কিন্তু বৃষ্টি আসার কারণে‌ গরুর হাটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কাদা হয়েছিল।আমি বেশ কয়েকবার কাঁদায় পিছলে পড়ে যেতে ধরেছিলাম।

এরপর আমি গরু হাটের মধ্যে সাবধান ভাবে চলাফেরা করতে শুরু করি। কেননা পিছলে পড়ে গেলে আমার পুরো শরীর শেষ হয়ে যাবে। আমরা প্রথমেই গাভী গরু হাটিতে প্রবেশ করি। আমরা বেশ কয়েকটি গাভী দেখেছিলাম কিন্তু আমাদের তেমন একটা পছন্দ হয়নি। পরবর্তীতে আমরা একটু বড় সাইজের গরু দেখার জন্য বাজারের পশ্চিম দিকে চলে গেলাম। বাজারের পশ্চিম দিকে বড় গরু গুলো রয়েছে। এরপর আমরা বেশ কয়েকটি গরু দেখলাম। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের একটি গরু পছন্দ হয়ে যায়।

এরপর আমরা সকলে মিলে গরুর দাম ঠিক করলাম। বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই গরুর দাম ঠিক হয়ে যায়।আর এই গরু টি আমাদের সকলেরই অনেক বেশি পছন্দ হয়েছিল।তাই আমরা বাজারের দামের থেকে একটু বেশি দামে গরু টি কিনেছিলাম। এরপর আমরা গরুর রশিদ করে নিলাম। এরপর আমরা গরুর টাকা পরিশোধ করে গরু নিয়ে বাসায় চলে আসি।আসলে অনেক কষ্টের পর আমরা গরু টি কিনতে পেরেছি। শুধু মাত্র যারা গরুর হাটের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছেন, তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন। আপনারা কে কে গরু কিনেছেন তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আশা করছি এবছর সকলের ঈদ অনেক ভালো কাটবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।