ভ্রমণ পোস্ট: তিন বিঘা করিডোর ভ্রমণ ( পাসপোর্ট,ভিসা ছাড়াই আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভ্রমণ 😁)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ১০ ই মে ২০২৪ ইং
আমি বেশ কয়েকদিন আগে আপনাদের সাথে শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন ভ্রমণ করার একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আসলে মূলত পাটগ্রাম যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল পাটগ্রাম উপজেলার বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করা। দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে তিন বিঘা করিডোর অন্যতম। আমরা ছোট বেলায় তিন বিঘা করিডোর নিয়ে আমাদের পাঠ্য বইয়ের মধ্যে পড়েছিলাম।পাঠ্য বই থেকে পড়ার পর আমার এই জায়গা টি দেখার অনেক ইচ্ছা জেগেছিল। কিন্তু কোন ভাবেই যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। আমরা বেশ কয়েকবার এই জায়গার মধ্যে যাওয়ার জন্য প্লান পরিকল্পনা করছিলাম, কিন্তু সেই প্লান পরিকল্পনা সফল হয়নি।তবে, বছর এবছর ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সকল বন্ধু বান্ধব বাসায় চলে আসে। এরপর আমরা সকলে মিলে পাটগ্রামের সকল দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করার পরিকল্পনা করি। অবশেষে আমাদের সেই কাঙ্খিত তিন বিঘা করিডোর দেখার ও সুযোগ হয়।
আসলে আপনারা টাইটেল দেখে হয়তো কিছুটা অবাক হয়েছেন।অবাক হওয়ার কিছুই নেই সম্পুর্ন পোস্ট টি মনযোগ সহকারে পড়লে সব কিছু বুঝতে পারবেন। আসলে তিন বিঘা করিডোর হচ্ছে ভারতের একটি নিজস্ব অংশ।আর এই জায়গাটির পরিমাণ তিন বিঘা, তাই এর নাম দেয়া হয়েছে তিন বিঘা করিডোর।আর এই ভারতের সীমানার মধ্যে প্রবেশ করতে হলে লাগে না কোন পাসপোর্ট, লাগে না কোন ভিসা। আমরা এর ভিতর দিয়ে প্রবেশ করে আবার আমরা আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের মধ্যে বেরিয়ে পড়ি। বাংলাদেশের সিটমহল আঙ্গারপোতা দহগ্রাম যাতায়াতের সুবিধার্থে তারা আমাদের কে তিন বিঘা করিডোরের মধ্য একটি সুন্দর রাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন।তিন বিঘা করিডোরের চারদিকে তারকাটা দিয়ে ঘেরা, শুধু মাত্র এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী মানুষদের যাতায়াত করার জন্য একটি রাস্তা খুলে দেয়া হয়েছে।
আমরা মূলত পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে এসে একটি রিকশা ভাড়া করে এই জায়গার মধ্যে আসছিলাম। পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিন বিঘা করিডোর এর দূরত্ব প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। রিকশা ওয়ালা মামা আমাদের কে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আমাদের কে তিন বিঘা করিডোর মধ্যে পৌছায়। এলাকাটি পুরোটাই গ্ৰাম অঞ্চল। চারদিকে সবুজ শ্যামল প্রকৃতি। এরপর আমরা রিকশা থেকে নেমেই প্রবেশ করলাম আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভুখন্ডের মধ্যে।জায়গাটি বাংলাদেশের মধ্যে হলেও জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।তারা বাংলাদেশের মানুষদের কে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তিন বিঘা করিডোর এর মধ্যে প্রবেশ করে ভারতের ফিলিংস অনুভব করছিলাম। কিন্তু এই জায়গার মধ্যে আমাদের কে তেমন একটা সময় অতিক্রম করতে দেয়নি। কেননা এই রাস্তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ মানুষের ভীড়, তাই তারা মানুষদের কে এই জায়গার মধ্যে তেমন একটা সময় অতিক্রম করতে দেন না।
উপরে আপনারা যে রাস্তার ফটোগ্রাফী টি দেখতে পারছেন এটি মূলত তিন বিঘা করিডোরের মধ্য দিয়ে অবস্থিত রাস্তা।এই রাস্তার মধ্যে দিয়ে আমাদের কে তিন বিঘা করিডোর পারাপার করতে হয়। এই রাস্তা টি করে দেয়ার জন্য আমরা অনেক বেশি উপকৃত হয়েছি।এই রাস্তা টি না থাকলে হয়তো আমাদের কে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। জায়গা টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কেননা পুরো জায়গাটি সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে ভরপুর। আপনারা চাইলে এই জায়গার মধ্যে ভ্রমণ করতে আসতে পারেন। এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে আসলে অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।এই জায়গার মধ্যে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে। এই জায়গার দুর দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী চলে আসে। আবার শীতকালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এই জায়গার মধ্যে শিক্ষা সফর যায়। যাইহোক, আমরা আমাদের বন্ধুরা সহ খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করছি তিন বিঘা করিডোর এর মধ্যে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পাসপোর্ট,ভিসা ছাড়াই আপনার তিন বিঘা করিডোর ভ্রমণের অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ব্লগটি খুব সুন্দর ভাবেই লিখেছেন। যদিও কখনো তিন বিঘা করিডোরে যেতে পারবো কি না জানি না,তবে আপনার মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম। আপনার লেখার হাত অনেক ভালো। ব্লগটি খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।