ভ্রমণ পোস্ট: রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমন (শেষ পর্ব)

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমন কাহিনী শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমনের পঞ্চম পর্ব শেয়ার করেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করবো।আর আজকে এই পর্বের মাধ্যমেই রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমন কাহিনী শেষ করবো। আশা করছি আপনারা ইতোমধ্যে আমার শেয়ার করা প্রতিটি পর্ব পড়েছেন। আশা করছি শেষ পর্বটিও পড়ার চেষ্টা করবেন। আমি এই পর্বের মধ্যে রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দৃশ্যসহ বর্ণনা করার চেষ্টা করবো। আসলে প্রতিটি পার্কের মতোই রংপুর সিটি চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে ছোট বাচ্চাদের খেলা ধুলা করার জন্য বিশেষ কিছু জায়গা রয়েছে। আর সে জায়গা গুলো শুধু মাত্র ছোট বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

উপরে চিত্রের মাধ্যমে আপনারা যে দৃশ্য টি দেখতে পারছেন এটি মূলত চিকলি ওয়াটার পার্কের একটি জনপ্রিয় স্থান। এই জায়গার মধ্যে বেশ কিছু চেয়ার টেবিল রয়েছে। আপনারা চাইলে এসব চেয়ার টেবিলে বসে রেস্ট নিতে পারবেন। অথবা আপনারা চাইলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং গুলো এই জায়গার মধ্যে করতে পারবেন। আবার অনেকেই দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের সোসাইটি কিংবা সংস্থার মিটিং গুলো এই জায়গার মধ্যে বসে করে।আর আপনি চাইলে আপনার প্রিয় মানুষটি কে নিয়ে এসে এই জায়গার মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করতে পারবেন। আসলে মূলত এই জায়গা গুলো প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

বিকাল বেলা এই পার্কের মধ্যে ঘুরতে আসলে প্রচুর পরিমাণে প্রিমিক প্রেমিকাদের আগমন ঘটে। বিশেষ করে যারা, নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তাঁদের কে এই পার্কের মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।আর পার্কের পরিবেশ টা অনেক সুন্দর হওয়ায় এর ভিতরে সময় উপভোগ করতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। তবে, আপনারা যারা ইতোমধ্যে এই পার্কের মধ্যে ঘুরতে এসেছিলেন তারা হয়তো এই বিষয়ে বেশ ভালো ভাবে অবগত আছেন।পুরো পার্ক টি সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দিয়ে সাজানো।তাই পার্ক টি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।আর রাতের বেলা এই পার্কের সৌন্দর্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। কেননা, রাতের বেলা এই পার্কের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং অন থাকে।

অন্যান্য পার্কের তুলনায় এই পার্কের মধ্যে ছোট বাচ্চাদের জন্য বেশ কিছু খেলা ধুলা করার জায়গা রয়েছে।আর ছোট বাচ্চাদের কে এই ধরনের পার্ক গুলোর মধ্যে ঘুরতে নিয়ে আসলে তারা সর্ব প্রথম এই জায়গা গুলোর মধ্যে প্রবেশ করার জন্য অনেক আবদার করে। আমিও বেশ কয়েকবার ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে বিনোদন পার্কের মধ্যে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই বুঝতে পারছি, ছোট বাচ্চারা সব সময় খেলা ধুলা করতে পছন্দ করে।আর চিকলি ওয়াটার পার্কের মধ্যে ছোট বাচ্চাদের জন্য বেশ উন্নত মানের খেলা ধুলা করার পরিবেশ তৈরি করেছে তারা।আর এই জায়গার খেলা ধুলা করার যন্ত্র্যাংশ গুলো সব প্রযুক্তিগত ভাবে তৈরি। ছোট বাচ্চাদের খেলা ধুলা করার স্থান টি এক পাশে তৈরি হয়েছে। এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

এখন পর্যন্ত প্রতিদিন এই পার্ক টি প্রসারের কাজ চলছে।এই পার্কের মধ্যে প্রবেশ পথ এবং বাহির পথ তৈরি করার জন্য বিশালাকার একটি গেট তৈরির কাজ চলছে। তবে, এখন পর্যন্ত এই গেটের কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবে, আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি এই গেটের কাজ সম্পন্ন করা হবে।আর এই গেটটি খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করছেন তারা।চিকলি ওয়াটার পার্ক কে ভবিষ্যতে অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ পার্কটি বেশ কিছু সময় ধরে ঘোরাফেরা করেছিলাম। ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা বাসায় যাওয়ার জন্য পুরাতন গেটের বাহির পথ দিয়ে পার্ক থেকে বের হয়ে পড়ি। আসলে এই পার্কের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য দুটি গেট অতিক্রম করতে হয়।একদম শেষের ফটোগ্রাফীতে যে দৃশ্য টি দেখতে পারছেন এটি মূলত একদম প্রথম গেট। আমরা বের হয়ে বেশ কিছু সময়ের মধ্যে বাসায় চলে আসি।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।