ভর্তির উদ্যেশে উত্তর বঙ্গের বিখ্যাত রংপুর কারমাইকেল কলেজ যাওয়া
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙলবার, ২৬ ই মার্চ ২০২৪ ইং
আপনারা সকলেই হয়তো রংপুর কারমাইকেল কলেজের সাথে সুপরিচিত। উত্তর বঙ্গের মধ্যে এটি একটি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না হলেও এর পরিচিতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান। বাংলাদেশের প্রায় বেশির ভাগ ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষিত মানুষ এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সুপরিচিত। বিশেষ করে উত্তর বঙ্গের মধ্যে এমন কোন মানুষ নেই যে এই প্রতিষ্ঠানটি কে চিনে না! । আমি গতকাল এই কলেজের মধ্যে গিয়েছিলাম একটি ভর্তির কাজে। আসলে ভর্তির কাজটি আমার ছিল না। আমার এক বন্ধু ঢাকায় থাকে, কিন্তু সে কারমাইকেল কলেজের মধ্যে সাবজেক্ট চয়েস দিয়েছে, ফলে তার এই কলেজের মধ্যে ইসলামের ইতিহাস সাবজেক্ট এসেছে। এখন সে ঢাকা থেকেই ভর্তি নিশ্চিত করেছে অনলাইন এর মাধ্যমে।
এখন আমার আমার বন্ধু আমাকে বেশ কিছুদিন ধরে বলতেছে ভর্তি শুরুর দিকে আমাকে তার সকল প্রকার কাগজ পত্র নিয়ে গিয়ে অফিসের মধ্যে জমা দিতে হবে। তারপর একদিন হঠাৎ ভর্তির ডেট ঘোষণা করলো। তারপর আমি ওর বাসা থেকে সকল প্রকার কাগজ পত্র নিয়ে কারমাইকেল কলেজের এর উদ্দেশ্য র ওনা দিলাম। আমার বাসা থেকে কারমাইকেল কলেজের দুরুত্ব প্রায় পনেরো কিলোমিটার। আমি প্রায় ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই কলেজের মধ্যে পৌঁছে গেলাম। কলেজের মধ্যে প্রবেশ করে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ খুঁজে বের করতে অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। কেননা এই কলেজের ক্যাম্পাস প্রায় তিনশ' বিঘা জমি নিয়ে।
বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার আমি ইসলামের ইতিহাস বিভাগ খুঁজে পেয়ে গেলাম। খুঁজে বের করতে প্রায় আধা ঘন্টা সময় লেগেছে আমার। আসলে এই কলেজের মধ্যে ভবনের শেষ নেই। শুধু ভবন আর ভবন। এরপর আমি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অফিস কক্ষে প্রবেশ করলাম। তারপর ভর্তি কার্যক্রম ডেস্কে গিয়ে আমার বন্ধুর সকল প্রকার কাগজ পত্র জমা দিয়ে দিলাম। এখন তারা আমাকে একটি রিসিপশন হাতে দিয়ে দিলো। এখন আমাকে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে।ব্যাংকটি কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত। আমি অফিস থেকে বের হয়ে ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে দিলাম।
এখন আমার ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষ। এখন আমি ব্যাংক থেকে বের হয়ে দেখতে পারলাম কয়েকজন ছেলে ক্রিকেট খেলার প্রাকটিস করছে। আমি বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাদের খেলা দেখছিলাম। আসলে তাদের খেলার প্রাকটিস দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছে। কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রায় সব ধরনের খেলা ধুলা হয়ে থাকে।যেহুতু ক্যাম্পাসটি বিশালকার তাই এখানে সব প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েরা এসে বিভিন্ন ধরনের খেলা ধুলা করে থাকে।
আমি ক্যাম্পাসের চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। আসলে চারদিকে ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। আমি এর আগে ও বেশ কয়েকবার এই কলেজের মধ্যে এসেছিলাম।তাই আমার প্রায় সব ধরনের জায়গা চেনা রয়েছে।আর কলেজ ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় প্রেমিক প্রেমিকাদের আডডা প্রায় সব সময় লেগেই থাকে। সকাল আট টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ছেলে মেয়েদের আড্ডা লেগেই থাকে।
কারমাইকেল কলেজের মধ্যে প্রায় সব ধরনের গাছ পালা রয়েছে।এই গাছ পালা গুলোর জন্য ক্যাম্পাসটি একটু বেশি সুন্দর দেখা যায়। আমি ক্যাম্পাসের চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর আমার পায়ে ব্যাথা ধরেছে। এরপর আমি ভাবলাম এখন ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়া যায়। এখন আমি কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে অটোতে উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির কোন মেম্বার কারমাইকেল কলেজের মধ্যে পড়াশোনা করলে জানাবেন কমেন্টের মাধ্যমে, দেখা করার চেষ্টা করবো।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
https://twitter.com/riyad_xx2/status/1772537123922493914?t=mZ6F2CCsHlqAAcvZQALvow&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কলেজের ক্যাম্পাস টা প্রায় তিনশ বিঘা জমি নিয়ে করা হয়েছে এটা শুনে অবাক হলাম। তাহলে তো বেশ বড় একটা এরিয়া নিয়ে করা হয়েছে এটি। আপনি আপনার বন্ধুর ভর্তির কাছে সেখানে গিয়েছেন। ক্যাম্পাসের পরিবেশটা খুবই সুন্দর। সুন্দর এই পরিবেশে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।