স্মৃতিময় গল্পঃ ছোট বেলার রমজান মাসের কিছু স্মৃতিময় গল্প
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ১০ ই মার্চ ২০২৪ ইং
আমাদের মুসলিম জাতির জন্য রমজান একটি পবিত্রতম এবং গুরুত্বপূর্ণ মাস।বারো মাসের সমন্বয়ে একটি বছর।আর একটি বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস হলো রমাদান মাস। আমাদের নিকট এই মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। আমরা হয়তো কম বেশি এই মাসের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত আছি।তাই আর এই বিষয় নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ছোট বেলার রমজান মাসের কিছু স্মৃতিময় গল্প শেয়ার করবো।
ছোট বেলায় যখন রমজান চলে আসতো তখন আমি অনেক বেশি আনন্দিত হয়ে যেতাম। কেননা তখন আমার অনেক বেশি মজা হতো।প্রথম দিন যখন রমজান মাসের চাঁদ দেখা দিতো, তখন আমরা গ্ৰামের সব ছেলে মেয়েরা এক জায়গায় একত্রিত হয়ে অনেক চিল্লাচিল্লি করতাম। তখন আমরা ঈদের দিনের মত আনন্দ করতাম। আমরা মনে মনে ভাবতাম যে, রমজান মাস মনে হয় তৃতীয় ঈদ। আমাদের গ্ৰামের পশ্চিম দিকে একটি বিশাল বড় খেলার মাঠ রয়েছে।যখন রমজান মাসের চাঁদ দেখা দিতো, তখন বেশ কয়েকটি গ্ৰামের ছেলে মেয়েরা এই মাঠের মধ্যে চলে আসতো।
কেউ ছোট ছোট বাশি নিয়ে এসে, রমজানের চাঁদ উঠা উপলক্ষে বাঁশি বাজিয়ে অনেক মজা করতো। আমাদের সময়ে আমরা ছেলে মেয়েরা এক সাথে চলাফেরা করতাম খুবই সুন্দর ভাবে। কিন্তু বর্তমান যুগে আর এরকম নেই। এখনকার মেয়েদের কে আর বের হতে দেয় না। আগের সময়ের থেকে এখনকার সময়ের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আবার, যখন আমরা চাদ দেখা শেষে বাসায় চলে আসতাম, তখন আমরা সকলে মিলে মিছিল করতে করতে বাসায় চলে আসতাম। তখনকার সময় টি বেশ দারুন ছিল, আগেরকার সময়ে আবার ফিরে যেতে মন চায়।
আবার যখন আমার আব্বু আম্মু সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতারি করার জন্য ইফতারি প্রস্তুত করতো, তখন আমি সবার আগে বসেই সময়ের আগেই ইফতারী শেষ করতাম, আসলে এই অভ্যাস টি ছোট বেলায় সকল ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে। আবার যখন আমার আব্বু আম্মু সেহেরির সময় উঠে রান্না করতো, তখন আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়ে একত্রিত গোটাল গ্ৰামের সকল মানুষদের কে জাগিয়ে দিতাম।
আমার আম্মু আমাকে মাঝে মাঝে সেহেরির সময় ডাকতো না, কিন্তু তবুও আমি জেগে উঠতাম। উঠে সকলের সাথে সেহেরি খেতাম। আবার আমি দিনের বেলা তিনবার করে খাওয়া দাওয়া করে, আম্মু কে বলতাম আমি আজকে তিনটি রোজা রেখেছি, আর তুমি শুধু একটি রোজা রেখেছো। আম্মু আমার কথা শুনে হাসাহাসি করতো। আবার যখন আমার আব্বু তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যেত তখন আমি আমার আব্বুর সাথে মসজিদে গিয়ে প্রথম কাতারে বসে সালাত আদায় করতাম। এভাবেই আমি ছোটবেলায় রমজান মাস অতিবাহিত করতাম।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোটবেলায় আপনার রমজানের অনুভূতি পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। আগের দিনে অনেক মধুর স্মৃতি থাকতো ।এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে যেটা দেখা যায় না। এখন সবাই মোবাইলে আসক্ত হয়ে গিয়েছে, যার কারণে এখনকার ছেলেমেয়েরা আগের দিনের মত এতটা আনন্দ পায় না ।বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ধন্যবাদ।
আসলে ছোটবেলার সবগুলো দিন ছিল সবথেকে মধুর এবং সবথেকে আলাদা। আর ছোটবেলার রমজান মাসের কথা তো বলে শেষ করাই যাবে না একেবারে। ছোটবেলায় সবাই মিলে একসাথে চাঁদ দেখার মধ্যে থাকতো অন্যরকম একটা আলাদা অনুভূতি। সেই অনুভূতিগুলো এখন আর উপলব্ধি করা যায় না বড় হওয়ার পরপরই। আমরা ছোটবেলায় যেরকম করতাম এখন তো এরকম দেখাই যায়না বাচ্চাদেরকে। বেশি মজা হতো চাঁদ দেখা নিয়ে। কে আগে চাঁদ দেখেছে এটা নিয়ে ই আমরা বসতাম। অনুভূতি গুলোর কথা সত্যি মনে পড়ে গেল।
ভাই আপনার সাথে তো দেখছি আমার অনেক কিছুই মিলে গিয়েছে। সত্যি কথা বলতে আপনার আজকের এই স্মৃতিময় পোস্ট পড়ে আমার ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে গিয়েছে একেবারে। কারণ ছোটবেলায় এরকমটা আমরাও করে থাকতাম। সবাই একসাথে হয়ে চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে সবকিছুই করতাম। প্রথম রোজার দিন যে রকম মজা হত, ঠিক তেমনি শেষ রোজার দিন আরও বেশি মজা হত। বাজি ফুটানো থেকে শুরু করে সবকিছু একসাথে করতাম অনেক রাত পর্যন্ত, যেটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল।
ছোটবেলা আপনার মত আমরাও রমজানের চাঁদ দেখার জন্য ছেলে মেয়ে ছোট ছোট সবাই ছোটাছুটি করতাম। তবে আমাদের বাড়ির সামনে স্কুলের মাঠ ছিল ওখানে দাঁড়িয়ে আমরা চাঁদ দেখতাম। এবং আমাদেরকে অনেক সময় মা সেহরি খাওয়ার জন্য ডাকত না। তারপরও আমরাও উঠে যেতাম। এবং দিনের বেলা খাওয়া-দাওয়া করতাম এবং বলতাম আজকে আমার রোজা তিনটি রেখেছি। আসলে রমজান মাস আসলে সবাই অনেক খুশি হয় বিশেষ করে ছোট বাচ্চাগুলো। মন চায় এখনো ছোটবেলায় ফিরে যেতে। ধন্যবাদ সুন্দর করে রমজান মাসের স্মৃতিময় কল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলা রমজানের চাঁদ দেখার অনেক স্মৃতি আমার নিজেরও আছে। এরকম ছোট কালে চাঁদ দেখার জন্য আমরা দৌড়াদৌড়ি করতাম। আর চাঁদ দেখলে বাড়িতে এসে সবাইকে বলতাম। এবং সেহরি খাওয়ার সময় মা বাবা আমাদেরকে তুলতেন না। এ কারণে খুব বায়না ধরতাম এবং মাঝেমধ্যে আওয়াজ দিতাম আমরা সজাগ আছি। সত্যিই এই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে অন্যরকম অনুভূতি আসে। আপনার রমজানের স্মৃতি স্মরণ পোস্টটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
আসলে ছোটবেলার স্মৃতি গুলো খুব মনে পড়ে সবার।আপনার রমজান মাসের ছোটবেলার স্মৃতি গুলো জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।তিনবার ভাত খেতে বলতেন তিনটি রোজা হয়ে গেছে জেনে হাসি পেলো এবং বেশ ভালোই লাগলো।ধন্যবাদ।